তালেবানের ক্ষতি, আইএসের লাভ -মোল্লা ওমরের মৃত্যু নিয়ে এএফপির বিশ্লেষণ
আফগানিস্তান তালেবান তাদের নেতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুতে ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। অন্যদিকে তাঁর মৃত্যুর কারণে লাভবান হতে পারে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। পর্যবেক্ষকেরা তেমনটাই মনে করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে তালেবান থেকে পক্ষত্যাগ করে যোদ্ধাদের আইএসে যোগ দেওয়ার বেশ কিছুসংখ্যক ঘটনা ঘটেছে। পক্ষত্যাগীদের কেউ কেউ তালেবানের ‘অদৃশ্য নেতা’ মোল্লা ওমরকে নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। কারণ, ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানে তালেবান ক্ষমতা হারানোর পর তাঁকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
দুই বছর আগে মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবর তালেবান অবশেষে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করায় সংগঠনটির মধ্যে বিভাজন আরও ঘনীভূত হবে। মোল্লা ওমরের মৃত্যু এরই মধ্যে নানা উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়া তালেবানে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আরও প্রকট করবে। আফগানিস্তানে ক্রমেই জায়গা করে নেওয়া আইএস এতে লাভবান হবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলারসের আফগানিস্তান-বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলমান বলেন, ‘এটা হবে আফগান তালেবানের জন্য এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। অনেকগুলো উপদলে বিভক্ত একটা সংগঠনের জন্য মোল্লা ওমর বা মোল্লা ওমরের আদর্শ ছিল একটি ঐক্যের শক্তি। তাঁর মৃত্যুর খবরটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। নেতৃত্ব নিয়ে সংগঠনের ভেতরে সহিংস সংকট শুরু হতে পারে।’
মোল্লা ওমর কেবল তালেবানের নেতাই ছিলেন না। এই অঞ্চলের সমভাবাপন্ন সব জঙ্গির কাছে তিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক গুরু। পর্যবেক্ষকদের মতে, তালেবানের নতুন নেতাকে হতে হবে মোল্লা ওমরের সমকক্ষ। তা না হলে এই অঞ্চলের জঙ্গিরা আইএসের দিকে ঝুঁকে পড়বে।
পাকিস্তানের লেখক ও বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বলেন, ‘কে নেতা নির্বাচিত হবেন, এর ওপরেই সবকিছু নির্ভর করবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কেউ একজন আমির নির্বাচিত না হলে...তালেবান গোষ্ঠী নিশ্চিতভাবেই অনেকগুলো উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়বে।’
গবেষক কুগেলমান বলছেন, মোল্লা ওমরের মৃত্যু স্থানীয় আইএস শাখার জন্য একটা ‘বিরাট আশীর্বাদ’। তিনি বলেন, ‘তালেবানের অনেকেই তাদের নেতার দীর্ঘ নীরবতায় অসন্তুষ্ট। এখন তারা নিজেদের সংগঠন ছেড়ে আইএসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের একটা বড় কারণ খুঁজে পাবে।’
এই অঞ্চলে শাখা বিস্তারের বিরুদ্ধে আইএসকে সম্প্রতি হুঁশিয়ার করে দেয় তালেবান। তা সত্ত্বেও তারা বেশ এগিয়ে গেছে। এ অঞ্চলের জঙ্গিরা অদৃশ্য মোল্লা ওমরের পরিবর্তে আইএস-প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্য প্রকাশেই আগ্রহ বোধ করছে বেশি।
আফগানিস্তান বিশেষজ্ঞ পাকিস্তানের রহিমুল্লাহ ইউসুফজাই বলেন, ‘তালেবান এখন তার অস্তিত্ব প্রশ্নে সবচেয়ে কঠিন সময়ের মুখোমুখি।’ তিনি দলছুট তালেবান নেতা আবদুর রউফ খাদিমের উদাহরণ টানেন। খাদিম সম্প্রতি আফগানিস্তানের হেলমান্দে আইএস পতাকা ওড়ান।
সাম্প্রতিক সময়ে তালেবান থেকে পক্ষত্যাগ করে যোদ্ধাদের আইএসে যোগ দেওয়ার বেশ কিছুসংখ্যক ঘটনা ঘটেছে। পক্ষত্যাগীদের কেউ কেউ তালেবানের ‘অদৃশ্য নেতা’ মোল্লা ওমরকে নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। কারণ, ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানে তালেবান ক্ষমতা হারানোর পর তাঁকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
দুই বছর আগে মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবর তালেবান অবশেষে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করায় সংগঠনটির মধ্যে বিভাজন আরও ঘনীভূত হবে। মোল্লা ওমরের মৃত্যু এরই মধ্যে নানা উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়া তালেবানে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আরও প্রকট করবে। আফগানিস্তানে ক্রমেই জায়গা করে নেওয়া আইএস এতে লাভবান হবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলারসের আফগানিস্তান-বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলমান বলেন, ‘এটা হবে আফগান তালেবানের জন্য এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। অনেকগুলো উপদলে বিভক্ত একটা সংগঠনের জন্য মোল্লা ওমর বা মোল্লা ওমরের আদর্শ ছিল একটি ঐক্যের শক্তি। তাঁর মৃত্যুর খবরটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। নেতৃত্ব নিয়ে সংগঠনের ভেতরে সহিংস সংকট শুরু হতে পারে।’
মোল্লা ওমর কেবল তালেবানের নেতাই ছিলেন না। এই অঞ্চলের সমভাবাপন্ন সব জঙ্গির কাছে তিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক গুরু। পর্যবেক্ষকদের মতে, তালেবানের নতুন নেতাকে হতে হবে মোল্লা ওমরের সমকক্ষ। তা না হলে এই অঞ্চলের জঙ্গিরা আইএসের দিকে ঝুঁকে পড়বে।
পাকিস্তানের লেখক ও বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বলেন, ‘কে নেতা নির্বাচিত হবেন, এর ওপরেই সবকিছু নির্ভর করবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কেউ একজন আমির নির্বাচিত না হলে...তালেবান গোষ্ঠী নিশ্চিতভাবেই অনেকগুলো উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়বে।’
গবেষক কুগেলমান বলছেন, মোল্লা ওমরের মৃত্যু স্থানীয় আইএস শাখার জন্য একটা ‘বিরাট আশীর্বাদ’। তিনি বলেন, ‘তালেবানের অনেকেই তাদের নেতার দীর্ঘ নীরবতায় অসন্তুষ্ট। এখন তারা নিজেদের সংগঠন ছেড়ে আইএসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের একটা বড় কারণ খুঁজে পাবে।’
এই অঞ্চলে শাখা বিস্তারের বিরুদ্ধে আইএসকে সম্প্রতি হুঁশিয়ার করে দেয় তালেবান। তা সত্ত্বেও তারা বেশ এগিয়ে গেছে। এ অঞ্চলের জঙ্গিরা অদৃশ্য মোল্লা ওমরের পরিবর্তে আইএস-প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্য প্রকাশেই আগ্রহ বোধ করছে বেশি।
আফগানিস্তান বিশেষজ্ঞ পাকিস্তানের রহিমুল্লাহ ইউসুফজাই বলেন, ‘তালেবান এখন তার অস্তিত্ব প্রশ্নে সবচেয়ে কঠিন সময়ের মুখোমুখি।’ তিনি দলছুট তালেবান নেতা আবদুর রউফ খাদিমের উদাহরণ টানেন। খাদিম সম্প্রতি আফগানিস্তানের হেলমান্দে আইএস পতাকা ওড়ান।
No comments