‘পরিণতি ভোগ করতে হবে’ -ইয়াকুব মেননের ফাঁসি নিয়ে ছোটা শাকিলের হুঁশিয়ারি
১৯৯৩
সালের মুম্বই বিস্ফোরণে জড়িত থাকার দায়ে ইয়াকুব মেননের ফাঁসি কার্যকরের
তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দাউদ ইব্রাহীমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোটা শাকিল।
তার অভিযোগ, ভারত সরকার ইয়াকুব মেননের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এর পরিণতিও
ভারত সরকারকে ভোগ করতে হবে। তার দাবি, নির্দোষ ইয়াকুব তার ভাইয়ের (টাইগার
মেনন) কর্মের ফল ভোগ করেছে। তাকে ফাঁসি দেয়াটা ছিল ‘আইনী খুন’। এ খবর
দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রসঙ্গত, মুম্বই বিস্ফোরণের মূল হোতা ছিলেন
স্বয়ং দাউদ। ছোটা শাকিল নিজেও ওই মামলায় অভিযুক্ত। ইয়াকুব মেননের ফাঁসির পর
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে শাকিল বলেন, ইয়াকুবকে মওকুফের আশ্বাস
দিয়ে অনেকটা প্রলুব্ধ করে ভারতে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তাকে
ফাঁসিই দেয়া হলো। এরপর দাউদ বা এ বিস্ফোরণ মামলায় পলাতক অন্য কেউই ভারতে
ফেরার কথা চিন্তাও করবে না। এমনকি ক্ষমার আশ্বাস দিয়েও কাউকে ভারতে ফেরানোর
সব সম্ভাবনা শেষ বলে দাবি তার। ছোটা শাকিল বলেন, দাউদ ভাইয়েরও একই পরিণতি
ভোগ করতে হতো, যদি সে সময় তিনি ভারতে ফিরতেন। এটা এখন পরিষ্কার। প্রসঙ্গত,
ইয়াকুব মেননের বড় ভাই টাইগার মেনন ও কুখ্যাত মাফিয়া ডি-কোম্পানির প্রধান
দাউদ ইব্রাহীমই ১৯৯৩ সালের মার্চে ওই ভয়াবহ হামলাটি ঘটান। শাকিলের প্রশ্ন,
ইয়াকুবকে ফাঁসি দিয়ে কি বার্তা দিলো ভারত সরকার? একজন নির্দোষ লোককে তার
ভাইয়ের কর্মের কারণে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। ডি-কোম্পানি এর নিন্দা
জানাচ্ছে। এটি একটি আইনি খুন। এর পাল্টা কিছু ডি-কোমপানি করবে কিনা, এমন
প্রশ্নের জবাবে খুব শীতল স্বরে শাকিল বলেন, ওহ তো হোগা হি (এটা তো হবেই)।
শাকিলের মতে, টাইগার মেনন ছিল ওই হামলার মূল দায়ী ব্যক্তি। তিনি বারবার দাবি করছিলেন, ইয়াকুব ছিল নির্দোষ। শাকিল বলেন, ভবিষ্যতে সরকারের দেয়া ‘চকোলেট’ (প্রস্তাব), কোম্পানি বা কোম্পানির বাইরের কেউই আর কিনবে না। তার ভাষায়, কেউই তোমাদের সংস্থাগুলোকে বিশ্বাস করবে না, যদি তারা কোন প্রতিশ্রুতিও দেয়। ভবিষ্যতে কেউই ভারত সরকারকে বিশ্বাস করবে না। টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, কথোপকথনে বোঝা যায় যে, ইয়াকুব মেননের বিচার প্রক্রিয়া, বিশেষ করে শেষের অংশটুকু খুব ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রেখেছেন শাকিল। মনে হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি খুব ভালভাবেই ওয়াকিবহাল। তাকে প্রশ্ন করা হয় যে, তিনি কি মনে করেন টাইগার মেনন এ বিস্ফোরণে জড়িত? শাকিল জবাবে বলেন, চার্জশিটে তার ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সরকার এমন একজনের বিচার করলো, যে কিনা নিজের সঙ্গে অডিও ও ভিডিও প্রমাণ নিয়ে গিয়েছিল। ইয়াকুব তার অভিযুক্ত ভাই টাইগারের সঙ্গে এ হামলার বিষয়ে একমত ছিল না। সে চেয়েছিল আইনের পথে থাকতে। কিন্তু বিনিময়ে সে কি পেলো?
