মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে
আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম (৫০)। ছবি: প্রথম আলো |
ঢাকা
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গত মঙ্গলবার
রাতে আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলামকে (৫০) গুলি করার ঘটনায় মূল আসামির
কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। শফিকুলের পরিবারের দাবি, সন্দেহভাজন হিসেবে দুই
যুবক মকবুল ও আ. হালিম নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাউন্সিলর বাসিত খানের উপস্থিতিতে গুলির ঘটনা ঘটলেও, মামলায় আসামি হিসেবে তাঁর নাম নেই বলে জানান শফিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই আবু বকর সিদ্দিক। তাঁর ভাষ্য, শফিকুল ইসলাম নিজেই মুগদা থানায় স্থানীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল মামুনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
শফিকুল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত বুধবার তিনি গুলিবিদ্ধ হন। প্রথম আলোর কাছে তিনি অভিযোগ করেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল বাসিত খানের উপস্থিতিতে তাঁর লোকেরা তাঁকে গুলি করেছে।
কাউন্সিলর বাসিত খান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আজ শুক্রবার মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’ ময়লার ব্যবসায় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে তাঁর কোনো ধরনের সম্পৃক্তা নেই দাবি করে বাসিত খান আরও বলেন, ‘আমার সহযোগিতায় দুজন আসামিকে ধরা হয়েছে।’
তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম জানাতে চাইছেন না মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান। তিনি জানান, আজ দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হবে।
মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দুই পক্ষই একই রাজনৈতিক দলের লোক হওয়ায় তদন্ত কাজে বাধা আসছে। দুই পক্ষের ওপরে শক্তিশালী আরও একটি পক্ষ ঘটনায় মধ্যস্থতা করছে। এ কারণেই বাসিত খানের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করেননি আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলায় চিকিৎসা চলছে শফিকুল ইসলামের।
শফিকুলের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আবু বকর সিদ্দিক জানান, শফিকুলের পায়ের হাড়ে চিড় ধরেছে। গুলি বের করতে রোববার তাঁর অস্ত্রোপচার করা হতে পারে।
রাজধানীর মানিকনগর বিশ্বরোডের মিয়াজান লেনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কার্যালয় অবস্থিত। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার পর আওয়ামী লীগের নেতা শফিকুলকে ওই কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা নিয়ে রাত ১১টার দিকে কার্যালয়ে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে শফিকুলের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ১৫-২০ জন তাঁকে ও তাঁর বন্ধু আশরাফ আলী ওরফে বাবুকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় দুই যুবক দুটি পিস্তল দিয়ে শফিকুলের দুই পায়ে চারটি গুলি করেন। পরে আশরাফ তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
কাউন্সিলর বাসিত খানের উপস্থিতিতে গুলির ঘটনা ঘটলেও, মামলায় আসামি হিসেবে তাঁর নাম নেই বলে জানান শফিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই আবু বকর সিদ্দিক। তাঁর ভাষ্য, শফিকুল ইসলাম নিজেই মুগদা থানায় স্থানীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল মামুনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
শফিকুল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত বুধবার তিনি গুলিবিদ্ধ হন। প্রথম আলোর কাছে তিনি অভিযোগ করেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল বাসিত খানের উপস্থিতিতে তাঁর লোকেরা তাঁকে গুলি করেছে।
কাউন্সিলর বাসিত খান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আজ শুক্রবার মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’ ময়লার ব্যবসায় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে তাঁর কোনো ধরনের সম্পৃক্তা নেই দাবি করে বাসিত খান আরও বলেন, ‘আমার সহযোগিতায় দুজন আসামিকে ধরা হয়েছে।’
তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম জানাতে চাইছেন না মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান। তিনি জানান, আজ দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হবে।
মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দুই পক্ষই একই রাজনৈতিক দলের লোক হওয়ায় তদন্ত কাজে বাধা আসছে। দুই পক্ষের ওপরে শক্তিশালী আরও একটি পক্ষ ঘটনায় মধ্যস্থতা করছে। এ কারণেই বাসিত খানের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করেননি আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলায় চিকিৎসা চলছে শফিকুল ইসলামের।
শফিকুলের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আবু বকর সিদ্দিক জানান, শফিকুলের পায়ের হাড়ে চিড় ধরেছে। গুলি বের করতে রোববার তাঁর অস্ত্রোপচার করা হতে পারে।
রাজধানীর মানিকনগর বিশ্বরোডের মিয়াজান লেনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কার্যালয় অবস্থিত। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার পর আওয়ামী লীগের নেতা শফিকুলকে ওই কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা নিয়ে রাত ১১টার দিকে কার্যালয়ে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে শফিকুলের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ১৫-২০ জন তাঁকে ও তাঁর বন্ধু আশরাফ আলী ওরফে বাবুকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় দুই যুবক দুটি পিস্তল দিয়ে শফিকুলের দুই পায়ে চারটি গুলি করেন। পরে আশরাফ তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
No comments