কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক–সংকটে দুর্ভোগে রোগীরা
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম চিকিৎসক দিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে রোগীরা।
হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ৫৮ জন চিকিৎসকের জায়গায় বর্তমানে ৩২ জন চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন। দুই বছর ধরে ২০ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য আছে। গত দুই মাসে আরও ছয়টি পদ শূন্য হয়েছে। এসব চিকিৎসকের পদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জ্যেষ্ঠ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, জ্যেষ্ঠ সার্জারি বিশেষজ্ঞ, জ্যেষ্ঠ শিশুবিশেষজ্ঞ, জ্যেষ্ঠ গাইনি বিশেষজ্ঞ। এ ছাড়া গাইনি বিশেষজ্ঞ, অ্যানেসথেটিস্ট, প্যাথলজিস্ট ও জরুরি বিভাগের তিনজন চিকিৎসকের পদ শূন্য আছে।
গত রোববার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে প্রতিটি টিকিট কাউন্টারের সামনে পুরুষ, নারী ও শিশু রোগীর দীর্ঘ সারি। সকাল ১০টায় বহির্বিভাগের ৮ নম্বর কক্ষের সামনে রোগীদের লম্বা সারি দেখা যায়। ওই কক্ষে চিকিৎসক নাজমা খাতুন একাই সবাইকে দেখছেন। যদিও সেখানে আরও তিনজন চিকিৎসক থাকার কথা ছিল।
কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দীন নগর থেকে আসা রেখা খাতুন সকাল নয়টা থেকে সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর সামনে আরও ৭০ জন ছিলেন। জ্বরে কাঁপছিলেন তিনি। কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে পারবেন, তা তাঁর জানা ছিল না।
পাশেই ৯ নম্বর কক্ষে দাঁতের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন একমাত্র চিকিৎসক জয়ন্ত কুমার। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী দেখেন তিনি।
সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেল ৫ নম্বর কক্ষে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগে। সেখানে প্রায় ২০০ রোগী লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে ছিল। পাশের কক্ষে পাওয়া গেল চিকিৎসক ওবায়দুর রহমানকে। পরিচয় দিতেই বললেন, ‘ভাই, রোগী দেখতে দেখতে মাথা আওলায় গেছে। একটু মাথা ঠান্ডা করছি।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রতিদিন হাজারের বেশি রোগী বহির্বিভাগে সেবা নেয়। এ ছাড়া কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা থেকে অর্ধশতাধিক রোগী ভর্তি হয়। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় চারজন চিকিৎসক প্রয়োজন। কিন্তু আছেন একজন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার বলেন, হাসপাতালে চার শতাধিক রোগী ভর্তি। হাসপাতালের ১৪টি ওয়ার্ডে ২৮ জন চিকিৎসক প্রয়োজন। যাঁরা আছেন, তাঁদের পালাক্রমে কখনো বহির্বিভাগে আবার কখনো অন্তর্বিভাগে দেওয়া হচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আজিজুন নাহার বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো ফল মিলছে না।’
হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ৫৮ জন চিকিৎসকের জায়গায় বর্তমানে ৩২ জন চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন। দুই বছর ধরে ২০ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য আছে। গত দুই মাসে আরও ছয়টি পদ শূন্য হয়েছে। এসব চিকিৎসকের পদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জ্যেষ্ঠ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, জ্যেষ্ঠ সার্জারি বিশেষজ্ঞ, জ্যেষ্ঠ শিশুবিশেষজ্ঞ, জ্যেষ্ঠ গাইনি বিশেষজ্ঞ। এ ছাড়া গাইনি বিশেষজ্ঞ, অ্যানেসথেটিস্ট, প্যাথলজিস্ট ও জরুরি বিভাগের তিনজন চিকিৎসকের পদ শূন্য আছে।
গত রোববার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে প্রতিটি টিকিট কাউন্টারের সামনে পুরুষ, নারী ও শিশু রোগীর দীর্ঘ সারি। সকাল ১০টায় বহির্বিভাগের ৮ নম্বর কক্ষের সামনে রোগীদের লম্বা সারি দেখা যায়। ওই কক্ষে চিকিৎসক নাজমা খাতুন একাই সবাইকে দেখছেন। যদিও সেখানে আরও তিনজন চিকিৎসক থাকার কথা ছিল।
কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দীন নগর থেকে আসা রেখা খাতুন সকাল নয়টা থেকে সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর সামনে আরও ৭০ জন ছিলেন। জ্বরে কাঁপছিলেন তিনি। কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে পারবেন, তা তাঁর জানা ছিল না।
পাশেই ৯ নম্বর কক্ষে দাঁতের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন একমাত্র চিকিৎসক জয়ন্ত কুমার। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী দেখেন তিনি।
সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেল ৫ নম্বর কক্ষে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগে। সেখানে প্রায় ২০০ রোগী লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে ছিল। পাশের কক্ষে পাওয়া গেল চিকিৎসক ওবায়দুর রহমানকে। পরিচয় দিতেই বললেন, ‘ভাই, রোগী দেখতে দেখতে মাথা আওলায় গেছে। একটু মাথা ঠান্ডা করছি।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রতিদিন হাজারের বেশি রোগী বহির্বিভাগে সেবা নেয়। এ ছাড়া কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা থেকে অর্ধশতাধিক রোগী ভর্তি হয়। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় চারজন চিকিৎসক প্রয়োজন। কিন্তু আছেন একজন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার বলেন, হাসপাতালে চার শতাধিক রোগী ভর্তি। হাসপাতালের ১৪টি ওয়ার্ডে ২৮ জন চিকিৎসক প্রয়োজন। যাঁরা আছেন, তাঁদের পালাক্রমে কখনো বহির্বিভাগে আবার কখনো অন্তর্বিভাগে দেওয়া হচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আজিজুন নাহার বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো ফল মিলছে না।’
No comments