ইসরাইলিদের বর্বরতা, ১৮ মাসের ফিলিস্তিনি শিশুর করুণ মৃত্যু by কাজী আরিফ আহমেদ
১৮
মাসের নিষ্পাপ এক শিশু। ফিলিস্তিনি হওয়ায় চূড়ান্ত খেসারত দিতে হলো শৈশবের
নানা রঙে রাঙার আগেই। ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে
সেখানে একের পর এক বসতি স্থাপন করে চলেছে ইসরাইল। অনৈতিক শক্তির এ আগ্রাসনে
সাধারণ ফিলিস্তিনিরা বড্ড অসহায়। পাখির মতো তাদের জীবন। যে কোন সময়
শিকারীর গুলি তাদের বুক এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিতে পারে। ফিলিস্তিনে অবৈধভাবে
বসবাসকারী এমন ৪ ইসরাইলি নাগরিক এবার ১৮ মাসের এক ফিলিস্তিনি শিশুকেও রেহাই
দিলো না। শিশুটির পিতামাতা ও ৪ বছরের ভাইটিও মৃত্যুর দোরগোড়ায়।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরের দক্ষিণে অবস্থিত দুমা গ্রামে একটি
বাড়িতে আগুন দেয় ইসরাইলিরা। হিব্রু ভাষায় ওই বাড়ির দেয়ালে লেখা ‘প্রতিশোধ’
শব্দটি। আরও একটি বাড়িতে আগুন দেয়ার পর দেয়ালে একইভাবে লেখা ‘প্রতিশোধ’। এ
খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা।
আলী সাদ দাওয়াবশেহ নামে ওই শিশুটির পিতামাতা ও তার ৪ বছর বয়সী ভাই আগুনে ভয়াবহভাবে দগ্ধ হয়েছে। নাবলুসের রাফিদিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন পরিবারটির সদস্যরা। তাদের শরীরের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। যে কোন সময় তাদের মৃত্যু হতে পারে। ভাগ্য সহায় থাকলে হয়তো তারা পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে থাকবেন, সঙ্গে থাকবে নাড়িছেঁড়া ধন হারানোর অসহনীয় যন্ত্রণা। এদিকে আক্রান্ত গ্রামের প্রবেশমুখে দুটি বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার পর বাড়ির দেয়ালে হিব্রু ভাষায় ‘প্রতিশোধ’ শব্দটি লিখে যায় হামলাকারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা ওই অঞ্চলে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী কমপক্ষে ৪ জনকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছেন।
এদিকে বর্বরোচিত এ হামলার ঘটনায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বিবৃতিতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিটার লার্নার বলেন, বেসামরিক মানুষের ওপর এ হামলা বর্বরোচিত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের চেয়ে কোন অংশে কম কিছু নয়। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে ব্যাপক তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইডিএফ (ইসরাইলি সেনাবাহিনী) দুঃখজনক এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দায়ীদের শনাক্তে এর তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রাদেইনেহ বলেছেন, এ অপরাধের জন্য ইসরাইল সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী। কারণ, ইসরাইল ফিলিস্তিনি ভূখ-ে ইসরাইলি নাগরিকদের অবৈধ বসতি স্থাপনকে সমর্থন দিচ্ছে এবং অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী ইসরাইলিদের সুরক্ষা দিচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলিদের একের পর এক সহিংস অপরাধ কর্মকা-ের শিকার হচ্ছেন। বাদ যাচ্ছেন না অসহায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতাকেও দায়ী করেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র। নাবিল আরও বলেন, মৌখিকভাবে অপরাধের নিন্দা জানানো আর গ্রহণযোগ্য নয়। দায়ী ইসরাইলি হামলাকারীদের বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাস্তব পদেক্ষেপ গ্রহণ করা এবং ফিলিস্তিনি ভূখ-ে অবৈধ ইসরাইলি স্থাপনা উচ্ছেদ ও নতুন বসতি স্থাপন অবসানে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দুমা গ্রামের কাছে কমপক্ষে ৩টি অবৈধ বসতি গড়ে তুলেছে ইসরাইল। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইসরাইলি নাগরিকরা কমপক্ষে ১২০টি হামলা চালানোর তথ্য প্রমাণ বা নথিপত্র রয়েছে। এদিকে ইসরাইলের একটি মানবাধিকা সংগঠন ইয়েশ দিন বলেছে, ফিলিস্তিনিরা যেসব অভিযোগ দায়ের করেন তার মধ্যে শতকরা ৯২ দশমিক ৬ শতাংশেরও বেশি অভিযোগের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় না বা তাদের বিরুদ্ধে কোন যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।
আলী সাদ দাওয়াবশেহ নামে ওই শিশুটির পিতামাতা ও তার ৪ বছর বয়সী ভাই আগুনে ভয়াবহভাবে দগ্ধ হয়েছে। নাবলুসের রাফিদিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন পরিবারটির সদস্যরা। তাদের শরীরের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। যে কোন সময় তাদের মৃত্যু হতে পারে। ভাগ্য সহায় থাকলে হয়তো তারা পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে থাকবেন, সঙ্গে থাকবে নাড়িছেঁড়া ধন হারানোর অসহনীয় যন্ত্রণা। এদিকে আক্রান্ত গ্রামের প্রবেশমুখে দুটি বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার পর বাড়ির দেয়ালে হিব্রু ভাষায় ‘প্রতিশোধ’ শব্দটি লিখে যায় হামলাকারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা ওই অঞ্চলে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী কমপক্ষে ৪ জনকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছেন।
এদিকে বর্বরোচিত এ হামলার ঘটনায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বিবৃতিতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিটার লার্নার বলেন, বেসামরিক মানুষের ওপর এ হামলা বর্বরোচিত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের চেয়ে কোন অংশে কম কিছু নয়। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে ব্যাপক তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইডিএফ (ইসরাইলি সেনাবাহিনী) দুঃখজনক এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দায়ীদের শনাক্তে এর তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রাদেইনেহ বলেছেন, এ অপরাধের জন্য ইসরাইল সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী। কারণ, ইসরাইল ফিলিস্তিনি ভূখ-ে ইসরাইলি নাগরিকদের অবৈধ বসতি স্থাপনকে সমর্থন দিচ্ছে এবং অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী ইসরাইলিদের সুরক্ষা দিচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলিদের একের পর এক সহিংস অপরাধ কর্মকা-ের শিকার হচ্ছেন। বাদ যাচ্ছেন না অসহায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতাকেও দায়ী করেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র। নাবিল আরও বলেন, মৌখিকভাবে অপরাধের নিন্দা জানানো আর গ্রহণযোগ্য নয়। দায়ী ইসরাইলি হামলাকারীদের বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাস্তব পদেক্ষেপ গ্রহণ করা এবং ফিলিস্তিনি ভূখ-ে অবৈধ ইসরাইলি স্থাপনা উচ্ছেদ ও নতুন বসতি স্থাপন অবসানে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দুমা গ্রামের কাছে কমপক্ষে ৩টি অবৈধ বসতি গড়ে তুলেছে ইসরাইল। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইসরাইলি নাগরিকরা কমপক্ষে ১২০টি হামলা চালানোর তথ্য প্রমাণ বা নথিপত্র রয়েছে। এদিকে ইসরাইলের একটি মানবাধিকা সংগঠন ইয়েশ দিন বলেছে, ফিলিস্তিনিরা যেসব অভিযোগ দায়ের করেন তার মধ্যে শতকরা ৯২ দশমিক ৬ শতাংশেরও বেশি অভিযোগের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় না বা তাদের বিরুদ্ধে কোন যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।
No comments