তিনি ইঙ্গিত দেন, ইয়াকুবের ভারত প্রত্যাবর্তন ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমঝোতার অংশ। তিনি বলেন, ইয়াকুবের পরিবারের ভিসা ঠিক করা হয় দুবাই থেকে। ইয়াকুব তার পরিবারকে কল করে, এরপর আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু কিসের জন্য? এ ফাঁসি দিয়ে কি পরিবর্তন হলো? আপনি কি নতুন কিছু পেয়েছেন? ইয়াকুব কষ্ট ভোগ করেছে। কেউ একজন কিছু একটা করেছে, অথচ সাজা পেলো তার ভাই। তার পাগল ভাইও সাজা পেলো, মা-ও সাজা পেলো! যে অপরাধ করেছে, তাকে ধরুন ও ফাঁসি দিন। একজন মানুষ সরকারকে বিশ্বাস করেছিল, কিন্তু সরকার সে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। সরকারের প্রতি কোম্পানির কোন বিশ্বাস নেই। কে ভারতে ফিরে যাবে মরার জন্য? ইয়াকুবের স্ত্রী কয়েক মাসের বাচ্চাকে নিয়ে ভারতে গিয়েছে, অথচ জেলে থেকেছে কয়েক মাস! এটা কোন ধরনের বিচার? দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে ইয়াকুবের সমপর্ক নিয়ে শাকিল বলেন, দাউদ ভাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ইয়াকুবের বিরুদ্ধে। কিন্তু এটি সত্য নয়।
কয়েক বছর আগেও মুম্বইয়ে বেশ ভয়ের সঙ্গে উচ্চারিত হতো শাকিলের নাম। এবারের কথোপকথনে তার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল মূলত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, তোমরা তোমাদের নিজেদের কর্মকর্তাদেরই বিশ্বাস কর না! বি রমন ও অন্যান্য অনেকে! তোমরা তার লেখাকেও বিশ্বাস করোনি! প্রসঙ্গত, বি রমন ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ সাবেক র’ কর্মকর্তা। বি রমন নিজের লেখায় মুম্বই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার পক্ষে প্রমাণ আনার জন্য ইয়াকুবকে ফাঁসিতে না ঝোলানোর পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছিলেন। সে লেখায় ‘চুক্তি’ শব্দটি উল্লেখ ছিল। এ শব্দটিকে পুঁজি করে, ইয়াকুবের আইনজীবীরা তাকে ফাঁসি না দেয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছিলেন। শাকিল আরও বলেন, দিল্লির একজন কর্মকর্তা, সিবিআই-এর, সে-ও বলেছিল হামলায় তার (ইয়াকুবের) দায় ছিল না। কিন্তু তোমরা তাকেও বিশ্বাস করোনি। সরকারি কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিকম সমপর্কেও মন্তব্য করেন তিনি। ইয়াকুবের ফাঁসি চূড়ান্ত হবার পর উজ্জ্বল নিকম বলেন, এ ফাঁসি সন্ত্রাসীদের জন্য একটি বার্তা। এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শাকিল বলেন, উজ্জ্বল নিকম বললো, এতে নাকি বার্তা দেয়া হচ্ছে। আরে ভাই, আমাদের বার্তা দেয়ার জন্য একজন নির্দোষ লোককে তোমরা ফাঁসি দেবে? এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, যে বিচারপতিদের বেঞ্চ ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল, তাদের দিয়েই রাত দেড়টার দিকে বেঞ্চ বসিয়ে রিভিউ পিটিশন দেখানো হলো। সুবিচার কিভাবে হবে?
