আগারগাঁওয়ের আইডিবি সড়কে ওয়াসা-গণপূর্ত ঠেলাঠেলি, বৃষ্টি না হলেও জলাবদ্ধতা কমে না
বৃষ্টি
শেষ হয়, কিন্তু জলাবদ্ধতা শেষ হয় না রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইডিবি
সড়কের শেষ মাথায় ই ব্লকের কোনায়। সড়কটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড
সড়ক নামেও পরিচিত। সড়কের মালিকানা গণপূর্ত অধিদপ্তরের। রক্ষণাবেক্ষণের
দায়িত্বও তাদের। সেখানে ওয়াসার ড্রেনেজ সংযোগ না থাকায় ভারী বৃষ্টি হলেই
সড়কটি হাঁটুপানিতে ডুবে যায়। আর অল্প বৃষ্টি হলে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা।
বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নির্মাণাধীন ভবন পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে এ জলাবদ্ধতা। নোংরা পানিতে ময়লা-আবর্জনা জমে ছোটখাটো ডোবায় পরিণত হয় সড়কের এই অংশ। ছড়ায় অসহনীয় দুর্গন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর ধরে সড়কটির এই অংশে সারা বছরই জলাবদ্ধতা থাকে।
জলাবদ্ধতা আর দুর্গন্ধের কারণে সড়কের এই অংশ ব্যবহারের অনুপযোগী। সড়কটি বাঁয়ে গিয়ে মিশেছে আগারগাঁও-শ্যামলী লিংক রোডে। এদিক দিয়ে কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও গাবতলীতে যাওয়া যায়। আর ডানের রাস্তাটা চলে গেছে ভাঙা ব্রিজ (বড় রাস্তার মাথা), মিরপুর ১ ও ২ নম্বর, ৬০ ফুট রাস্তা (নতুন) ও পশ্চিম আগারগাঁওয়ের দিকে।
সড়কটির শেষ মাথায় রয়েছে কুমিল্লা বস্তি। সেখানকার দোকানি মো. রফিক বললেন, ‘এখানে ২০-২৫ বছর ধরে আছি। আগে এমন দেখিনি। দুই-তিন বছর ধরেই এখানে পানি জমে থাকে। কোনো সংস্কার নেই। ড্রেনে আবর্জনা আটকে থাকে, পানি যাওয়ার জায়গা নেই।’
এলাকার ব্যবসায়ী মো. রাশেদ জানান, বৃষ্টির পানিতে ভেসে আসা ময়লা জড়ো হয় এখানে। দুর্গন্ধে টেকা যায় না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না, তাই পানি ও ময়লা—কোনোটাই সরতে পারে না। রাস্তার এ মাথাটা বেশ নিচু, পানি রাস্তা পার হয়েও কোনো দিকে যেতে পারে না।
সড়কটির চারধারে আছে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সরকারি দপ্তর ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), পাসপোর্ট অফিস, বাংলাদেশ প্রবীণ হাসপাতাল, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, নির্বাচন কমিশনের নির্মাণাধীন প্রধান কার্যালয়, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ নানা প্রতিষ্ঠান। ফলে বৃষ্টির দিন, এমনকি সাধারণ দিনগুলোতেও দুর্ভোগে পড়েন এ সড়ক ব্যবহারকারীরা।
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের এক নিরাপত্তারক্ষী বললেন, ‘এখানে মানুষ থাকতে পারে! গন্ধে গা গোলায়। ড্রেনগুলো বন্ধ, পানি যাইতে পারে না। বৃষ্টির দিনে পানি বাড়লে তো ঘর থেকেই বের হতে পারি না।’
এ বিষয়ে জনতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার জনতথ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সড়কটি ওয়াসার ৪ নম্বর জোনের মধ্যে পড়ে। কিন্তু, এটি রক্ষণাবেক্ষণের সব দায়দায়িত্ব গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি)। ওখানে ওয়াসার নিজস্ব কোনো ড্রেনেজ সংযোগ নেই। পুরোটাই সরকারি জায়গা। এখনো সড়কটি ওয়াসা কিংবা সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করেনি পিডব্লিউডি।
পিডব্লিউডির উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গিয়াসউদ্দিন হায়দার জানান, আগারগাঁওয়ের অধিকাংশ রাস্তাই পিডব্লিউডির অধীনে। তিনি বলেন, ‘ওই রাস্তার যারা ব্যবহারকারী, অর্থাৎ সড়কের আশপাশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি পিডব্লিউডির কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়, তাহলে আমরা ত্বরিত ব্যবস্থা নেব। পিডব্লিউডি ওই সড়কের জলাবদ্ধতা সম্পর্কে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। আর, সিটি করপোরেশন যদি সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়, তাহলে ভালোই হয়। আমরা তাদের তদারকির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেব। তবে, এ বিষয়ে তাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।’
বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নির্মাণাধীন ভবন পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে এ জলাবদ্ধতা। নোংরা পানিতে ময়লা-আবর্জনা জমে ছোটখাটো ডোবায় পরিণত হয় সড়কের এই অংশ। ছড়ায় অসহনীয় দুর্গন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর ধরে সড়কটির এই অংশে সারা বছরই জলাবদ্ধতা থাকে।
জলাবদ্ধতা আর দুর্গন্ধের কারণে সড়কের এই অংশ ব্যবহারের অনুপযোগী। সড়কটি বাঁয়ে গিয়ে মিশেছে আগারগাঁও-শ্যামলী লিংক রোডে। এদিক দিয়ে কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও গাবতলীতে যাওয়া যায়। আর ডানের রাস্তাটা চলে গেছে ভাঙা ব্রিজ (বড় রাস্তার মাথা), মিরপুর ১ ও ২ নম্বর, ৬০ ফুট রাস্তা (নতুন) ও পশ্চিম আগারগাঁওয়ের দিকে।
সড়কটির শেষ মাথায় রয়েছে কুমিল্লা বস্তি। সেখানকার দোকানি মো. রফিক বললেন, ‘এখানে ২০-২৫ বছর ধরে আছি। আগে এমন দেখিনি। দুই-তিন বছর ধরেই এখানে পানি জমে থাকে। কোনো সংস্কার নেই। ড্রেনে আবর্জনা আটকে থাকে, পানি যাওয়ার জায়গা নেই।’
এলাকার ব্যবসায়ী মো. রাশেদ জানান, বৃষ্টির পানিতে ভেসে আসা ময়লা জড়ো হয় এখানে। দুর্গন্ধে টেকা যায় না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না, তাই পানি ও ময়লা—কোনোটাই সরতে পারে না। রাস্তার এ মাথাটা বেশ নিচু, পানি রাস্তা পার হয়েও কোনো দিকে যেতে পারে না।
সড়কটির চারধারে আছে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সরকারি দপ্তর ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), পাসপোর্ট অফিস, বাংলাদেশ প্রবীণ হাসপাতাল, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, নির্বাচন কমিশনের নির্মাণাধীন প্রধান কার্যালয়, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ নানা প্রতিষ্ঠান। ফলে বৃষ্টির দিন, এমনকি সাধারণ দিনগুলোতেও দুর্ভোগে পড়েন এ সড়ক ব্যবহারকারীরা।
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের এক নিরাপত্তারক্ষী বললেন, ‘এখানে মানুষ থাকতে পারে! গন্ধে গা গোলায়। ড্রেনগুলো বন্ধ, পানি যাইতে পারে না। বৃষ্টির দিনে পানি বাড়লে তো ঘর থেকেই বের হতে পারি না।’
এ বিষয়ে জনতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার জনতথ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সড়কটি ওয়াসার ৪ নম্বর জোনের মধ্যে পড়ে। কিন্তু, এটি রক্ষণাবেক্ষণের সব দায়দায়িত্ব গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি)। ওখানে ওয়াসার নিজস্ব কোনো ড্রেনেজ সংযোগ নেই। পুরোটাই সরকারি জায়গা। এখনো সড়কটি ওয়াসা কিংবা সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করেনি পিডব্লিউডি।
পিডব্লিউডির উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গিয়াসউদ্দিন হায়দার জানান, আগারগাঁওয়ের অধিকাংশ রাস্তাই পিডব্লিউডির অধীনে। তিনি বলেন, ‘ওই রাস্তার যারা ব্যবহারকারী, অর্থাৎ সড়কের আশপাশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি পিডব্লিউডির কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়, তাহলে আমরা ত্বরিত ব্যবস্থা নেব। পিডব্লিউডি ওই সড়কের জলাবদ্ধতা সম্পর্কে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। আর, সিটি করপোরেশন যদি সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়, তাহলে ভালোই হয়। আমরা তাদের তদারকির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেব। তবে, এ বিষয়ে তাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।’
আগারগাঁওয়ের আইডিবি সড়কের শেষ মাথায় জমে আছে বৃষ্টির পানি। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নেই l প্রথম আলো |
No comments