খুনিদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার সিলেটবাসী
সিলেটে
হাজী শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আবু সাঈদ
অপহরণ ও হত্যা মামলায় গ্রেফতার গেদা মিয়াকে আরও ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে
পুলিশ। বৃহস্পতিবার ৩ দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজিম
পাটোয়ারী গেদাকে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে আরও
৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আরও ৩ দিনের রিমান্ড
মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে সাঈদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন
সিলেটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে সর্বস্তরের মানুষ। গতকালও মানববন্ধন
কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির
সিলেট মহানগর শাখা। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ কেটে গেলেও মাসুমসহ
অজ্ঞাত আরও এক কিলারকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের
দাবি, তাদের গ্রেফতারে দুটি টিম কাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীন দলের
প্রভাবশালী নেতারা খুনিদের আÍগোপনে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি সিলেট মহানগর শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা সাঈদ হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান। গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বক্তারা বলেন, আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর যাতে কোনো মায়ের বুক খালি না হয়। আর কোনো শিক্ষার্থী যেন অপহৃত না হয়। আর এর জন্য অবিলম্বে অপরাধীদের ফাঁসি দিতে হবে। তাদের ফাঁসি হলে আর কেউ অপহরণ করার সাহস পাবে না। সমিতির সভাপতি জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফছা আক্তারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মতি লাল গুপ্ত, নুরুল ইসলাম, নিকেতন দাস, সেলিনা বেগম, সালমা জাহান, কানিজ আয়েশা, হুছনা বেগম, সংকরী কর, শাহনারা বেগম, রোজিনা বেগম, অজিত পাল, আজাদ মিয়া, শামীম আহমদ, ফয়েজ উদ্দিন, শিখা চৌধুরী, রাশেদ নেওয়াজ, বিমল দাস, শ্রীবাস রায়, রজত বিশ্বাস, শক্তি মজুমদার, নিলু দাস, সুরমা বেগম, সুকেশ দাস, রবিউস সানী, হালিমা খাতুন, সিদ্দিকা খাতুন, মনোয়ারা মজুমদার, আবদুল মছব্বির, অজয় দে, তুলি দেবী, মৌসুমী বিশ্বাস, হুসনে আরা সুলতানা, সৈয়দা রেহানা বেগম, সাথী রানী দে, জান্নাতুন নাহার রুবী, জলি দেব, সন্ধানী রায়, হ্যাপি দেবী, মনোয়ারা মজুমদার, শহীদুল ইসলাম, শাহীন আহমদ, গনেশ কুমার পাল দিপু, ফখরুল আলম, মুনমুন, নাজিয়া বেগম ও প্রমথেশ দত্ত।
এদিকে সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান ও আওয়ামী ওলামা লীগের নেতা রাকিব গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অপহরণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু রিমান্ডে গত তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদে গেদা পুলিশের কাছে মুখ খোলেনি বলে জানা গেছে। মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, পেশাদার অপরাধী গেদার কাছে অনেক তথ্য রয়েছে। তার সঙ্গে সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি আন্ডারগ্রাউন্ড অপরাধ চক্রের সম্পর্ক রয়েছে। হত্যাকাণ্ড ছাড়াও নগরীর আলোচিত আরও অনেক ঘটনার সাক্ষী এই গেদা। চতুর ও পেশাদার হওয়ার কারণেই সে রিমান্ডে মুখ খুলছে না।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর, র্যাবের সোর্স পরিচয়দানকারী গেদা ও আওয়ামী ওলামা লীগের নেতা রাকিব ও মাসুম একটি অপরাধ সিন্ডিকেটের হোতা। শিশু হত্যা, লাশ গুমের লোমহর্ষক ঘটনার আগেও এই সিন্ডিকেট আরও অনেক অপকর্ম করেছে বলে তদন্তে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। তাদের মতে, এই অপরাধীরা পুলিশ, র্যাব ও শাসক দলের নাম ভাঙিয়ে অপরাধ করেও পার পেয়ে যেত। সাঈদ হত্যার লোমহর্ষক ঘটনায় গ্রেফতারের পর এই সিন্ডিকেট সদস্যদের শেকড় সন্ধানে অনেক তথ্যই পেয়েছে পুলিশ। কনস্টেবল এবাদুর ও জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিবের ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দি থেকে আরও দুই কিলারের তথ্য উঠে আসে। জবানবন্দিতে এবাদুর ও রাকিব জানায়, তাদের সঙ্গে অপহরণ ও কিলিং মিশনে অংশ নেয় জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মাসুম ও আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী আরও এক যুবক। অপহরণের পরিকল্পনা বৈঠক থেকে শুরু করে অপহরণ, চাঁদা দাবি ও খুনের সঙ্গে ওই যুবক সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। তবে জবানবন্দিতে ওই যুবকের নাম-পরিচয় জানায়নি তারা। গ্রেফতার হওয়া আতাউর রহমান গেদা যুবকটিকে নিয়ে এসেছিল বলে জানিয়েছেন এবাদুর ও রাকিব। জবানবন্দিতে তারা জানায়, সাঈদকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রায়নগরস্থ গেদার বাসার পাশের একটি বাসায়। সেখান থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে সাঈদকে নিয়ে যাওয়া হয় কুমারপাড়া ঝর্ণারপাড়স্থ এবাদুরের বাসায়। জবানবন্দিতে ওই অটোরিকশা চালকের পরিচয় জানাতে না পারলেও রাকিব তাকে হালকা-পাতলা গড়নের বলে উল্লেখ করেছে। পুলিশ ওই অটোরিকশা চালককেও খুঁজছে। তাকে পাওয়া