মুখের যত অসুখ-বিসুখ by ডা: মো: আসাফুজ্জোহা রাজ
আজ
২০ মার্চ সমগ্র বিশ্ব মুখের স্বাস্থ্য দিবস পালন করে। ‘জীবনের জন্য হাসি’
স্লোগানে এবারের দিবসটি পালিত হচ্ছে মুখের অভ্যন্তরের রোগ প্রতিরোধের ওপর
বিশেষ জোর দিয়ে। শুধু আমাদের দেশেই নয় উন্নত বিশ্বেও ৯০ শতাংশ মানুষ তাদের
জীবদ্দশায় দাঁত সম্পর্কীয় রোগে আক্রান্ত হয়, ৭০-৯০% স্কুলগামী শিশুর দাঁতে
গর্ত হয় চিকিৎসা গবেষকেরা স্পষ্ট প্রমাণ করেছেন দাঁত সম্পর্কীয় জটিলতা থেকে
শরীরের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন- হার্ট, কিডনি, মস্তিষ্ক, রক্ত
ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, গর্ভাবস্থায় মুখের অবহেলিত রোগ থেকে মা ও গর্ভের
শিশুর জটিলতা হতে পারে। দাঁত ছাড়া মানুষ শুধু চর্বনের অভাবে খাদ্যকে হজমের
অনুপযোগী করে না, সাথে চেহারা নষ্ট করে, স্পষ্ট উচ্চারণ ব্যাহত হয়,
ব্যক্তিত্বহানি ঘটে এমনকি কাজের উৎসাহ ও স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে।
সৃষ্টিকর্তার দেয়া সুস্থ দাঁতের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক রোগ হয় না। আমাদের অবহেলা, উদাসীনতা ও পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবেই দাঁত ও মাড়িতে রোগ বাসা বাঁধে। সাধারণত পর্যাপ্ত পরিষ্কারে প্রতি দাঁতেও এক হাজার থেকে এক লাখ ব্যাকটেরিয়া জাতীয় জীবাণু বাস করে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে পাঁচ ঘণ্টায় এর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি পরিণত হতে পারে। মুখের অভ্যন্তরে ৭০০’র বেশি প্রজাতির জীবাণুর আবাসস্থল। এসব অগণিত জীবাণু আমাদের নিঃসৃত লালা, গৃহীত খাদ্যকণা আর মুখ পরিষ্কারের অবহেলার কারণে সক্রিয় হয়ে দাঁত ও মাড়িসহ মুখের অভ্যন্তরে নানা রোগের সৃষ্টি করে। বিষয়গুলোর ওপর প্রাথমিক ধারণা থাকলে আমরা দাঁত ও মাড়িসহ মুখের অন্যান্য রোগকে প্রতিরোধ করতে পারি। প্রতিরোধের প্রধান কার্যকরী শর্ত হচ্ছে নিয়মিত ও নিয়ম অনুযায়ী মুখ পরিষ্কার রাখা। সকালে নাশতার পর ও রাতে ঘুমানোর আগে যথাযথ নিয়মে মাত্র তিন মিনিট সময় নিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। নির্দিষ্ট সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে মনগড়া পদ্ধতিতে মুখ পরিষ্কার অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নিয়ম জানতে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। মুখের অগণিত জীবাণু কখনই খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। খাদ্যাভাসের কিছু পরিবর্তন জরুরি। মিষ্টি-আঠালো জাতীয় খাদ্য দাঁতের শত্রু। মুখের স্বাস্থ্যবান্ধব খাদ্য তালিকা মেনে চলতে হবে। ধূমপান, পান, জর্দাকে এখনই বিদায় জানানো জরুরি।
সচেতনতা ও নিজ সাবধানতার পাশাপাশি সমগ্র বিশ্ব ছয় মাস পরপর ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার ব্যাপারে জোরালো তাগিদ দেয়। কারণ মুখের বেশির ভাগ রোগ হলে সেটা ক্রমশ বাড়তে থাকে। সময়ের সাথে সাথে রোগের ধরন, চিকিৎসা জটিলতা বৃদ্ধি ও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।
