বছরে ২০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়া এখন থেকে প্রতি বছর ২০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে। আগে এ সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৭৫০। ঝুঁকিপূর্ণ পথে শরণার্থী অনুপ্রবেশ ঠেকানোর অংশ হিসেবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।


গত তিন দশকের মধ্যে এই প্রথম আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা এত বেশি (প্রায় ৪৫ শতাংশ) বাড়ানো হয়েছে। এ ঘোষণার পর শরণার্থীদের জন্য স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া। বছরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শরণার্থী আশ্রয় দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
প্রধানমন্ত্রী গিলার্ড জানান, বিশেষজ্ঞরা শরণার্থীবিষয়ক নীতিমালায় পরিবর্তনের সুপারিশ করেছেন। তাঁদের সুপারিশের ভিত্তিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া ৪০০ শরণার্থীকে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হবে। চলতি অর্থবছর থেকে এ ঘোষণা কার্যকর করা হবে। অস্ট্রেলিয়ায় ১ জুলাই থেকে অর্থবছর শুরু হয়। প্রতিবছর আশ্রয়লাভের আশায় বহু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা করে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়া যায়। ফলে প্রায়ই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় শরণার্থীবিষয়ক নীতিমালায় পরিবর্তনের সুপারিশ করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের দেওয়া ২২ দফা প্রস্তাবের অংশ হিসেবে সরকার সম্প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দুই দেশ নাউরু প্রজাতন্ত্র ও পাপুয়া নিউগিনিতে (পিএনজি) আবারও আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য প্রসেসিং সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। এবার আশ্রয় প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়ানোর পদক্ষেপও একই উদ্যোগের অংশ।
গিলার্ড বলেন, 'চলতি অর্থবছর থেকেই আমরা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৫০ থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার করতে যাচ্ছি। এই বৃদ্ধির পরিমাণ ৪০ শতাংশেরও বেশি। গত ৩০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি। এর মাধ্যমে আমরা পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই। নৌকায় করে অস্ট্রেলিয়ায় ভিড়তে চাওয়ার অর্থ নাউরু ও পিএনজিতে যাওয়ার ঝুঁকি থাকছে। শরণার্থীদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে আশ্রয়লাভের চেষ্টা করতে হবে।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.