শিশু আবু সাঈদ হত্যা- এখনো ধরা পড়েনি ওলামালীগ নেতা মাছুম
সিলেটে
শিশু আবু সাঈদ অপহরণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত পলাতক জেলা ওলামা লীগের প্রচার
সম্পাদক মুহিবুল ইসলাম মাছুম ও অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তিকে পুলিশ গতকালও
গ্রেফতার করতে পারেনি। খুনের ঘটনায় র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা,
পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর ও জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবকে ইতিমধ্যে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবাদুর ও রাকিব আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ জানায়, ওলামা লীগের প্রচার
সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম মাছুমও অপহরন ও খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত । এবাদুর ও
রাকিবের ভাষ্য থেকে জানা গেছে, মাছুম অপহরণের সময় সাঈদের মুখ চেপে ধরেছিল।
এছাড়া খুনের সময় মাছুম সাঈদের হাত ও শরীর ধরে রাখে। মাছুমের মূল বাড়ি নগরীর
শিবগঞ্জে হলেও সে নগরীর কুয়ারপাড়ে বসবাস করতো। ঘটনার পর থেকে মাছুম পলাতক
রয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ মাছুম সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য পেয়েছে।
খুনের পর বাসায় যায় গেদা : খোঁজ নেয় এবাদুর
আবু সাঈদকে খুন করার পর ঘাতক আতাউর রহমান গেদা বাসায় যায় এবং পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর বিভিন্নভাবে সাঈদের খোঁজখবর নেয়। আবু সাঈদের মামা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী আশরাফুজ্জামান আজম জানান, অপহরণের পর সাঈদকে উদ্ধারে সহযোগিতার নাম করে বাসায় আসে আতাউর রহমান গেদা। র্যাব-পুলিশের সাথে ‘ভালো সম্পর্ক’ আছে দাবি করে পাশের বাসার একজনের মাধ্যমে গেদা সাঈদের মামার বাসায় যায়। নিজেকে র্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে সাঈদকে উদ্ধারে সে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সাঈদ অপহরণের পর থেকেই তার পরিবারকে অনুসরণ করতে থাকে কনস্টেবল এবাদুর। রাস্তায় সাঈদের মা ও আত্মীয়-স্বজন কাউকে পেলেই এবাদুর সাঈদের খোঁজ খবর নিতে থাকে। সাঈদকে উদ্ধারে আইনী কি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দেয়া হচ্ছে কি-না এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে থাকে সে।
নয়াসড়কে মানবন্ধন
স্কুল ছাত্র আবু সাঈদ হত্যার প্রতিবাদে সিলেট নগরীর নয়াসড়ক পয়েন্টে নয়াসড়ক ক্রীড়া সংস্থা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা গতকাল বিকেলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন । মানববন্ধনে বক্তারা স্কুল ছাত্র আবু সাঈদের খুনিদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান । এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিমন আহমদ, আব্দুল ওয়াদুদ, নয়াসড়ক ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মতিউর রহমান শিমুল, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, তামিম আহমদ, সোহেল আহমদ, সালমান আহমদ, অপু আহমদ, তাজু ইসলাম, সুমন মিয়া, তছলিম আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নিহত শিশু আবু সাঈদ সিলেট নগরীর রায়নগর দর্জিবন্ধ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আবদুল মতিনের পুত্র ও শাহী ঈদগাহ এলাকাধীন হযরত শাহ মীর (রহ.) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র। মামার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার পথে ১১ মার্চ বুধবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর রায়নগর এলাকা থেকে অপহৃত হয় আবু সাঈদ (৯)। এরপর গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর কুমারপাড়া ঝর্ণারপার এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমানের বাসা থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
খুনের পর বাসায় যায় গেদা : খোঁজ নেয় এবাদুর
আবু সাঈদকে খুন করার পর ঘাতক আতাউর রহমান গেদা বাসায় যায় এবং পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর বিভিন্নভাবে সাঈদের খোঁজখবর নেয়। আবু সাঈদের মামা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী আশরাফুজ্জামান আজম জানান, অপহরণের পর সাঈদকে উদ্ধারে সহযোগিতার নাম করে বাসায় আসে আতাউর রহমান গেদা। র্যাব-পুলিশের সাথে ‘ভালো সম্পর্ক’ আছে দাবি করে পাশের বাসার একজনের মাধ্যমে গেদা সাঈদের মামার বাসায় যায়। নিজেকে র্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে সাঈদকে উদ্ধারে সে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সাঈদ অপহরণের পর থেকেই তার পরিবারকে অনুসরণ করতে থাকে কনস্টেবল এবাদুর। রাস্তায় সাঈদের মা ও আত্মীয়-স্বজন কাউকে পেলেই এবাদুর সাঈদের খোঁজ খবর নিতে থাকে। সাঈদকে উদ্ধারে আইনী কি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দেয়া হচ্ছে কি-না এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে থাকে সে।
নয়াসড়কে মানবন্ধন
স্কুল ছাত্র আবু সাঈদ হত্যার প্রতিবাদে সিলেট নগরীর নয়াসড়ক পয়েন্টে নয়াসড়ক ক্রীড়া সংস্থা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা গতকাল বিকেলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন । মানববন্ধনে বক্তারা স্কুল ছাত্র আবু সাঈদের খুনিদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান । এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিমন আহমদ, আব্দুল ওয়াদুদ, নয়াসড়ক ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মতিউর রহমান শিমুল, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, তামিম আহমদ, সোহেল আহমদ, সালমান আহমদ, অপু আহমদ, তাজু ইসলাম, সুমন মিয়া, তছলিম আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নিহত শিশু আবু সাঈদ সিলেট নগরীর রায়নগর দর্জিবন্ধ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আবদুল মতিনের পুত্র ও শাহী ঈদগাহ এলাকাধীন হযরত শাহ মীর (রহ.) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র। মামার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার পথে ১১ মার্চ বুধবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর রায়নগর এলাকা থেকে অপহৃত হয় আবু সাঈদ (৯)। এরপর গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর কুমারপাড়া ঝর্ণারপার এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমানের বাসা থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
No comments