স্বামীর খাওয়ানো এসিডে খাদ্যনালি পুড়লো দীপার
দীপা
রানি পণ্ডিত (২২)। মা-বাবার একমাত্র মেয়ে। ৮ মাস আগে রতন নামে এক যুবকের
সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। কিন্তু, বিয়ের
ছয় মাস যেতে না যেতে তাদের সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। রতন দীপার পরিবারের
কাছে অতিরিক্ত ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বসে। দীপার পরিবার নিম্নবিত্ত।
বিয়ের সময় অনেক কষ্ট করে যৌতুকের টাকা দিয়েছিল। আবার দাবিকৃত যৌতুকের টাকা
দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তারা। ক্ষিপ্ত হয় রতন। রতন দীপার হাত বেঁধে ফেলে।
বোতলে থাকা এসিড দীপাকে জোর করে খাইয়ে দেয়। বুকের মধ্যে এসিড ঢেলে দেয়। এতে
পুড়ে যায় খাদ্যনালী। পুড়ে যায় মুখের ডানপাশ। ঝলসে গেছে বুক। তিনি বর্তমানে
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। খাদ্যনালী পুড়ে যাওয়ায় জীবন
শঙ্কায় ভুগছেন তিনি। গত রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর আদমপুরের
শ্বশুরবাড়িতে দীপাকে মারধরের পর রতন একটি বোতলে থাকা এসিড তাকে খাইয়ে দেয়। এ
সময় দীপা চিৎকার ও কান্নাকাটি করলে পাষণ্ড স্বামীর কোন দয়ামায়া হয়নি। বরং
এসিড খাইয়ে তারা হাত বেঁধে মেঝের ওপর ফেলে রাখে। তখন অচেতন অবস্থায় পড়ে
থাকে দীপা। দীপা বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই
হাসপাতালের ২ নম্বর ভবনের ৮০১ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ওই ওয়ার্ডের ৫৩
নম্বর বেডে ভর্তি আছেন দীপা। অচেতন হয়ে শুয়ে আছেন তিনি। কখনও কখনও চোখ
মেলে তাকাচ্ছেন, আবার চোখ বন্ধ করছেন। এসিড খাদ্যনালীতে যাওয়ার পর থেকে
তার প্রচণ্ড কাশি হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে তিনি কিছুই খেতে পারছেন না। দীপার
বামপাশের একটি খালি বেডে তার মাসিমা বেবী পণ্ডিত ও ভাই অপু পণ্ডিত বসে
আছেন। দীপার এমন বিপদের ঘনঘটায় তারা নির্বাক। আহতের ফুফুমা বেবী পণ্ডিতের
চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল।
দীপার ভাই অপু পণ্ডিত কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার সদর থানার ছত্রসী এলাকায়। তারা এক ভাই এক বোন। দীপা বড়। গত ৮ মাস আগে রতন নামে এক যুবকের সঙ্গে দীপার বিয়ে হয়। রতন নরসিংদী বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করতো। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণ ও প্রায় ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র দেয়া হয়। গত দুই মাস ধরে রতনের আচার ব্যবহারে পরিবর্তন ঘটে। কারণে অকারণে দীপাকে মারধর করা হতো। মুখ বুজে সহ্য করতো দীপা। রতনের নির্যাতনের জন্য দীপা আর শ্বশুর বাড়িতে যেতে চাচ্ছিল না। পরে পারিবারিক সমাধানের মাধ্যমে আবার দীপা শ্বশুর বাড়িতে যায়।
অপু পণ্ডিত আরও জানান, প্রায় ১০ দিন আগে রতন দীপাকে বলে তাকে আরও ৩ লাখ টাকা যৌতুক দেয়ার জন্য। কিন্তু দীপা ওই টাকার কথা বলতে রাজি হননি। রোববার দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে রতন বোতলে থাকা এসিড দীপাকে জোর করে খাইয়ে দেয়। এ সময় দীপা চিৎকার চেঁচামেচি করলে রতন ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মধ্যে কোন মায়া জাগেনি। এরপর দীপা অচেতন হয়ে পড়ে যায়। পরে দীপার শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি বাড়ির লোকজন আমাদের মোবাইলে খবর দেয়। আমরা দীপাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসকররা দীপাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। দীপা সুস্থ হলে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দীপার ফুফু বেবী রানি পণ্ডিত জানান, ঘটনার ৫ দিন হয়ে গেলো। কিন্তু, দীপা কিছুই খেতে পারছে না। পানি পযর্ন্ত পান করলে তার পেটে জ্বালাপোড়া শুরু হচ্ছে। অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে আছে দীপা। এজন্য তাকে শুধু স্যালাইন দেয় হচ্ছে। প্রচণ্ড কাশি হচ্ছে তার। গত পাঁচদিন ধরে কোন খাবার না খাওয়ায় দীপা দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। দীপা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শরিফুজ্জামানের অধীনে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, তার খাদ্যনালী পুড়ে গেছে। তার এক্সরে করা হয়েছে। পুড়ে যাওয়া খাদ্যনালীতে যেন কোন ইনফেকশন না হয় এজন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
দীপার ভাই অপু পণ্ডিত কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার সদর থানার ছত্রসী এলাকায়। তারা এক ভাই এক বোন। দীপা বড়। গত ৮ মাস আগে রতন নামে এক যুবকের সঙ্গে দীপার বিয়ে হয়। রতন নরসিংদী বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করতো। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণ ও প্রায় ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র দেয়া হয়। গত দুই মাস ধরে রতনের আচার ব্যবহারে পরিবর্তন ঘটে। কারণে অকারণে দীপাকে মারধর করা হতো। মুখ বুজে সহ্য করতো দীপা। রতনের নির্যাতনের জন্য দীপা আর শ্বশুর বাড়িতে যেতে চাচ্ছিল না। পরে পারিবারিক সমাধানের মাধ্যমে আবার দীপা শ্বশুর বাড়িতে যায়।
অপু পণ্ডিত আরও জানান, প্রায় ১০ দিন আগে রতন দীপাকে বলে তাকে আরও ৩ লাখ টাকা যৌতুক দেয়ার জন্য। কিন্তু দীপা ওই টাকার কথা বলতে রাজি হননি। রোববার দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে রতন বোতলে থাকা এসিড দীপাকে জোর করে খাইয়ে দেয়। এ সময় দীপা চিৎকার চেঁচামেচি করলে রতন ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মধ্যে কোন মায়া জাগেনি। এরপর দীপা অচেতন হয়ে পড়ে যায়। পরে দীপার শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি বাড়ির লোকজন আমাদের মোবাইলে খবর দেয়। আমরা দীপাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসকররা দীপাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। দীপা সুস্থ হলে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দীপার ফুফু বেবী রানি পণ্ডিত জানান, ঘটনার ৫ দিন হয়ে গেলো। কিন্তু, দীপা কিছুই খেতে পারছে না। পানি পযর্ন্ত পান করলে তার পেটে জ্বালাপোড়া শুরু হচ্ছে। অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে আছে দীপা। এজন্য তাকে শুধু স্যালাইন দেয় হচ্ছে। প্রচণ্ড কাশি হচ্ছে তার। গত পাঁচদিন ধরে কোন খাবার না খাওয়ায় দীপা দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। দীপা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শরিফুজ্জামানের অধীনে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, তার খাদ্যনালী পুড়ে গেছে। তার এক্সরে করা হয়েছে। পুড়ে যাওয়া খাদ্যনালীতে যেন কোন ইনফেকশন না হয় এজন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
No comments