বাশারের যুদ্ধাপরাধ ইস্যু আবারও চাঙ্গা হচ্ছে
সিরিয়ার
রাষ্ট্রপ্রধান বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ইস্যু আবারও চাঙ্গা
হচ্ছে। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাবিষয়ক অংশের পরিচালক ফিলিপ লুথার মঙ্গলবারের এ
ভাষণে আবারও বিগত বছরের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো উত্থাপন করেছেন।
শান্তি আলোচনায় বাধা : সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার বিষয়ে যখন যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা ইতিবাচকতা পোষণ করতে শুরু করেছে, তখনই এ মন্তব্য ‘বাশার-কেরি আশু বৈঠককে’ বিলম্বিত করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র যখন বলেছেন, আলোচনা যে বাশারের সঙ্গেই হবে এমন কোনো কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেননি, সুতরাং আসাদকে এড়িয়ে অপর কোনো ঘুরপথও খুঁজতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
রাসায়নিক হামলা : লুথার ফিলিপ জানান, বাশার যে সন্ত্রাসীদের ওপর বোমাবর্ষণের নামে আদপে সাধারণ মানুষের ওপরই রাসায়নিক বোমাবর্ষণ করেছেন তা প্রমাণিত। বিশেষ করে ইদলিব প্রদেশে অঞ্চলে পরিচালিত ব্যারেল বোমা বিস্ফোরণে যে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস নিঃসরণ হয়েছে, সেটিও মৃতদেহ দেখে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছিলেন।
ব্যারেল বোমা হামলা : ফিলিপ আরও বলেন, গত বছরের ১১ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে আসাদের নির্দেশে রাক্কায় ব্যারেল বোমা নিক্ষেপিত হওয়ার পর মারা যান ১১৫ জন। এদের মধ্যে ১৪ শিশু, বাকিরা সাধারণ বেসামরিক নাগরিক। সিরিয়ার অধিকৃত অঞ্চল থেকে রাক্কাকে রাজধানী বানিয়েছে আইএস। সেখানে আইএস-যোদ্ধারা অবকাঠামো, ঘাঁটি গড়ে তুলেছে সত্য। কিন্তু বোমাগুলো বিস্ফোরিত হয়েছিল বাসে, জনবহুল বাজারে, মসজিদে, প্রভৃতি স্থানে যেখানে সাধারণ মানুষের জনসমাবেশ ঘটে। সুতরাং এখানে বাশারের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো উপায় থাকছে না। এ হামলাকে আইএসের ওপর হামলা বলে বৈধকরণ চলতে পারে না। বাশারের বিরুদ্ধে এ অমীমাংসিত অপরাধগুলোও দ্রুত মীমাংসার দাবি রাখে। এসব পরিষ্কার যুদ্ধাপরাধ।
মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করল সিরিয়া : যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) ভূপাতিত করার দাবি করেছে সিরিয়ার বিমানবাহিনী। সিরিয়ার প্রেসিডেনট বাশার আল আসাদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লাতাকিয়া প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ড্রোনটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর সেটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে কিনা তা তাদের জানা নেই। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী অভিযান শুরুর পর এটাই প্রথম কোনো মার্কিন ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করার প্রথম ঘটনা।
শান্তি আলোচনায় বাধা : সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার বিষয়ে যখন যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা ইতিবাচকতা পোষণ করতে শুরু করেছে, তখনই এ মন্তব্য ‘বাশার-কেরি আশু বৈঠককে’ বিলম্বিত করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র যখন বলেছেন, আলোচনা যে বাশারের সঙ্গেই হবে এমন কোনো কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেননি, সুতরাং আসাদকে এড়িয়ে অপর কোনো ঘুরপথও খুঁজতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
রাসায়নিক হামলা : লুথার ফিলিপ জানান, বাশার যে সন্ত্রাসীদের ওপর বোমাবর্ষণের নামে আদপে সাধারণ মানুষের ওপরই রাসায়নিক বোমাবর্ষণ করেছেন তা প্রমাণিত। বিশেষ করে ইদলিব প্রদেশে অঞ্চলে পরিচালিত ব্যারেল বোমা বিস্ফোরণে যে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস নিঃসরণ হয়েছে, সেটিও মৃতদেহ দেখে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছিলেন।
ব্যারেল বোমা হামলা : ফিলিপ আরও বলেন, গত বছরের ১১ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে আসাদের নির্দেশে রাক্কায় ব্যারেল বোমা নিক্ষেপিত হওয়ার পর মারা যান ১১৫ জন। এদের মধ্যে ১৪ শিশু, বাকিরা সাধারণ বেসামরিক নাগরিক। সিরিয়ার অধিকৃত অঞ্চল থেকে রাক্কাকে রাজধানী বানিয়েছে আইএস। সেখানে আইএস-যোদ্ধারা অবকাঠামো, ঘাঁটি গড়ে তুলেছে সত্য। কিন্তু বোমাগুলো বিস্ফোরিত হয়েছিল বাসে, জনবহুল বাজারে, মসজিদে, প্রভৃতি স্থানে যেখানে সাধারণ মানুষের জনসমাবেশ ঘটে। সুতরাং এখানে বাশারের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো উপায় থাকছে না। এ হামলাকে আইএসের ওপর হামলা বলে বৈধকরণ চলতে পারে না। বাশারের বিরুদ্ধে এ অমীমাংসিত অপরাধগুলোও দ্রুত মীমাংসার দাবি রাখে। এসব পরিষ্কার যুদ্ধাপরাধ।
মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করল সিরিয়া : যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) ভূপাতিত করার দাবি করেছে সিরিয়ার বিমানবাহিনী। সিরিয়ার প্রেসিডেনট বাশার আল আসাদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লাতাকিয়া প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ড্রোনটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর সেটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে কিনা তা তাদের জানা নেই। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী অভিযান শুরুর পর এটাই প্রথম কোনো মার্কিন ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করার প্রথম ঘটনা।
No comments