ইয়াকুবের শেষ আর্জি, ভুল হলে ক্ষমা করবেন
ভোর
৪টে ৫৫। সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত নির্দেশ আসতেই বদলে যায় সংশোধনাগারের
ছবিটা। নিমেষে দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত হয় নাগপুর জেল। সকাল সাড়ে ছ’টায়
এখানেই ৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণে দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির সাজা
কার্যকর হয়েছে। গত ৩১ বছরে এই প্রথম নাগপুর জেলে ফাঁসি হল কোনও আসামির।
বুধবার রাতেই ইয়াকুবের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট
প্রণব মুখোপাধ্যায়। তবে আজই ফাঁসির আদেশ কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে রাতভর
জল্পনা চলে। চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন ইয়াকুবের
আইনজীবীরা, পরিবারের সদস্যেরা। দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি নাগপুর জেল
কর্তৃপক্ষও।
কোর্টের নির্দেশ শোনামাত্র মিনিটের ব্যবধানে নাগপুর জেল চত্বর ঘিরে ফেলে রাজ্য পুলিশ, আধাসামরিকবাহিনী। জেলের বাইরে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ল্যান্ড-মাইন প্রতিরোধক গাড়ি। টিভিতে তত ক্ষণে ছড়িয়ে পড়েছে খবরটা। জেলের আশাপাশে ভিড় জমিয়েছেন অগুন্তি মানুষ। তাদের সামাল দিতে রীতমতো হিমশিম খান জেল কর্তৃপক্ষ।
ফাঁসি যে হচ্ছেই, গত কাল রাতেই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ইয়াকুব। জেলের এক রক্ষীকে বলেছিল, এখন কোনও চমৎকারই বাঁচাতে পারে আমায়। যদি কোনও ভুল করে থাকি ক্ষমা করে দেবেন। জেল সূত্রের খবর, গত দু’দিন ধরে মুখে কিছুই তোলেনি সে। বুধবার রাতে জেলে ইয়াকুবের সঙ্গে দেখা করতে এসছিলেন বড় ভাই সুলেমান আর তুতো ভাই উসমান। ভাইদের পেয়ে ভেঙে পড়েছিল ইয়াকুব। পরিবারের সকলের কথা জিজ্ঞেস করছিল বারবার। সুলেমানকেই ইয়াকুবকে কিছু খাইয়ে দিতে অনুরোধ করেছিলেন রক্ষীরা। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ রুটি, মাংস দেয়া হয়েছিল তাকে। ঘটনাচক্রে এ দিন জন্মদিনও ছিল ইয়াকুবের। ভাইয়ের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার কেকও এনেছিলেন সুলেমানরা। ভাইদের পাশাপাশি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন জেল কর্তৃপক্ষও। দু’-চার টুকরো রুটি খেলেও কেক মুখে তোলেনি ইয়াকুব।
নিয়মমাফিক ইয়াকুবের শেষ ইচ্ছে জানতে চেয়েছিলেন জেল কর্তৃপক্ষ। মেয়ে জুবেদার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল সে। সুযোগ মেলেনি। অগত্যা ফোনে মেয়ের গলা শুনেই ক্ষান্ত থাকতে হয়েছে। জেল থেকে বেরিয়ে সুলেমান জানিয়েছিলেন, মেয়ের সঙ্গে কথা বলে বেশ ফুরফুরে ছিল ইয়াকুব। ভাইকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, ঈশ্বরে ভরসা রাখো। তোমার জন্য লড়াই করছি। এখনও সব রাস্তা বন্ধ হয়নি। শীর্ষ আদালতে অন্তিম আবেদন জমা দেয়ার কথাটাও জানিয়েছিলেন। শেষ রক্ষা হয়নি। ভোর সাড়ে তিনটেয় তোলা হয় ইয়াকুবকে। পাঁচটা নাগাদ আদালতের রায় জানাজানি হতেই শুরু হয়ে যায় ফাঁসির প্রক্রিয়া।
কোর্টের নির্দেশ শোনামাত্র মিনিটের ব্যবধানে নাগপুর জেল চত্বর ঘিরে ফেলে রাজ্য পুলিশ, আধাসামরিকবাহিনী। জেলের বাইরে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ল্যান্ড-মাইন প্রতিরোধক গাড়ি। টিভিতে তত ক্ষণে ছড়িয়ে পড়েছে খবরটা। জেলের আশাপাশে ভিড় জমিয়েছেন অগুন্তি মানুষ। তাদের সামাল দিতে রীতমতো হিমশিম খান জেল কর্তৃপক্ষ।
ফাঁসি যে হচ্ছেই, গত কাল রাতেই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ইয়াকুব। জেলের এক রক্ষীকে বলেছিল, এখন কোনও চমৎকারই বাঁচাতে পারে আমায়। যদি কোনও ভুল করে থাকি ক্ষমা করে দেবেন। জেল সূত্রের খবর, গত দু’দিন ধরে মুখে কিছুই তোলেনি সে। বুধবার রাতে জেলে ইয়াকুবের সঙ্গে দেখা করতে এসছিলেন বড় ভাই সুলেমান আর তুতো ভাই উসমান। ভাইদের পেয়ে ভেঙে পড়েছিল ইয়াকুব। পরিবারের সকলের কথা জিজ্ঞেস করছিল বারবার। সুলেমানকেই ইয়াকুবকে কিছু খাইয়ে দিতে অনুরোধ করেছিলেন রক্ষীরা। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ রুটি, মাংস দেয়া হয়েছিল তাকে। ঘটনাচক্রে এ দিন জন্মদিনও ছিল ইয়াকুবের। ভাইয়ের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার কেকও এনেছিলেন সুলেমানরা। ভাইদের পাশাপাশি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন জেল কর্তৃপক্ষও। দু’-চার টুকরো রুটি খেলেও কেক মুখে তোলেনি ইয়াকুব।
নিয়মমাফিক ইয়াকুবের শেষ ইচ্ছে জানতে চেয়েছিলেন জেল কর্তৃপক্ষ। মেয়ে জুবেদার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল সে। সুযোগ মেলেনি। অগত্যা ফোনে মেয়ের গলা শুনেই ক্ষান্ত থাকতে হয়েছে। জেল থেকে বেরিয়ে সুলেমান জানিয়েছিলেন, মেয়ের সঙ্গে কথা বলে বেশ ফুরফুরে ছিল ইয়াকুব। ভাইকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, ঈশ্বরে ভরসা রাখো। তোমার জন্য লড়াই করছি। এখনও সব রাস্তা বন্ধ হয়নি। শীর্ষ আদালতে অন্তিম আবেদন জমা দেয়ার কথাটাও জানিয়েছিলেন। শেষ রক্ষা হয়নি। ভোর সাড়ে তিনটেয় তোলা হয় ইয়াকুবকে। পাঁচটা নাগাদ আদালতের রায় জানাজানি হতেই শুরু হয়ে যায় ফাঁসির প্রক্রিয়া।
No comments