গেলে অপহরণকারীদের সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১১ মার্চ স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহরণ করা হয়েছিল নগরীর রায়নগরের স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯)। অপহরণের পর সাঈদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়। কিন্তু অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় মুক্তিপণ না নিয়ে পরদিন হত্যা করা হয় শিশু সাঈদকে। ১৪ মার্চ শনিবার রাতে পুলিশ কনস্টেবল এবাদুরের ঝর্ণারপাড় সোনাতলা সবুজ ৩৭ নম্বর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি সিলেট মহানগর শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা সাঈদ হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান। গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বক্তারা বলেন, আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর যাতে কোনো মায়ের বুক খালি না হয়। আর কোনো শিক্ষার্থী যেন অপহৃত না হয়। আর এর জন্য অবিলম্বে অপরাধীদের ফাঁসি দিতে হবে। তাদের ফাঁসি হলে আর কেউ অপহরণ করার সাহস পাবে না। সমিতির সভাপতি জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফছা আক্তারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মতি লাল গুপ্ত, নুরুল ইসলাম, নিকেতন দাস, সেলিনা বেগম, সালমা জাহান, কানিজ আয়েশা, হুছনা বেগম, সংকরী কর, শাহনারা বেগম, রোজিনা বেগম, অজিত পাল, আজাদ মিয়া, শামীম আহমদ, ফয়েজ উদ্দিন, শিখা চৌধুরী, রাশেদ নেওয়াজ, বিমল দাস, শ্রীবাস রায়, রজত বিশ্বাস, শক্তি মজুমদার, নিলু দাস, সুরমা বেগম, সুকেশ দাস, রবিউস সানী, হালিমা খাতুন, সিদ্দিকা খাতুন, মনোয়ারা মজুমদার, আবদুল মছব্বির, অজয় দে, তুলি দেবী, মৌসুমী বিশ্বাস, হুসনে আরা সুলতানা, সৈয়দা রেহানা বেগম, সাথী রানী দে, জান্নাতুন নাহার রুবী, জলি দেব, সন্ধানী রায়, হ্যাপি দেবী, মনোয়ারা মজুমদার, শহীদুল ইসলাম, শাহীন আহমদ, গনেশ কুমার পাল দিপু, ফখরুল আলম, মুনমুন, নাজিয়া বেগম ও প্রমথেশ দত্ত।
এদিকে সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান ও আওয়ামী ওলামা লীগের নেতা রাকিব গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অপহরণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু রিমান্ডে গত তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদে গেদা পুলিশের কাছে মুখ খোলেনি বলে জানা গেছে। মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, পেশাদার অপরাধী গেদার কাছে অনেক তথ্য রয়েছে। তার সঙ্গে সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি আন্ডারগ্রাউন্ড অপরাধ চক্রের সম্পর্ক রয়েছে। হত্যাকাণ্ড ছাড়াও নগরীর আলোচিত আরও অনেক ঘটনার সাক্ষী এই গেদা। চতুর ও পেশাদার হওয়ার কারণেই সে রিমান্ডে মুখ খুলছে না।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর, র্যাবের সোর্স পরিচয়দানকারী গেদা ও আওয়ামী ওলামা লীগের নেতা রাকিব ও মাসুম একটি অপরাধ সিন্ডিকেটের হোতা। শিশু হত্যা, লাশ গুমের লোমহর্ষক ঘটনার আগেও এই সিন্ডিকেট আরও অনেক অপকর্ম করেছে বলে তদন্তে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। তাদের মতে, এই অপরাধীরা পুলিশ, র্যাব ও শাসক দলের নাম ভাঙিয়ে অপরাধ করেও পার পেয়ে যেত। সাঈদ হত্যার লোমহর্ষক ঘটনায় গ্রেফতারের পর এই সিন্ডিকেট সদস্যদের শেকড় সন্ধানে অনেক তথ্যই পেয়েছে পুলিশ। কনস্টেবল এবাদুর ও জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিবের ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দি থেকে আরও দুই কিলারের তথ্য উঠে আসে। জবানবন্দিতে এবাদুর ও রাকিব জানায়, তাদের সঙ্গে অপহরণ ও কিলিং মিশনে অংশ নেয় জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মাসুম ও আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী আরও এক যুবক। অপহরণের পরিকল্পনা বৈঠক থেকে শুরু করে অপহরণ, চাঁদা দাবি ও খুনের সঙ্গে ওই যুবক সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। তবে জবানবন্দিতে ওই যুবকের নাম-পরিচয় জানায়নি তারা। গ্রেফতার হওয়া আতাউর রহমান গেদা যুবকটিকে নিয়ে এসেছিল বলে জানিয়েছেন এবাদুর ও রাকিব। জবানবন্দিতে তারা জানায়, সাঈদকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রায়নগরস্থ গেদার বাসার পাশের একটি বাসায়। সেখান থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে সাঈদকে নিয়ে যাওয়া হয় কুমারপাড়া ঝর্ণারপাড়স্থ এবাদুরের বাসায়। জবানবন্দিতে ওই অটোরিকশা চালকের পরিচয় জানাতে না পারলেও রাকিব তাকে হালকা-পাতলা গড়নের বলে উল্লেখ করেছে। পুলিশ ওই অটোরিকশা চালককেও খুঁজছে। তাকে পাওয়া গেলে অপহরণকারীদের সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১১ মার্চ স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহরণ করা হয়েছিল নগরীর রায়নগরের স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯)। অপহরণের পর সাঈদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়। কিন্তু অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় মুক্তিপণ না নিয়ে পরদিন হত্যা করা হয় শিশু সাঈদকে। ১৪ মার্চ শনিবার রাতে পুলিশ কনস্টেবল এবাদুরের ঝর্ণারপাড় সোনাতলা সবুজ ৩৭ নম্বর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ।
No comments