যে ‘নো’ আসলে ‘নো’ নয়
ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর নিয়মিত একটি আয়োজন ‘ম্যাচ পয়েন্ট’। ম্যাচের বিভিন্ন দিক নিয়ে যেখানে খোলামেলা আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা। কালকের আলোচনার বিষয় ছিল রুবেল হোসেনের ‘নো বল’। মাইকেল হোল্ডিং, মার্টিন ক্রো ও অজিত আগারকার, তিনজনই একমত—ওই ‘নো’ মোটেও ‘নো’ ছিল না।
বলতে পারেন, এটা বুঝতে হোল্ডিংদের মতো বিশেষজ্ঞের সাহায্য কেন নিতে হবে? আমজনতার খালি চোখেই ধরা পড়েছে। কাল ইয়ান গোল্ড ও আলিম দারের ওই সিদ্ধান্ত অনেককেই ফিরিয়ে নিয়ে গেছে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জিততে শেষ বলে ৩ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। থিসারা পেরেরার কোমরসমান ফুলটসে ক্যাচ হয়েছিলেন এনামুল হক। আম্পায়ার আউট দিলেও পরে টিভি রিপ্লে দেখে বারবারই মনে হয়েছে, হয়তো ছিল ‘নো’ বল। সেটি নিয়ে তবু বিতর্ক বা আলোচনার কিছু ছিল। ছিল ভিন্ন মত। কিন্তু কালকের সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ, সংশয়ের অবকাশ ছিল না এতটুকুও। নতুন জীবন উপহার পেয়ে রোহিত শর্মা পরের ৪৬ করেছেন ২৪ বলে। ওই সিদ্ধান্তে ম্যাচের লাগাম হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। রোহিত ভারতকে এগিয়ে নিয়েছেন তিন শর পথে।
সিদ্ধান্তের পরপরই সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান ভি ভি এস লক্ষ্মণের টুইট, ‘বাজে সিদ্ধান্ত গোল্ডের, অবশ্যই বলটা কোমরের ওপরে ছিল না। রোহিতের সৌভাগ্য। এই সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দিতে পারে ২০ রান কম-বেশিতে।’ ইনিংস শেষে এই কথাটিই বললেন লক্ষ্মণের সাবেক সতীর্থ আগারকার, ‘অবশ্যই ভুল সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ অবশ্যই মনে করতে পারে, তাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। কারণ সেঞ্চুরির পর রোহিত আরও দ্রুত খেলেছে। তখন রোহিত আউট হলে ভারতের রান হয়তো ৩০০ হতো না।’
ক্যারিবিয়ান পেস গ্রেট হোল্ডিং অবাক মাঠের দুই আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য না নেওয়ায়, ‘অবশ্যই আম্পায়াররা ভুল করেছে। কতবারই তো দেখেছি, এসব ক্ষেত্রে আম্পায়াররা তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেয়। আজ সেটা নেওয়া হয়নি। অত্যন্ত বাজে সিদ্ধান্ত।’ একই বিস্ময় সাবেক কিউই অধিনায়ক ক্রোর কণ্ঠেও, ‘বলটা অবশ্যই কোমরের নিচে ছিল। আমি বুঝলাম না, তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যেতে সমস্যাটা ছিল কোথায়? ৫ সেকেন্ড বাড়তি সময় নেওয়া গেল না!’ হোল্ডিং একটা পরামর্শও দিয়েছেন আইসিসিকে, ‘এসব ক্ষেত্রে ফিল্ডিং দলের অধিনায়ককে একটা রিভিউয়ের সুযোগ দেওয়া উচিত। কোনো দল যদি মনে করে বলটি নো ছিল না, তাহলে রিভিউয়ের একটা সুযোগ অবশ্যই পেতে পারে।’
রুবেলের ‘নো’ বল আসলে নো ছিল না নিশ্চিত। বাংলাদেশের বিপক্ষে যাওয়া আরও দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েও আছে ঘোর সংশয়। ৩৪তম ওভারে সুরেশ রায়নার বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদনে ইয়ান গোল্ড সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়েছিলেন মাশরাফি। স্টার স্পোর্টসের রিপ্লেতে দেখা গেছে বলের মাঝ বরাবরের সিম মিলিমিটারের জন্য লেগ স্টাম্প লাইনের বাইরে ছিল। ফক্স স্পোর্টসের আরেকটি ফুটেজে আবার দেখা গেছে, বলের অর্ধেকের সামান্য বেশি অংশ লেগ স্টাম্প লাইনের ভেতরেই ছিল! স্টার স্পোর্টসে রিপ্লে আর দেখায়নি বলে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ছিল কঠিন। তৃতীয় আম্পায়ার স্টিভ ডেভিসের জন্য অবশ্য অতটুকুই ছিল যথেষ্ট! তখন ১৮ বলে ১০ রানে থাকা রায়না পরের ৩৯ বলে ৫৫ করে ঘুরিয়ে দিয়েছেন ম্যাচের মোড়।
আরেক প্রশ্ন শিখর ধাওয়ানের নেওয়া মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ নিয়েও। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না ধাওয়ানের পা বাউন্ডারির বিজ্ঞাপনী টবলার ছুঁয়েছে কি না। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত অনেকগুলো অ্যাঙ্গেল থেকে অনেক ‘জুম’ করে রিপ্লে দেখা হয়। কাল অত কিছুর প্রয়োজন হয়নি, সিদ্ধান্ত নিতে খুব দেরি করেননি তৃতীয় আম্পায়ার স্টিভ ডেভিস।
একটি নিশ্চিত আউট কেড়ে নেওয়া, আরও দুটি নিয়ে ধোঁয়াশা—হতাশার চেয়ে বেশি তাই ক্ষোভ আর প্রশ্ন!
