বাউফলে সাংবাদিক নির্যাতন, মামলা প্রত্যাহার করুন, নির্যাতকদের শাস্তি দিন
তুচ্ছ
ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি এ বি এম মিজানুর রহমানের
ওপর পুলিশ সদস্যরা যে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা
জানাই। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কোনো সদস্য একজন পেশাজীবীর ওপর এ রকম নিষ্ঠুর
আচরণ করতে পারেন, তা ভাবতেও অবাক লাগে। ফৌজদারি আইনে পুলিশি হেফাজতে কারও
ওপর শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন চালানো যায় না। অথচ পুলিশ হরহামেশাই এই
বেআইনি কাজ করে আসছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ল্যাংরা মুন্সির পোল এলাকায় রাস্তার ওপর একটি বাস আটকা পড়লে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় নৌ–পুলিশের উপপরিদর্শক হালিম খান মিজানুর রহমানকে গালি দিলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পরিচয় জানার পর ঘটনাটি মিটমাট হয়ে যায় এবং মিজান নিজের মোটরসাইকেলে উপপরিদর্শককে থানায় পৌঁছে দেন। কিন্তু থানায় পৌঁছানোর পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে সেখানে আটকে রেখে তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। এ কারণে তাঁকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হয়।
যেখানে নির্যাতক উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা সেখানে তিনিই মিথ্যে মামলায় মিজানুর রহমানকে ফাঁসিয়েছেন এবং নির্যাতন করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। প্রথম আলোতে স্থানীয় প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নানা অনিয়ম–দুর্নীতির খবর প্রকাশ হওয়ার কারণে উপপরিদর্শক ও তাঁর সহযোগীরা মিজানের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এই ঘটনা তারই প্রতিশোধ কি না, সেটিও ভেবে দেখার বিষয়। কেবল বাউফল নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানেই সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন। এই পুলিশ সদস্যরা কেবল নাগরিক নিরাপত্তার জন্যই হুমকি নন, সরকার ও রাষ্ট্রের জন্যও বিপজ্জনক। আমরা অবিলম্বে মিজানের ওপর নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্যদের শাস্তি এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ল্যাংরা মুন্সির পোল এলাকায় রাস্তার ওপর একটি বাস আটকা পড়লে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় নৌ–পুলিশের উপপরিদর্শক হালিম খান মিজানুর রহমানকে গালি দিলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পরিচয় জানার পর ঘটনাটি মিটমাট হয়ে যায় এবং মিজান নিজের মোটরসাইকেলে উপপরিদর্শককে থানায় পৌঁছে দেন। কিন্তু থানায় পৌঁছানোর পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে সেখানে আটকে রেখে তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। এ কারণে তাঁকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হয়।
যেখানে নির্যাতক উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা সেখানে তিনিই মিথ্যে মামলায় মিজানুর রহমানকে ফাঁসিয়েছেন এবং নির্যাতন করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। প্রথম আলোতে স্থানীয় প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নানা অনিয়ম–দুর্নীতির খবর প্রকাশ হওয়ার কারণে উপপরিদর্শক ও তাঁর সহযোগীরা মিজানের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এই ঘটনা তারই প্রতিশোধ কি না, সেটিও ভেবে দেখার বিষয়। কেবল বাউফল নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানেই সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন। এই পুলিশ সদস্যরা কেবল নাগরিক নিরাপত্তার জন্যই হুমকি নন, সরকার ও রাষ্ট্রের জন্যও বিপজ্জনক। আমরা অবিলম্বে মিজানের ওপর নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্যদের শাস্তি এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
No comments