আমাদের দেশের চিকিৎসার মান এখন অনেকটাই উন্নত বিশ্ব সমমানের। দেশে সাত হাজারের মতো অনুমোদিত দাঁতের চিকিৎসকের অক্লান্ত পরিশ্রমে সাধারণ রোগীর চিকিৎসাবিষয়ক অহেতুক শঙ্কা বা ভয় এখন অযৌক্তিক। বিশ্ব মুখের স্বাস্থ্য দিবসে আমরা সবাই মুখের যথার্থ যত্নের বিষয়ে সচেষ্ট হই, সুস্থ দাঁত ও নির্মল হাসিতে জীবনকে সুন্দর করি।
jrraj2009@yahoo.com
সৃষ্টিকর্তার দেয়া সুস্থ দাঁতের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক রোগ হয় না। আমাদের অবহেলা, উদাসীনতা ও পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবেই দাঁত ও মাড়িতে রোগ বাসা বাঁধে। সাধারণত পর্যাপ্ত পরিষ্কারে প্রতি দাঁতেও এক হাজার থেকে এক লাখ ব্যাকটেরিয়া জাতীয় জীবাণু বাস করে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে পাঁচ ঘণ্টায় এর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি পরিণত হতে পারে। মুখের অভ্যন্তরে ৭০০’র বেশি প্রজাতির জীবাণুর আবাসস্থল। এসব অগণিত জীবাণু আমাদের নিঃসৃত লালা, গৃহীত খাদ্যকণা আর মুখ পরিষ্কারের অবহেলার কারণে সক্রিয় হয়ে দাঁত ও মাড়িসহ মুখের অভ্যন্তরে নানা রোগের সৃষ্টি করে। বিষয়গুলোর ওপর প্রাথমিক ধারণা থাকলে আমরা দাঁত ও মাড়িসহ মুখের অন্যান্য রোগকে প্রতিরোধ করতে পারি। প্রতিরোধের প্রধান কার্যকরী শর্ত হচ্ছে নিয়মিত ও নিয়ম অনুযায়ী মুখ পরিষ্কার রাখা। সকালে নাশতার পর ও রাতে ঘুমানোর আগে যথাযথ নিয়মে মাত্র তিন মিনিট সময় নিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। নির্দিষ্ট সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে মনগড়া পদ্ধতিতে মুখ পরিষ্কার অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নিয়ম জানতে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। মুখের অগণিত জীবাণু কখনই খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। খাদ্যাভাসের কিছু পরিবর্তন জরুরি। মিষ্টি-আঠালো জাতীয় খাদ্য দাঁতের শত্রু। মুখের স্বাস্থ্যবান্ধব খাদ্য তালিকা মেনে চলতে হবে। ধূমপান, পান, জর্দাকে এখনই বিদায় জানানো জরুরি।
সচেতনতা ও নিজ সাবধানতার পাশাপাশি সমগ্র বিশ্ব ছয় মাস পরপর ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার ব্যাপারে জোরালো তাগিদ দেয়। কারণ মুখের বেশির ভাগ রোগ হলে সেটা ক্রমশ বাড়তে থাকে। সময়ের সাথে সাথে রোগের ধরন, চিকিৎসা জটিলতা বৃদ্ধি ও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।
আমাদের দেশের চিকিৎসার মান এখন অনেকটাই উন্নত বিশ্ব সমমানের। দেশে সাত হাজারের মতো অনুমোদিত দাঁতের চিকিৎসকের অক্লান্ত পরিশ্রমে সাধারণ রোগীর চিকিৎসাবিষয়ক অহেতুক শঙ্কা বা ভয় এখন অযৌক্তিক। বিশ্ব মুখের স্বাস্থ্য দিবসে আমরা সবাই মুখের যথার্থ যত্নের বিষয়ে সচেষ্ট হই, সুস্থ দাঁত ও নির্মল হাসিতে জীবনকে সুন্দর করি।
jrraj2009@yahoo.com
No comments