বলতে পারেন, এটা বুঝতে হোল্ডিংদের মতো বিশেষজ্ঞের সাহায্য কেন নিতে হবে? আমজনতার খালি চোখেই ধরা পড়েছে। কাল ইয়ান গোল্ড ও আলিম দারের ওই সিদ্ধান্ত অনেককেই ফিরিয়ে নিয়ে গেছে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জিততে শেষ বলে ৩ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। থিসারা পেরেরার কোমরসমান ফুলটসে ক্যাচ হয়েছিলেন এনামুল হক। আম্পায়ার আউট দিলেও পরে টিভি রিপ্লে দেখে বারবারই মনে হয়েছে, হয়তো ছিল ‘নো’ বল। সেটি নিয়ে তবু বিতর্ক বা আলোচনার কিছু ছিল। ছিল ভিন্ন মত। কিন্তু কালকের সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ, সংশয়ের অবকাশ ছিল না এতটুকুও। নতুন জীবন উপহার পেয়ে রোহিত শর্মা পরের ৪৬ করেছেন ২৪ বলে। ওই সিদ্ধান্তে ম্যাচের লাগাম হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। রোহিত ভারতকে এগিয়ে নিয়েছেন তিন শর পথে।
সিদ্ধান্তের পরপরই সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান ভি ভি এস লক্ষ্মণের টুইট, ‘বাজে সিদ্ধান্ত গোল্ডের, অবশ্যই বলটা কোমরের ওপরে ছিল না। রোহিতের সৌভাগ্য। এই সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দিতে পারে ২০ রান কম-বেশিতে।’ ইনিংস শেষে এই কথাটিই বললেন লক্ষ্মণের সাবেক সতীর্থ আগারকার, ‘অবশ্যই ভুল সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ অবশ্যই মনে করতে পারে, তাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। কারণ সেঞ্চুরির পর রোহিত আরও দ্রুত খেলেছে। তখন রোহিত আউট হলে ভারতের রান হয়তো ৩০০ হতো না।’
ক্যারিবিয়ান পেস গ্রেট হোল্ডিং অবাক মাঠের দুই আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য না নেওয়ায়, ‘অবশ্যই আম্পায়াররা ভুল করেছে। কতবারই তো দেখেছি, এসব ক্ষেত্রে আম্পায়াররা তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেয়। আজ সেটা নেওয়া হয়নি। অত্যন্ত বাজে সিদ্ধান্ত।’ একই বিস্ময় সাবেক কিউই অধিনায়ক ক্রোর কণ্ঠেও, ‘বলটা অবশ্যই কোমরের নিচে ছিল। আমি বুঝলাম না, তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যেতে সমস্যাটা ছিল কোথায়? ৫ সেকেন্ড বাড়তি সময় নেওয়া গেল না!’ হোল্ডিং একটা পরামর্শও দিয়েছেন আইসিসিকে, ‘এসব ক্ষেত্রে ফিল্ডিং দলের অধিনায়ককে একটা রিভিউয়ের সুযোগ দেওয়া উচিত। কোনো দল যদি মনে করে বলটি নো ছিল না, তাহলে রিভিউয়ের একটা সুযোগ অবশ্যই পেতে পারে।’
রুবেলের ‘নো’ বল আসলে নো ছিল না নিশ্চিত। বাংলাদেশের বিপক্ষে যাওয়া আরও দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েও আছে ঘোর সংশয়। ৩৪তম ওভারে সুরেশ রায়নার বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদনে ইয়ান গোল্ড সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়েছিলেন মাশরাফি। স্টার স্পোর্টসের রিপ্লেতে দেখা গেছে বলের মাঝ বরাবরের সিম মিলিমিটারের জন্য লেগ স্টাম্প লাইনের বাইরে ছিল। ফক্স স্পোর্টসের আরেকটি ফুটেজে আবার দেখা গেছে, বলের অর্ধেকের সামান্য বেশি অংশ লেগ স্টাম্প লাইনের ভেতরেই ছিল! স্টার স্পোর্টসে রিপ্লে আর দেখায়নি বলে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ছিল কঠিন। তৃতীয় আম্পায়ার স্টিভ ডেভিসের জন্য অবশ্য অতটুকুই ছিল যথেষ্ট! তখন ১৮ বলে ১০ রানে থাকা রায়না পরের ৩৯ বলে ৫৫ করে ঘুরিয়ে দিয়েছেন ম্যাচের মোড়।
আরেক প্রশ্ন শিখর ধাওয়ানের নেওয়া মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ নিয়েও। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না ধাওয়ানের পা বাউন্ডারির বিজ্ঞাপনী টবলার ছুঁয়েছে কি না। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত অনেকগুলো অ্যাঙ্গেল থেকে অনেক ‘জুম’ করে রিপ্লে দেখা হয়। কাল অত কিছুর প্রয়োজন হয়নি, সিদ্ধান্ত নিতে খুব দেরি করেননি তৃতীয় আম্পায়ার স্টিভ ডেভিস।
একটি নিশ্চিত আউট কেড়ে নেওয়া, আরও দুটি নিয়ে ধোঁয়াশা—হতাশার চেয়ে বেশি তাই ক্ষোভ আর প্রশ্ন!
No comments