রাজনীতিমুক্ত জনপ্রশাসন- শুধু কথা নয়, কাজেও প্রমাণ দিন
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জনপ্রশাসনকে রাজনীতিমুক্ত রাখা এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, তা নিছক কথার কথা না হলে জনপ্রশাসনের কাজে গতি আসবে।
জনপ্রশাসনের প্রতিটি স্তরে ব্যাপক দলীয়করণ চলছে। এটি যে কেবল দেশের জন্য ক্ষতিকর তাই নয়, অনেক সময় সরকারের জন্যও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, সরকার যেসব জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি নেয়, সেগুলো জনপ্রশাসনের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। সেখানে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের স্থলে দলীয় বিবেচনায় অযোগ্যদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হলে আম-ছালা দুটোই হারানোর আশঙ্কা আছে।
আশার কথা, প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি, যারা সরকারের সব কাজের কট্টর সমালোচক, তারাও জনপ্রশাসনমন্ত্রীর বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে এবং এ ব্যাপারে সরকারকে কিছু পরামর্শও দিয়েছে। দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন গত মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে একই সঙ্গে অভিযোগ করেছেন যে বর্তমান সরকারের আমলে অনেক দক্ষ ও সৎ সরকারি কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক কারণে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর হওয়ার সুযোগ নিয়ে অনেককে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি যে কথাটি বলেননি, তা হলো তাঁদের শাসনামলেও জনপ্রশাসন দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণ থেকে মুক্ত ছিল না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দল ও সরকার যে আলাদা, সেটি আমাদের রাজনীতির কুশীলবদের অনেকে মানতেই চান না।
সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে তিনি দলীয় পরিচয় মনে রাখবেন না। দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনকালে মন্ত্রীরা যদি এই কথাটি মনে রাখেন, জনপ্রশাসন কিছুটা হলেও কলুষমুক্ত হবে। সৈয়দ আশরাফ কেবল মন্ত্রী নন, ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকও; সে ক্ষেত্রে তিনি চাইলে জনপ্রশাসনকে রাজনীতি ও দলীয়করণমুক্ত করা অসম্ভব নয়। প্রশ্ন হলো সেই কাজটি করতে তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা প্রস্তুত আছেন কি না?
জনপ্রশাসনের প্রতিটি স্তরে ব্যাপক দলীয়করণ চলছে। এটি যে কেবল দেশের জন্য ক্ষতিকর তাই নয়, অনেক সময় সরকারের জন্যও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, সরকার যেসব জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি নেয়, সেগুলো জনপ্রশাসনের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। সেখানে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের স্থলে দলীয় বিবেচনায় অযোগ্যদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হলে আম-ছালা দুটোই হারানোর আশঙ্কা আছে।
আশার কথা, প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি, যারা সরকারের সব কাজের কট্টর সমালোচক, তারাও জনপ্রশাসনমন্ত্রীর বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে এবং এ ব্যাপারে সরকারকে কিছু পরামর্শও দিয়েছে। দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন গত মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে একই সঙ্গে অভিযোগ করেছেন যে বর্তমান সরকারের আমলে অনেক দক্ষ ও সৎ সরকারি কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক কারণে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর হওয়ার সুযোগ নিয়ে অনেককে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি যে কথাটি বলেননি, তা হলো তাঁদের শাসনামলেও জনপ্রশাসন দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণ থেকে মুক্ত ছিল না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দল ও সরকার যে আলাদা, সেটি আমাদের রাজনীতির কুশীলবদের অনেকে মানতেই চান না।
সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে তিনি দলীয় পরিচয় মনে রাখবেন না। দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনকালে মন্ত্রীরা যদি এই কথাটি মনে রাখেন, জনপ্রশাসন কিছুটা হলেও কলুষমুক্ত হবে। সৈয়দ আশরাফ কেবল মন্ত্রী নন, ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকও; সে ক্ষেত্রে তিনি চাইলে জনপ্রশাসনকে রাজনীতি ও দলীয়করণমুক্ত করা অসম্ভব নয়। প্রশ্ন হলো সেই কাজটি করতে তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা প্রস্তুত আছেন কি না?
No comments