ইলিয়াস নিখোঁজের তদন্ত কার্যত থেমে আছে
বিএনপির
যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ নিখোঁজ হওয়ার প্রায় তিন বছর আগে নিখোঁজ
হন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী। ইলিয়াস নিখোঁজের ঘটনায় তাঁর
স্ত্রীও সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীর মতো উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন। আদালত রুলও
দিয়েছিলেন।
এ ছাড়া ইলিয়াস নিখোঁজের ঘটনা তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ৪৮ ঘণ্টা অন্তর দাখিল করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মহানগর আদালত। পুলিশ দাবি করেছে, তারা নিয়মিত অগ্রগতি প্রতিবেদন দিচ্ছে। তবে ইলিয়াসের পরিবারের অভিযোগ, বাস্তবে তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। তদন্তও থেমে আছে। ইলিয়াসেরও খোঁজ নেই। তাঁর পরিবার মনে করছে, ইলিয়াস ও চলতি বছরের ১০ মার্চ সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে বনানীর রাস্তা থেকে নিখোঁজ হন সাবেক সাংসদ ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক মো. আনসার। ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে ১৯ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন তাঁর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইলিয়াসকে কেন আদালতে হাজির করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ওই দিন বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেন আদালত। আদালত স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালকসহ ১০ জন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ইলিয়াস নিখোঁজের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাঈনুল ইসলাম ঘটনা তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। তৎকালীন মহানগর হাকিম মনিরুজ্জামান এ বিষয়ে বানানী থানার পুলিশকে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন।
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর গত সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা পাওয়া একজন নাগরিকের অধিকার। কেউ নিখোঁজ থাকলে নাগরিক আশা করেন, রাষ্ট্র সাহায্য করবে। কিন্তু আমরা দেখছি, খুঁজে না দিয়ে দায় এড়িয়ে চলার চেষ্টা হচ্ছে।’ স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি অভিযোগ করেছিলেন, সরকারের কোনো বাহিনী তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ওই সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ইলিয়াস আলীকে র্যাব তুলে নিয়ে গেছে।
তাহসিনা রুশদীর বলেন, রুলের জবাব ও পুলিশের তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন যে কতটা অন্তঃসারশূন্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি মনে করেন, ইলিয়াস ও সালাহ উদ্দিনের ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। সোমবার সকালে বিবিসি বাংলায় সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির যোগাযোগ আছে অবশ্যই।’ তিনি বলেন, ‘ওরা আন্তরিকভাবে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বা কোনো চেষ্টা আছে বলে লক্ষ করিনি। ঘটনার আধা ঘণ্টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছিলাম। এর পরও তারা কোনো খোঁজ পাবে না, সেটা আমি মনে করি না।’
তাহসিনা রুশদীর বলেন, ‘আমি দেশের নাগরিক, আমার স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য এবং একটি বড় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি জানেন। এর পরও রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা না পেলে আমার পক্ষে তো আর কিছুই করা সম্ভব না।’
তাহসিনা রুশদীরের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিট আবেদনটি এখনো বিচারাধীন। পুলিশ, র্যাব ও ডিবি ইলিয়াস আলীকে গ্রেপ্তার বা আটকের কথা অস্বীকার করেছে। এ কারণে আমরা শুনানি করিনি।’
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূঁইয়া মাহবুব হাসান গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, আদালতে তাঁরা নিয়মিত অগ্রগতি প্রতিবেদন দিচ্ছেন। তদন্তও চলছে। তবে ইলিয়াস আলীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ছাড়া ইলিয়াস নিখোঁজের ঘটনা তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ৪৮ ঘণ্টা অন্তর দাখিল করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মহানগর আদালত। পুলিশ দাবি করেছে, তারা নিয়মিত অগ্রগতি প্রতিবেদন দিচ্ছে। তবে ইলিয়াসের পরিবারের অভিযোগ, বাস্তবে তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। তদন্তও থেমে আছে। ইলিয়াসেরও খোঁজ নেই। তাঁর পরিবার মনে করছে, ইলিয়াস ও চলতি বছরের ১০ মার্চ সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে বনানীর রাস্তা থেকে নিখোঁজ হন সাবেক সাংসদ ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক মো. আনসার। ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে ১৯ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন তাঁর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইলিয়াসকে কেন আদালতে হাজির করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ওই দিন বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেন আদালত। আদালত স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালকসহ ১০ জন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ইলিয়াস নিখোঁজের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাঈনুল ইসলাম ঘটনা তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। তৎকালীন মহানগর হাকিম মনিরুজ্জামান এ বিষয়ে বানানী থানার পুলিশকে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন।
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর গত সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা পাওয়া একজন নাগরিকের অধিকার। কেউ নিখোঁজ থাকলে নাগরিক আশা করেন, রাষ্ট্র সাহায্য করবে। কিন্তু আমরা দেখছি, খুঁজে না দিয়ে দায় এড়িয়ে চলার চেষ্টা হচ্ছে।’ স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি অভিযোগ করেছিলেন, সরকারের কোনো বাহিনী তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ওই সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ইলিয়াস আলীকে র্যাব তুলে নিয়ে গেছে।
তাহসিনা রুশদীর বলেন, রুলের জবাব ও পুলিশের তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন যে কতটা অন্তঃসারশূন্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি মনে করেন, ইলিয়াস ও সালাহ উদ্দিনের ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। সোমবার সকালে বিবিসি বাংলায় সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির যোগাযোগ আছে অবশ্যই।’ তিনি বলেন, ‘ওরা আন্তরিকভাবে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বা কোনো চেষ্টা আছে বলে লক্ষ করিনি। ঘটনার আধা ঘণ্টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছিলাম। এর পরও তারা কোনো খোঁজ পাবে না, সেটা আমি মনে করি না।’
তাহসিনা রুশদীর বলেন, ‘আমি দেশের নাগরিক, আমার স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য এবং একটি বড় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি জানেন। এর পরও রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা না পেলে আমার পক্ষে তো আর কিছুই করা সম্ভব না।’
তাহসিনা রুশদীরের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিট আবেদনটি এখনো বিচারাধীন। পুলিশ, র্যাব ও ডিবি ইলিয়াস আলীকে গ্রেপ্তার বা আটকের কথা অস্বীকার করেছে। এ কারণে আমরা শুনানি করিনি।’
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূঁইয়া মাহবুব হাসান গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, আদালতে তাঁরা নিয়মিত অগ্রগতি প্রতিবেদন দিচ্ছেন। তদন্তও চলছে। তবে ইলিয়াস আলীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
No comments