ক বি তা by মো হা ম্ম দ সা দি ক
তিন সত্যি ১.
দুঃখ নাই দুঃখ নাই কোনো
সেই ভালো তুমি যে মাছের মেয়ে
তার চেয়ে বেশি আর শোক নেই কোনো
দুঃখ নাই দুঃখ নাই কোনো
সেই ভালো তুমি যে মাছের মেয়ে
তার চেয়ে বেশি আর শোক নেই কোনো
আমি শুধু ভূমিপুত্র, কোদালের কোপে বুনি
আঁধারের অন্ন
সে অন্ন যে খাবে তার জীবন ধন্য!
২.
এই হাতে লেখা হলে হাত কাটা যাবে
এই কণ্ঠে সুর এলে গলা কাটা যাবে
এই পায়ে মৃত্তিকায় চুমু খেলে পা থাকবে না
এই চোখ দেখে বলে হোমারের কান্না
দুঃখ নাই দুঃখ নাই কোনো
সত্য খেয়ে গেছে এক সত্যবাদী বুনো
তিন সত্যি খেয়ে গেলে সত্য থাকে কোনো?
৩.
কবে হবে ভোর আর কবে আসবে আলো
জোনাকিরা ঝরে গেছে দীপ নিভে কালো
অশ্রুকণা নেই তার চোখ পাথরের
তরবারি হাতে আজ শত শত সীমারের
দুঃখ নাই দুঃখ নাই দুঃখ নাই কোনো
তুমি যদি না-ও থাকো নদী থাকে যেনো
দেশে যদি নদী নাই দেহে থাকে কেনো?
রে হ মা ন সি দ্দি ক
প্রাচীন পুরুষ
এই জনপদে আমি ফিরে আসি প্রাচীন পুরুষ
বারবার ফিরে আসি আকর্ষিত ক্ষেত্রের কিনারে
অন্তহীন সবুজের মাঝে কোনো মৌন পথ ধরে
লাঙল-জোয়াল কাঁধে ফিরে আসি মানব জমিনে
প্রখর দুপুরে আমি ব্যস্ত থাকি কর্ষণের কাজে
মাটির হূদয় চিরে ঢুকে পড়ি ইস্পাতের ফলা
কায়ক্লেশে করে যাই নিরন্তর আদিম আবাদ
বের করে নিয়ে আসি অগণন ফসলের শিশু
যুগ-যুগে পদচিহ্ন এঁকে যাই লোহার শরীরে
নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে জেগে ওঠে লৌহমানবীরা
লবণের ঘ্রাণ নিয়ে তৃপ্ত হয় আর তৃপ্তি দেয়
কারও মনে ধরে জঙ, চলে যায় তীব্র অভিমানে
সময়ের গ্যালারিতে প্রদর্শিত শত চিত্রমালা
দেখি আর মুগ্ধ হই, মনে তবু কেন অন্তর্জ্বালা
No comments