মঙ্গলের বুকে চলা শুরু করল কিউরিওসিটি

মঙ্গল গ্রহে পাঠানো নাসার গবেষণা রোবট কিউরিওসিটি অবশেষে চলতে শুরু করেছে। গত বুধবার কিউরিওসিটিকে চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সফল হওয়ার পর প্রকৌশলীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে এর চলাচলের ক্ষমতা ঠিকঠাক আছে।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করার পর কিউরিওসিটি বুধবারই প্রথমবার জায়গা বদল করে।


মঙ্গলের পৃষ্ঠে প্রায় ২০ কিলোমিটার চলার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে এ অনুসন্ধান রোবটটিকে। ঘুরে ঘুরে রহস্যময় লাল গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ আছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে এটি।
বুধবার কিউরিওসিটি প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে ১২০ ডিগ্রি কোণে সাড়ে চার মিটার অগ্রসর হয়। এরপর আবার একইভাবে আড়াই মিটার পেছনে আসে। ছয় চাকার ওপর ভর করে এভাবে সামনে-পেছনে চলতে এর সময় লাগে প্রায় পাঁচ মিনিট। এ ছাড়া মঙ্গলের মাটিতে নিজের ঐতিহাসিক ওই ‘পদক্ষেপের’ অর্থাৎ মাটিতে চাকার দাগের ছবি তোলে আরও প্রায় ১০ মিনিট ধরে।
প্রকল্পের ব্যবস্থাপক পেটি থেইসিঙ্গার বলেন, ‘এই অভিযানে কিউরিওসিটি আরও অনেক পথ পাড়ি দেবে। কিন্তু চলার ব্যাপারে প্রাথমিক এই সাফল্যের গুরুত্ব অন্য রকম। আমরা এটি তৈরি করেছি মঙ্গলের মাটিতে চলার জন্য। কাজেই চলাচলের সেই কাজটি না করা পর্যন্ত সফলতা দাবি করা যায় না। এখন সে কাজটি সফলভাবে শেষ হয়েছে।’
বুধবার কিউরিওসিটির অভিযানের ১৬তম দিনে নাসার পক্ষ থেকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। রোবটটি মঙ্গলের যে স্থানটিতে অবতরণ করেছিল, সেই জায়গাটির নাম রাখা হয়েছে বিজ্ঞান কল্পকাহিনির বিখ্যাত লেখক রে ব্র্যাডব্যারির নামে। গত জুনে মারা গেছেন তিনি। নাসা ও মহাকাশ গবেষণার অন্যতম সমর্থক ছিলেন ব্র্যাডব্যারি।
নাসার মঙ্গল গবেষণা প্রকল্পের প্রধান মাইকেল মিয়ার বলেন, ‘রে ব্র্যাডব্যারির বই আমাদের অনেক উৎসাহ জুগিয়েছে। তাঁর বই থেকেই আমরা মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের অনুসন্ধানে আগ্রহ পেয়েছি। এ জন্য তাঁর সম্মানে আমরা ওই জায়গাটির নাম রেখেছি ব্র্যাডব্যারি ল্যান্ডিং।’

No comments

Powered by Blogger.