শাকিলের মতে, টাইগার মেনন ছিল ওই হামলার মূল দায়ী ব্যক্তি। তিনি বারবার দাবি করছিলেন, ইয়াকুব ছিল নির্দোষ। শাকিল বলেন, ভবিষ্যতে সরকারের দেয়া ‘চকোলেট’ (প্রস্তাব), কোম্পানি বা কোম্পানির বাইরের কেউই আর কিনবে না। তার ভাষায়, কেউই তোমাদের সংস্থাগুলোকে বিশ্বাস করবে না, যদি তারা কোন প্রতিশ্রুতিও দেয়। ভবিষ্যতে কেউই ভারত সরকারকে বিশ্বাস করবে না। টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, কথোপকথনে বোঝা যায় যে, ইয়াকুব মেননের বিচার প্রক্রিয়া, বিশেষ করে শেষের অংশটুকু খুব ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রেখেছেন শাকিল। মনে হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি খুব ভালভাবেই ওয়াকিবহাল। তাকে প্রশ্ন করা হয় যে, তিনি কি মনে করেন টাইগার মেনন এ বিস্ফোরণে জড়িত? শাকিল জবাবে বলেন, চার্জশিটে তার ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সরকার এমন একজনের বিচার করলো, যে কিনা নিজের সঙ্গে অডিও ও ভিডিও প্রমাণ নিয়ে গিয়েছিল। ইয়াকুব তার অভিযুক্ত ভাই টাইগারের সঙ্গে এ হামলার বিষয়ে একমত ছিল না। সে চেয়েছিল আইনের পথে থাকতে। কিন্তু বিনিময়ে সে কি পেলো?
তিনি ইঙ্গিত দেন, ইয়াকুবের ভারত প্রত্যাবর্তন ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমঝোতার অংশ। তিনি বলেন, ইয়াকুবের পরিবারের ভিসা ঠিক করা হয় দুবাই থেকে। ইয়াকুব তার পরিবারকে কল করে, এরপর আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু কিসের জন্য? এ ফাঁসি দিয়ে কি পরিবর্তন হলো? আপনি কি নতুন কিছু পেয়েছেন? ইয়াকুব কষ্ট ভোগ করেছে। কেউ একজন কিছু একটা করেছে, অথচ সাজা পেলো তার ভাই। তার পাগল ভাইও সাজা পেলো, মা-ও সাজা পেলো! যে অপরাধ করেছে, তাকে ধরুন ও ফাঁসি দিন। একজন মানুষ সরকারকে বিশ্বাস করেছিল, কিন্তু সরকার সে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। সরকারের প্রতি কোম্পানির কোন বিশ্বাস নেই। কে ভারতে ফিরে যাবে মরার জন্য? ইয়াকুবের স্ত্রী কয়েক মাসের বাচ্চাকে নিয়ে ভারতে গিয়েছে, অথচ জেলে থেকেছে কয়েক মাস! এটা কোন ধরনের বিচার? দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে ইয়াকুবের সমপর্ক নিয়ে শাকিল বলেন, দাউদ ভাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ইয়াকুবের বিরুদ্ধে। কিন্তু এটি সত্য নয়।
কয়েক বছর আগেও মুম্বইয়ে বেশ ভয়ের সঙ্গে উচ্চারিত হতো শাকিলের নাম। এবারের কথোপকথনে তার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল মূলত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, তোমরা তোমাদের নিজেদের কর্মকর্তাদেরই বিশ্বাস কর না! বি রমন ও অন্যান্য অনেকে! তোমরা তার লেখাকেও বিশ্বাস করোনি! প্রসঙ্গত, বি রমন ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ সাবেক র’ কর্মকর্তা। বি রমন নিজের লেখায় মুম্বই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার পক্ষে প্রমাণ আনার জন্য ইয়াকুবকে ফাঁসিতে না ঝোলানোর পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছিলেন। সে লেখায় ‘চুক্তি’ শব্দটি উল্লেখ ছিল। এ শব্দটিকে পুঁজি করে, ইয়াকুবের আইনজীবীরা তাকে ফাঁসি না দেয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছিলেন। শাকিল আরও বলেন, দিল্লির একজন কর্মকর্তা, সিবিআই-এর, সে-ও বলেছিল হামলায় তার (ইয়াকুবের) দায় ছিল না। কিন্তু তোমরা তাকেও বিশ্বাস করোনি। সরকারি কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিকম সমপর্কেও মন্তব্য করেন তিনি। ইয়াকুবের ফাঁসি চূড়ান্ত হবার পর উজ্জ্বল নিকম বলেন, এ ফাঁসি সন্ত্রাসীদের জন্য একটি বার্তা। এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শাকিল বলেন, উজ্জ্বল নিকম বললো, এতে নাকি বার্তা দেয়া হচ্ছে। আরে ভাই, আমাদের বার্তা দেয়ার জন্য একজন নির্দোষ লোককে তোমরা ফাঁসি দেবে? এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, যে বিচারপতিদের বেঞ্চ ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল, তাদের দিয়েই রাত দেড়টার দিকে বেঞ্চ বসিয়ে রিভিউ পিটিশন দেখানো হলো। সুবিচার কিভাবে হবে?
No comments