গ্রন্থাগার বন্ধ ১৬ বছর: নামকরণ নিয়ে বিরোধ
নাম নিয়ে বিরোধের কারণে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার এ গ্রন্থাগারটি ১৬ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে l প্রথম আলো |
নামকরণ
নিয়ে বিরোধের কারণে ১৬ বছর ধরে বন্ধ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার এম এন খান
পাবলিক লাইব্রেরি অ্যান্ড ভিলেজ হলটি। এতে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সব বই ও
আসবাব।
শৈলকুপা উপজেলার কচুয়া বাজারের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, শৈলকুপা উপজেলার কাচেরকোল ইউনিয়নের একটি ছোট বাজার কচুয়া। ওই এলাকার জমিদার কাজী সরোয়ার উদ্দিন ও চিকিৎসক হাবিবুর রহমান ১৯৩৭ সালে ১০ শতক জমির ওপর গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় এর নাম দেওয়া হয় কচুয়া বাজার পাবলিক লাইব্রেরি।
একই এলাকার বাসিন্দা ও গ্রন্থাগারের পাঠক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিকে টিনের চালায় গ্রন্থাগারের কার্যক্রম চলত। সে সময় ৩০০ বই ছিল। পরে বইয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজারে। ১৯৪২ সালে তৎকালীন যশোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এম এন খান বেনীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে পাশে থাকা এই গ্রন্থাগারটিও পরিদর্শন করেন। তিনি সে সময় এর ভবন নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ দেন। ওই বছরই ভবনটি তৈরি হয়। এলাকাবাসী গ্রন্থাগারটির নাম পরিবর্তন করে এম এন খান পাবলিক লাইব্রেরি অ্যান্ড ভিলেজ হল, কাচেরকোল ইউনিয়ন নাম দেন। সাইনবোর্ডেও এই নাম লেখা হয়। সে সময় দূর-দূরান্ত থেকে বই ও পত্রিকা পড়তে পাঠক আসতে থাকেন গ্রন্থাগারটিতে।
কচুয়া বাজারের মনিরুল ইসলাম বলেন, জমিদার কাজী সরোয়ার উদ্দিনের ছেলে মলি মিয়া গ্রন্থাগারটি দেখাশোনা করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর এর কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। ২০-৩০ বছর আগে এলাকার গণমান্য লোকজন মিলে সিদ্ধান্ত নেন কাচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গ্রন্থাগারের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। ১৯৯৯ সালের দিকে কচুয়া গ্রামের লোকজন দাবি করেন গ্রন্থাগারটি কচুয়া বাজারে প্রতিষ্ঠিত বলে এর গায়ে কচুয়া লিখতে হবে। এই নিয়ে কচুয়া আর কাচেরকোল গ্রামের রোকজনের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। আর এই বিরোধের জেরে ওই বছরই কচুয়ার স্থানীয় লোকজন গ্রন্থাগারটি বন্ধ করে দেন। এরপর কোনো পক্ষ সমাধানে আসতে না পারায় এটি আর চালুই হয়নি।
তিনি আরও বলেন, কচুয়ার লোকজনের দাবি গ্রন্থাগারটির অবস্থান বিবেচনা করে এর নামকরণ করা হোক।
কাচেরকোল গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রন্থাগারটি গোটা ইউনিয়নবাসীর সম্পদ। তাই ইউনিয়নের নাম থাকাটা জরুরি। একটি বাজারের নাম থাকলে তার ব্যাপ্তি কমে যায়।
এ ব্যাপারে গ্রন্থাগারের বর্তমান সভাপতি ও কাচেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার বলেন, দ্রুত তিনি এই বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করছেন। আশা করছেন শিগগির গ্রন্থাগারটি চালু করা সম্ভব হবে।
শৈলকুপা উপজেলার কচুয়া বাজারের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, শৈলকুপা উপজেলার কাচেরকোল ইউনিয়নের একটি ছোট বাজার কচুয়া। ওই এলাকার জমিদার কাজী সরোয়ার উদ্দিন ও চিকিৎসক হাবিবুর রহমান ১৯৩৭ সালে ১০ শতক জমির ওপর গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় এর নাম দেওয়া হয় কচুয়া বাজার পাবলিক লাইব্রেরি।
একই এলাকার বাসিন্দা ও গ্রন্থাগারের পাঠক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিকে টিনের চালায় গ্রন্থাগারের কার্যক্রম চলত। সে সময় ৩০০ বই ছিল। পরে বইয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজারে। ১৯৪২ সালে তৎকালীন যশোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এম এন খান বেনীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে পাশে থাকা এই গ্রন্থাগারটিও পরিদর্শন করেন। তিনি সে সময় এর ভবন নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ দেন। ওই বছরই ভবনটি তৈরি হয়। এলাকাবাসী গ্রন্থাগারটির নাম পরিবর্তন করে এম এন খান পাবলিক লাইব্রেরি অ্যান্ড ভিলেজ হল, কাচেরকোল ইউনিয়ন নাম দেন। সাইনবোর্ডেও এই নাম লেখা হয়। সে সময় দূর-দূরান্ত থেকে বই ও পত্রিকা পড়তে পাঠক আসতে থাকেন গ্রন্থাগারটিতে।
কচুয়া বাজারের মনিরুল ইসলাম বলেন, জমিদার কাজী সরোয়ার উদ্দিনের ছেলে মলি মিয়া গ্রন্থাগারটি দেখাশোনা করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর এর কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। ২০-৩০ বছর আগে এলাকার গণমান্য লোকজন মিলে সিদ্ধান্ত নেন কাচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গ্রন্থাগারের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। ১৯৯৯ সালের দিকে কচুয়া গ্রামের লোকজন দাবি করেন গ্রন্থাগারটি কচুয়া বাজারে প্রতিষ্ঠিত বলে এর গায়ে কচুয়া লিখতে হবে। এই নিয়ে কচুয়া আর কাচেরকোল গ্রামের রোকজনের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। আর এই বিরোধের জেরে ওই বছরই কচুয়ার স্থানীয় লোকজন গ্রন্থাগারটি বন্ধ করে দেন। এরপর কোনো পক্ষ সমাধানে আসতে না পারায় এটি আর চালুই হয়নি।
তিনি আরও বলেন, কচুয়ার লোকজনের দাবি গ্রন্থাগারটির অবস্থান বিবেচনা করে এর নামকরণ করা হোক।
কাচেরকোল গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রন্থাগারটি গোটা ইউনিয়নবাসীর সম্পদ। তাই ইউনিয়নের নাম থাকাটা জরুরি। একটি বাজারের নাম থাকলে তার ব্যাপ্তি কমে যায়।
এ ব্যাপারে গ্রন্থাগারের বর্তমান সভাপতি ও কাচেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার বলেন, দ্রুত তিনি এই বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করছেন। আশা করছেন শিগগির গ্রন্থাগারটি চালু করা সম্ভব হবে।
No comments