বাঘ পশ্চিমবঙ্গে বেড়াতে গেছে -বনমন্ত্রী
বাঘ দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু |
সুন্দরবনের
বাঘের সংখ্যা ১০৬টি—এই তথ্য শুনে হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশ ও
বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো পরিসংখ্যানই সবচেয়ে বড়
মিথ্যা কথা। কেননা বাঘ কতটা পাওয়া গেছে তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে কখন তা
গোনা হয়েছে। চলেন আমরা এখন বাঘ গুনতে যাই। দেখা যাবে বাঘের সংখ্যা বেড়ে
গেছে।’
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিশ্ব বাঘ দিবস-২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকেরা আমাকে প্রশ্ন করেছে, বাঘের সংখ্যা এত কমল কেন? আমি তাদের বলেছি, সুন্দরবনের বাঘ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেড়াতে গেছে। এ জন্য বাঘের সংখ্যা কম পাওয়া গেছে। বাঘগুলো ফিরলে সংখ্যাও বাড়বে।’
এবারের বাঘ দিবসে স্লোগান—‘বাঘ বাঁচলে, বাঁচবে বন, রক্ষা পাবে সুন্দরবন’। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বাঘ রক্ষায় দেশে সচেতনতা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সবাই মিলে এই বাঘকে রক্ষা করতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন সংরক্ষক তপন কুমার দে বলেন, ১৯০০ সালে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা ছিল এক লাখ। বর্তমানে তা চার হাজারে নেমে এসেছে। ক্যামেরা পদ্ধতিতে বন বিভাগের জরিপে বাঘের সংখ্যা বর্তমানে ১০৬টি উল্লেখ করে তপন দে বলেন, ‘এ সংখ্যা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, সুন্দরবনের ভেতর নৌপথ চালু হওয়ার পর বাঘ শিকার বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ। তিনি বলেন, ২০১১ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বাঘ সম্মেলনে বাংলাদেশ যে অঙ্গীকার করেছিল, তা যদি বাস্তবায়িত হতো তাহলে আজকে বাঘের সংখ্যা এতটা কমে আসত না। বনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচলের কথা ছিল না। বনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণেরও কথা ছিল না। বাঘ রক্ষা করতে হলে এসব তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশের বাঘ ও সুন্দরবন রক্ষায় বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টিনি ই কিম্যাস। তিনি বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মধ্যে বাঘ রক্ষায় যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে বন বিভাগকে পরামর্শ দেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিশ্ব বাঘ দিবস-২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকেরা আমাকে প্রশ্ন করেছে, বাঘের সংখ্যা এত কমল কেন? আমি তাদের বলেছি, সুন্দরবনের বাঘ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেড়াতে গেছে। এ জন্য বাঘের সংখ্যা কম পাওয়া গেছে। বাঘগুলো ফিরলে সংখ্যাও বাড়বে।’
এবারের বাঘ দিবসে স্লোগান—‘বাঘ বাঁচলে, বাঁচবে বন, রক্ষা পাবে সুন্দরবন’। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বাঘ রক্ষায় দেশে সচেতনতা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সবাই মিলে এই বাঘকে রক্ষা করতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন সংরক্ষক তপন কুমার দে বলেন, ১৯০০ সালে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা ছিল এক লাখ। বর্তমানে তা চার হাজারে নেমে এসেছে। ক্যামেরা পদ্ধতিতে বন বিভাগের জরিপে বাঘের সংখ্যা বর্তমানে ১০৬টি উল্লেখ করে তপন দে বলেন, ‘এ সংখ্যা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, সুন্দরবনের ভেতর নৌপথ চালু হওয়ার পর বাঘ শিকার বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ। তিনি বলেন, ২০১১ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বাঘ সম্মেলনে বাংলাদেশ যে অঙ্গীকার করেছিল, তা যদি বাস্তবায়িত হতো তাহলে আজকে বাঘের সংখ্যা এতটা কমে আসত না। বনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচলের কথা ছিল না। বনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণেরও কথা ছিল না। বাঘ রক্ষা করতে হলে এসব তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশের বাঘ ও সুন্দরবন রক্ষায় বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টিনি ই কিম্যাস। তিনি বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মধ্যে বাঘ রক্ষায় যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে বন বিভাগকে পরামর্শ দেন।
No comments