‘ডিবি’ পরিচয় ব্যবহার: কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে কবে?
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার সংবাদ সম্মেলন করে গত সোমবার যে অভিযোগ করেছেন, তা খুবই উদ্বেগজনক। তাঁর অভিযোগ, ডিবি পরিচয় ব্যবহার করে শুধু সন্ত্রাসীরাই নয়, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির লোকজনও আসামি ধরছে। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে যখন একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা এই অভিযোগ করেছেন, তখন একে সত্য বলেই ধরে নিতে হচ্ছে। এটা নিশ্চিতভাবেই একটা অরাজক পরিস্থিতির লক্ষণ।
দেশের বিভিন্ন স্থানে আশঙ্কাজনক হারে অপহরণ ও অনেক ক্ষেত্রে গুমের ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের ঘটনার শিকার লোকজনের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রেই তা ঘটে না। তখন সন্ত্রাসী বা অপরাধী চক্রকে এ জন্য অভিযুক্ত করা হয়। এখন দেখা যাচ্ছে সরকারের নানা ‘এজেন্সি’ একই কায়দায় কাজ করছে।
কোন এজেন্সিগুলো এই কাজ করছে, তা ডিবির যুগ্ম কমিশনার স্পষ্ট না করলেও তিনি নিশ্চিতভাবেই এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। ‘ডিবি’ পরিচয় ব্যবহার করে এসব এজেন্সির সদস্যরা লোকজনকে ধরে আইনের কাছে সোপর্দও করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে এজেন্সি বা বাহিনীই কাজ করুক না কেন, আইন ও নিয়ম মেনেই তা করতে হবে। কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করার সময় বাহিনীর পরিচয় ও আটকের কারণ স্পষ্ট করতে হবে। এরপর সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরই দায়িত্ব আটক ব্যক্তিকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া।
এটা পরিষ্কার যে এ ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়ম ও বেআইনি কাজ ঘটে চলেছে। এ ধরনের আটক বা গ্রেপ্তারের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যথাযথ পরিচয় না দেওয়া ও চোখ বেঁধে ফেলার মতো ঘটনা ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। ফলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই কাজটি করছে, তা বোঝা কঠিন হয়ে যায়।
আমরা আশা করব, ডিবির যুগ্ম কমিশনারের এই অভিযোগের পর সংশ্লিষ্ট সব মহলের টনক নড়বে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে আশঙ্কাজনক হারে অপহরণ ও অনেক ক্ষেত্রে গুমের ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের ঘটনার শিকার লোকজনের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রেই তা ঘটে না। তখন সন্ত্রাসী বা অপরাধী চক্রকে এ জন্য অভিযুক্ত করা হয়। এখন দেখা যাচ্ছে সরকারের নানা ‘এজেন্সি’ একই কায়দায় কাজ করছে।
কোন এজেন্সিগুলো এই কাজ করছে, তা ডিবির যুগ্ম কমিশনার স্পষ্ট না করলেও তিনি নিশ্চিতভাবেই এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। ‘ডিবি’ পরিচয় ব্যবহার করে এসব এজেন্সির সদস্যরা লোকজনকে ধরে আইনের কাছে সোপর্দও করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে এজেন্সি বা বাহিনীই কাজ করুক না কেন, আইন ও নিয়ম মেনেই তা করতে হবে। কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করার সময় বাহিনীর পরিচয় ও আটকের কারণ স্পষ্ট করতে হবে। এরপর সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরই দায়িত্ব আটক ব্যক্তিকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া।
এটা পরিষ্কার যে এ ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়ম ও বেআইনি কাজ ঘটে চলেছে। এ ধরনের আটক বা গ্রেপ্তারের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যথাযথ পরিচয় না দেওয়া ও চোখ বেঁধে ফেলার মতো ঘটনা ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। ফলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই কাজটি করছে, তা বোঝা কঠিন হয়ে যায়।
আমরা আশা করব, ডিবির যুগ্ম কমিশনারের এই অভিযোগের পর সংশ্লিষ্ট সব মহলের টনক নড়বে।
No comments