মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা অসাধারণ, তবুও পেলেন না যথার্থ মূল্যায়ন
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা।ছবি: শরিফুল হাসান |
সাধারণ
জীবনযাপন করা তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন অসাধারণ এক সংগঠক ও নেতা। মহান
মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিকালে ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ভূমিকা ছিল অসাধারণ। কিন্তু আজও বাংলাদেশ তাঁকে
যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারেনি। আবার স্বাধীনতার পর ’৭৫ ঘাতকেরা তাঁকে বাঁচতে
দেয়নি।
তাজউদ্দীন আহমেদের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ২৩ জুলাই ছিল তাঁর জন্মদিন। তবে ঈদের ছুটিসহ নানা কারণে আজ শুক্রবার বিকেলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
আলোচনা সভার সূচনায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক আন্দোলনে তাজউদ্দীন আহমেদের অসাধারণ ভূমিকা ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ সংগঠক। আওয়ামী লীগের যত নেতা ছিলেন সম্ভবত তিনি ছিলেন সবচেয়ে সুশৃঙ্খল। সাধারণ, সৎ ও সরল জীবনযাপন করতেন তিনি। সারাটা জীবন তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছেন। শেষ জীবনে তো জীবন দিয়েই।’
প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল-হক বলেন, তাজউদ্দীন অনেক বড় মাপের মানুষ ছিলেন। এত বড় নেতা এত বড় নিষ্পাপ মানুষ এই দেশে খুব কমই জন্মেছিলেন।
সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সব নেতাই পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। কিন্তু তাজউদ্দীন শপথ নিয়েছিলেন দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত পরিবারের কাছে ফিরবেন না। তিনি শপথ রেখেছিলেন। তাজউদ্দীন জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুকে কতটা ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীনের মতো নেতা আর কোনো দিনই হয়তো জন্ম নেবে না এই দেশে’।
তাজউদ্দীন কন্যা সাংসদ সিমিন হোসেন বলেন, ‘বাবার ডায়েরি ভাষণসহ সবকিছু নিয়ে আমি কাজ করছি। প্রতিটি লাইনেই যেন অনেক কথা বলে গেছেন তিনি। তিনি তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্যে মানুষের কথা বলতেন। সরদার ফজলুল করিম সব সময় বলতেন তাজউদ্দীন সময়ের আগে জন্মেছেন এবং তাঁকে বোঝার মতো যোগ্যতা আমাদের ছিল না’।
তাজউদ্দীন আহমেদের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ২৩ জুলাই ছিল তাঁর জন্মদিন। তবে ঈদের ছুটিসহ নানা কারণে আজ শুক্রবার বিকেলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
আলোচনা সভার সূচনায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক আন্দোলনে তাজউদ্দীন আহমেদের অসাধারণ ভূমিকা ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ সংগঠক। আওয়ামী লীগের যত নেতা ছিলেন সম্ভবত তিনি ছিলেন সবচেয়ে সুশৃঙ্খল। সাধারণ, সৎ ও সরল জীবনযাপন করতেন তিনি। সারাটা জীবন তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছেন। শেষ জীবনে তো জীবন দিয়েই।’
প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল-হক বলেন, তাজউদ্দীন অনেক বড় মাপের মানুষ ছিলেন। এত বড় নেতা এত বড় নিষ্পাপ মানুষ এই দেশে খুব কমই জন্মেছিলেন।
সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সব নেতাই পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। কিন্তু তাজউদ্দীন শপথ নিয়েছিলেন দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত পরিবারের কাছে ফিরবেন না। তিনি শপথ রেখেছিলেন। তাজউদ্দীন জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুকে কতটা ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীনের মতো নেতা আর কোনো দিনই হয়তো জন্ম নেবে না এই দেশে’।
তাজউদ্দীন কন্যা সাংসদ সিমিন হোসেন বলেন, ‘বাবার ডায়েরি ভাষণসহ সবকিছু নিয়ে আমি কাজ করছি। প্রতিটি লাইনেই যেন অনেক কথা বলে গেছেন তিনি। তিনি তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্যে মানুষের কথা বলতেন। সরদার ফজলুল করিম সব সময় বলতেন তাজউদ্দীন সময়ের আগে জন্মেছেন এবং তাঁকে বোঝার মতো যোগ্যতা আমাদের ছিল না’।
No comments