আনন্দমেলায় অশ্লীল নৃত্য ও জুয়া
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুরে ঈদ আনন্দমেলার নামে অবৈধভাবে চলছে অশ্লীল নৃত্য, জুয়ার আসর ও র্যা ফল ড্র। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাংসদ আবদুল ওদুদের পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁর কিছু ঘনিষ্ঠ লোকজন এই মেলা পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে সাংসদ আবদুল ওদুদ বলেন, সদর আসনের সাংসদ হিসেবে অনেক কিছুর পৃষ্ঠপোষকতা করতেই হয়। ঐতিহ্যবাহী এই মেলার পৃষ্ঠপোষকতা এর আগের সাংসদেরাও করেছেন। মেলার আয় থেকে অনেক গরিব ও দুস্থ লোককে সাহায্য করা হয়। দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়ে ও গরিব লোকজনের চিকিৎসার ব্যাপারে সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও সহায়তা দেওয়া হয়।
গত সোমবার রাতে মহারাজপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের পাশে আমবাগানের মধ্যে আয়োজিত মেলায় গিয়ে দেখা যায়, অর্ধশতাধিক স্টলে অবাধে চলছে জুয়ার আসর। একেকটি স্টলে ২০ থেকে ৩০ জন খেলছে জুয়া। দৈনিক ধানশালিক র্যা ফল ড্রর নামে বিরাট মঞ্চ তৈরি করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। র্যা ফল ড্রর প্রতিটি টিকিটের দাম ২০ টাকা। প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া রয়েছে আরও বিভিন্ন মূল্যমানের পুরস্কার। খেলার মঞ্চে রয়েছে পুতুলনাচ, ম্যাজিকসহ ভ্যারাইটি শোর বেশ কয়েকটি প্যান্ডেল। এ ছাড়া রয়েছে যাত্রার প্যান্ডেল। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, এসব প্যান্ডেলে চলে নগ্ন নৃত্য। দর্শকদের মধ্যে উঠতি তরুণেরাই বেশি।
মেলার মধ্যে কথা হয় মেলা কমিটির সভাপতি মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুখলেসুর রহমানের সঙ্গে। মেলায় জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যের ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এসব নিয়ে আমাকে প্রশ্ন না করাই ভালো। সবাই জানে মেলা কীভাবে চলে।’ তিনি আরও বলেন, প্রায় শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী মেলার মূল আকর্ষণ ছিল কাঠের আসবাব। মেলা থেকে আসবাব কিনে লোকজন তাঁদের জামাতাদের উপঢৌকন দিতেন। আকর্ষণ ছিল যাত্রাপালা, সার্কাস ও পুতুলনাচেরও। কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি সময় পার হলেও কাঠের আসবাব দোকানগুলো এখনো জমেনি। মেলার আয়ের একটি অংশ পেয়ে থাকে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ। এখান থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, মেলায় অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোর্ত্তুজা বলেন, অশ্লীল নৃত্যের দায়ে ছয়জন মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জুয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে সাংসদ আবদুল ওদুদ বলেন, সদর আসনের সাংসদ হিসেবে অনেক কিছুর পৃষ্ঠপোষকতা করতেই হয়। ঐতিহ্যবাহী এই মেলার পৃষ্ঠপোষকতা এর আগের সাংসদেরাও করেছেন। মেলার আয় থেকে অনেক গরিব ও দুস্থ লোককে সাহায্য করা হয়। দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়ে ও গরিব লোকজনের চিকিৎসার ব্যাপারে সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও সহায়তা দেওয়া হয়।
গত সোমবার রাতে মহারাজপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের পাশে আমবাগানের মধ্যে আয়োজিত মেলায় গিয়ে দেখা যায়, অর্ধশতাধিক স্টলে অবাধে চলছে জুয়ার আসর। একেকটি স্টলে ২০ থেকে ৩০ জন খেলছে জুয়া। দৈনিক ধানশালিক র্যা ফল ড্রর নামে বিরাট মঞ্চ তৈরি করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। র্যা ফল ড্রর প্রতিটি টিকিটের দাম ২০ টাকা। প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া রয়েছে আরও বিভিন্ন মূল্যমানের পুরস্কার। খেলার মঞ্চে রয়েছে পুতুলনাচ, ম্যাজিকসহ ভ্যারাইটি শোর বেশ কয়েকটি প্যান্ডেল। এ ছাড়া রয়েছে যাত্রার প্যান্ডেল। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, এসব প্যান্ডেলে চলে নগ্ন নৃত্য। দর্শকদের মধ্যে উঠতি তরুণেরাই বেশি।
মেলার মধ্যে কথা হয় মেলা কমিটির সভাপতি মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুখলেসুর রহমানের সঙ্গে। মেলায় জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যের ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এসব নিয়ে আমাকে প্রশ্ন না করাই ভালো। সবাই জানে মেলা কীভাবে চলে।’ তিনি আরও বলেন, প্রায় শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী মেলার মূল আকর্ষণ ছিল কাঠের আসবাব। মেলা থেকে আসবাব কিনে লোকজন তাঁদের জামাতাদের উপঢৌকন দিতেন। আকর্ষণ ছিল যাত্রাপালা, সার্কাস ও পুতুলনাচেরও। কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি সময় পার হলেও কাঠের আসবাব দোকানগুলো এখনো জমেনি। মেলার আয়ের একটি অংশ পেয়ে থাকে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ। এখান থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, মেলায় অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোর্ত্তুজা বলেন, অশ্লীল নৃত্যের দায়ে ছয়জন মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জুয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
No comments