পাকিস্তানে গতকালও নয়জনের ফাঁসি কার্যকর- মৃত্যুদণ্ড আবার স্থগিত করতে বলল ইইউ
আবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত করতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। পাকিস্তানে গত মঙ্গলবার এক দিনেই ১২ অপরাধীকে ফাঁসি দেওয়ার পরদিনই ইইউ এই আহ্বান জানাল। এদিকে গতকাল বুধবার ইইউর এই আহ্বানের দিনই আরও নয়জনকে ফাঁসি দেওয়া হয় পাকিস্তানে। খবর ডনের।
গতকাল ইইউর এক মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানের উচিত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ করা। কারণ, মৃত্যুদণ্ড একটি অন্যায্য ও নিষ্ঠুর সাজা এবং তা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিমালাবিরোধী। বিশ্বের সব দেশেই এই ভয়ানক দণ্ড বন্ধ করা উচিত।
গতকাল সকালে পাঞ্জাব প্রদেশের কয়েকটি কারাগারে খুনের অপরাধে সাজা পাওয়া নয়জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। কালই পরে আরও দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
আন্তর্জাতিক চাপের কারণে পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। তবে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে ভয়াবহ তালেবান হামলার পর দেশটি ফাঁসির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। এর পর থেকে পাকিস্তানে এ পর্যন্ত ৪৮ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড ছাড়াও অন্য অপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর শুরু করে দেশটি।
শাফকাতের মায়ের আবেদন: শাফকাত হুসেইন নামের এক যুবকের ফাঁসি কার্যকরের প্রাক্কালে আন্তর্জাতিক মহল থেকে নতুন করে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হলো। শিশু হত্যার দায়ে অভিযুক্ত শাফকাতের মৃত্যুদণ্ড আজ বৃহস্পতিবার কার্যকর হওয়ার কথা। তার বয়সের কারণে এ নিয়ে আপত্তি উঠেছে। শাফকাত ২০০১ সালে এক শিশুকে হত্যা করে বলে অভিযোগ। ২০০৪ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আদালত মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৪। তাই মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ফাঁসির দণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আপিল নাকচ হয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্টও প্রাণভিক্ষার আবেদন মঞ্জুর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। শেষ চেষ্টা হিসেবে গতকাল শাফকাতের মা সরকার ও বিচার বিভাগের কাছে ছেলের দণ্ড মওকুফ চেয়ে আবারও আবেদন জানান।
এ ছাড়া গতকাল অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবারের মধ্যে সমঝোতার ফলে তিনজনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত রাখা হয়।
গতকাল ইইউর এক মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানের উচিত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ করা। কারণ, মৃত্যুদণ্ড একটি অন্যায্য ও নিষ্ঠুর সাজা এবং তা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিমালাবিরোধী। বিশ্বের সব দেশেই এই ভয়ানক দণ্ড বন্ধ করা উচিত।
গতকাল সকালে পাঞ্জাব প্রদেশের কয়েকটি কারাগারে খুনের অপরাধে সাজা পাওয়া নয়জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। কালই পরে আরও দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
আন্তর্জাতিক চাপের কারণে পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। তবে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে ভয়াবহ তালেবান হামলার পর দেশটি ফাঁসির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। এর পর থেকে পাকিস্তানে এ পর্যন্ত ৪৮ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড ছাড়াও অন্য অপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর শুরু করে দেশটি।
শাফকাতের মায়ের আবেদন: শাফকাত হুসেইন নামের এক যুবকের ফাঁসি কার্যকরের প্রাক্কালে আন্তর্জাতিক মহল থেকে নতুন করে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হলো। শিশু হত্যার দায়ে অভিযুক্ত শাফকাতের মৃত্যুদণ্ড আজ বৃহস্পতিবার কার্যকর হওয়ার কথা। তার বয়সের কারণে এ নিয়ে আপত্তি উঠেছে। শাফকাত ২০০১ সালে এক শিশুকে হত্যা করে বলে অভিযোগ। ২০০৪ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আদালত মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৪। তাই মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ফাঁসির দণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আপিল নাকচ হয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্টও প্রাণভিক্ষার আবেদন মঞ্জুর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। শেষ চেষ্টা হিসেবে গতকাল শাফকাতের মা সরকার ও বিচার বিভাগের কাছে ছেলের দণ্ড মওকুফ চেয়ে আবারও আবেদন জানান।
এ ছাড়া গতকাল অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবারের মধ্যে সমঝোতার ফলে তিনজনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত রাখা হয়।
No comments