‘নব্য দাসত্ব’ রোধে যুক্তরাজ্যে নতুন আইন
মানব পাচার ও নব্য দাসত্ব রোধে যুক্তরাজ্যে আজ শুক্রবার থেকে একটি নতুন আইন কার্যকর হয়েছে। এই আইনে মানব পাচার ও নব্য দাসত্বের সাজা ১৪ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করা হয়েছে।
‘মডার্ন স্লেভারি অ্যাক্ট’ নামে নতুন আইনে ভুক্তভোগীদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি বিধান করতে আদালতের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জোরপূর্বক কাউকে দিয়ে কাজ করানো, দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শ্রমের সঠিক মূল্য না দেওয়া, কর্মচুক্তিতে নেই এমন কাজ করতে বাধ্য করার মতো বিষয়গুলো নব্য দাসত্ব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নব্য দাসত্ব হিসেবে বিবেচিত হয় এমন আচরণের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে কর্মীদের প্রতি বাংলাদেশি মালিকানাধীন অনেক প্রতিষ্ঠানের আচরণও নব্য দাসত্ব হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
নতুন আইনে বাংলাদেশি অনেক প্রতিষ্ঠানের আচরণও নব্য দাসত্ব হিসেবে বিবেচিত হবে। কেননা, যুক্তরাজ্যে অনেক রেস্তোরাঁ কিংবা বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা কর্মচারীদের ভিসা জটিলতা বা অন্য কোনো দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করেন। চুক্তির বাইরে কাজ করতে বাধ্য করেন।
গত সপ্তাহে স্কটল্যান্ডের ফ্রন্ট উইলিয়াম শেরিফ কোর্ট বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সামসুল আরেফিনকে (৪৭) মানব পাচার ও নব্য দাসত্বের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সামসুল আরেফিন তাঁর হোটেলে শেফের কাজ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে চার ব্যক্তিকে ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু তিনি তাদের চুক্তিমত মজুরি দেননি। চুক্তির বাইরে ওই চার ব্যক্তিকে বছরের পর বছর তাঁর বাসার কাজ ও দেয়ালে রং দেওয়াসহ নানা কাজ করতে বাধ্য করেন। প্রতিবাদ করলে ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে দেশে ফেরত পাঠানোর ভয় দেখানো হতো।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, দেশটিতে ১০ থেকে ১৩ হাজার লোক নব্য দাসত্বের খপ্পরে আটকে আছে। এদের মধ্যে নারীদের জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তির কাজে লাগানো, গৃহকর্মীদের কারাগারে থাকার মতো জীবনযাপন কিংবা কৃষি, কারখানা ও মাছ ধরার কাজে জোরপূর্বক ব্যবহারের ঘটনাও আছে।
নতুন আইনে নব্য দাসত্বের শিকার ব্যক্তিরা দাসত্বকালীন সময়ে করা কোনো অপরাধের জন্য দায়ী হবেন না। ভুক্তভোগীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে দোষী ব্যক্তিদের সম্পদ দখলে নেওয়ার (সিজ) বিধানও রাখা হয়েছে নতুন আইনে।
‘মডার্ন স্লেভারি অ্যাক্ট’ নামে নতুন আইনে ভুক্তভোগীদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি বিধান করতে আদালতের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জোরপূর্বক কাউকে দিয়ে কাজ করানো, দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শ্রমের সঠিক মূল্য না দেওয়া, কর্মচুক্তিতে নেই এমন কাজ করতে বাধ্য করার মতো বিষয়গুলো নব্য দাসত্ব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নব্য দাসত্ব হিসেবে বিবেচিত হয় এমন আচরণের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে কর্মীদের প্রতি বাংলাদেশি মালিকানাধীন অনেক প্রতিষ্ঠানের আচরণও নব্য দাসত্ব হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
নতুন আইনে বাংলাদেশি অনেক প্রতিষ্ঠানের আচরণও নব্য দাসত্ব হিসেবে বিবেচিত হবে। কেননা, যুক্তরাজ্যে অনেক রেস্তোরাঁ কিংবা বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা কর্মচারীদের ভিসা জটিলতা বা অন্য কোনো দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করেন। চুক্তির বাইরে কাজ করতে বাধ্য করেন।
গত সপ্তাহে স্কটল্যান্ডের ফ্রন্ট উইলিয়াম শেরিফ কোর্ট বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সামসুল আরেফিনকে (৪৭) মানব পাচার ও নব্য দাসত্বের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সামসুল আরেফিন তাঁর হোটেলে শেফের কাজ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে চার ব্যক্তিকে ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু তিনি তাদের চুক্তিমত মজুরি দেননি। চুক্তির বাইরে ওই চার ব্যক্তিকে বছরের পর বছর তাঁর বাসার কাজ ও দেয়ালে রং দেওয়াসহ নানা কাজ করতে বাধ্য করেন। প্রতিবাদ করলে ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে দেশে ফেরত পাঠানোর ভয় দেখানো হতো।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, দেশটিতে ১০ থেকে ১৩ হাজার লোক নব্য দাসত্বের খপ্পরে আটকে আছে। এদের মধ্যে নারীদের জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তির কাজে লাগানো, গৃহকর্মীদের কারাগারে থাকার মতো জীবনযাপন কিংবা কৃষি, কারখানা ও মাছ ধরার কাজে জোরপূর্বক ব্যবহারের ঘটনাও আছে।
নতুন আইনে নব্য দাসত্বের শিকার ব্যক্তিরা দাসত্বকালীন সময়ে করা কোনো অপরাধের জন্য দায়ী হবেন না। ভুক্তভোগীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে দোষী ব্যক্তিদের সম্পদ দখলে নেওয়ার (সিজ) বিধানও রাখা হয়েছে নতুন আইনে।
No comments