সরি বেটি, মাফ করনা, ফোনে মেয়েকে বলেছিল ইয়াকুব
‘‘সরি
বেটি। ম্যায় কভি অচ্ছা পাপা নহি বন পায়া।’’ ফাঁসির আগের সন্ধ্যায় শুধু
এইটুকুই তার মেয়েকে বলতে পেরেছিল ইয়াকুব। ৩১ জুলাই, শুক্রবার তার মেয়ের
জন্মদিন। তার আগে মেয়েকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানাতে চেয়েছিল ইয়াকুব।
আগাম শুভেচ্ছাই। কারণ সে জানত মেয়েকে শুভেচ্ছা জানানো হবে না তার। নাগপুর
জেল সূত্রে খবর, ফাঁসির আগের দিন মেয়ের সঙ্গে কথা বলাই ছিল ইয়াকুবের শেষ
ইচ্ছা। রাখাও হয়েছিল তা। বুধবার সন্ধ্যায় ফোনে ইয়াকুব কথা বলে মেয়ের সঙ্গে।
এক জন ভাল বাবা না হয়ে ওঠার জন্য মৃত্যুর আগে মেয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে
নিয়েছিল ইয়াকুব। বলেছিল, ‘‘তোমাকে কোনও দিন ভাল মুহূর্ত, মনে রাখার মতো
মুহূর্ত উপহার দিতে পারিনি। কত দিন হয়ে গেল জন্মদিনেও তোমার সঙ্গে থাকতে
পারি না। আমাকে ক্ষমা কোরো।’’ জেলের একটি সূত্রের খবর, আইনি পথে না হলেও
ওই রাতেই সাদা কাগজে নিজের সম্পত্তির উইল করে যায় ইয়াকুব। সম্পত্তির
অংশীদার হিসাবে তাতে উল্লেখ করে স্ত্রী রাহিন, মেয়ে জুবেদা এবং ভাই
সুলেমানের নাম। মামলা চলাকালীন যাবতীয় আইনি খরচ করেছিলেন সুলেমানই। তবে
ফাঁসির সময়েও ইয়াকুবের চোখে অনুতাপের কোনও ছায়া ছিল না বলে জানিয়েছেন জেল
কর্তৃপক্ষ।
- আনন্দবাজার
- আনন্দবাজার
ভাইয়ের পাপের শাস্তি পেলাম, বলেছিল ইয়াকুব
বারবার
নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও মৃত্যুর আগে ইয়াকুব স্বীকার করেছিল মুম্বই
হামলায় জড়িত ছিল তার ভাই। বলেছিল, “ভাইয়ের পাপের বোঝা বইতে হচ্ছে আমাকে।”
বারবার নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেছিল সে। শুক্রবার সকালে সংবাদমাধ্যমকে
এমন কথাই জানালেন তার আইনজীবী অনিল গেদাম।
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও সে বিশ্বাস করতে চায়নি তার ফাঁসি হতে চলেছে। আশা করেছিল, রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া তার প্রাণভিক্ষার আবেদন মঞ্জুর হবে। জেলকর্মীদের কাছে বারবার দাবি করছিল, সে নির্দোষ। ভাইয়ের পাপের বোঝা বইতে হচ্ছে তাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে মুম্বই হামলায় অন্যতম দোষী ইয়াকুব মেমনের।
শুক্রবার বিকেলে জেলবন্দি ইয়াকুবের সঙ্গে দেখা করতে যান তার আইনজীবী অনিল গেদাম। তিনি জানান, ইয়াকুব বারবারই বলছিল, ভাইয়ের পাপের শাস্তি পেতে হচ্ছে আমাকে। ইয়াকুব বলেছিল, “ম্যায় বেগুনাহ্ হুঁ। আমার সঙ্গে ন্যায় বিচার হল না।।” জেল সূত্রে খবর, ফাঁসির আগে নিয়ম অনুয়ায়ী মৌলবি এসে তাকে তার অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইতে বললে সেখানেও ইয়াকুব নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করে।
বুধবার রাত দু’টো নাগাদ ঘুমোতে যায় ইয়াকুব। বার তিনেক ডাকার পর ঘুম ভাঙে তার। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে সাতটায় ফাঁসি হয় মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম এই অভিযুক্তের।
- আনন্দবাজার
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও সে বিশ্বাস করতে চায়নি তার ফাঁসি হতে চলেছে। আশা করেছিল, রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া তার প্রাণভিক্ষার আবেদন মঞ্জুর হবে। জেলকর্মীদের কাছে বারবার দাবি করছিল, সে নির্দোষ। ভাইয়ের পাপের বোঝা বইতে হচ্ছে তাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে মুম্বই হামলায় অন্যতম দোষী ইয়াকুব মেমনের।
শুক্রবার বিকেলে জেলবন্দি ইয়াকুবের সঙ্গে দেখা করতে যান তার আইনজীবী অনিল গেদাম। তিনি জানান, ইয়াকুব বারবারই বলছিল, ভাইয়ের পাপের শাস্তি পেতে হচ্ছে আমাকে। ইয়াকুব বলেছিল, “ম্যায় বেগুনাহ্ হুঁ। আমার সঙ্গে ন্যায় বিচার হল না।।” জেল সূত্রে খবর, ফাঁসির আগে নিয়ম অনুয়ায়ী মৌলবি এসে তাকে তার অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইতে বললে সেখানেও ইয়াকুব নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করে।
বুধবার রাত দু’টো নাগাদ ঘুমোতে যায় ইয়াকুব। বার তিনেক ডাকার পর ঘুম ভাঙে তার। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে সাতটায় ফাঁসি হয় মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম এই অভিযুক্তের।
- আনন্দবাজার
No comments