মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা- কেবল জিপিএ-নির্ভর ভর্তি নয় by তারিক আদনান
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল সম্পর্কে ৪ আগস্ট প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠকে আলোচিত ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের মূল কারণগুলো: ১. ৫০-৬০ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া, ২. প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এড়ানো, ৩. কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ করা।
কিছু পদক্ষেপ নিলে অভিযোগগুলো এড়ানো যায়। যদি ভবিষ্যতে এসএসসি ও এইচএসসির সম্মিলিত ন্যূনতম জিপিএর মান ৯ বা ৯.৫ করা হয় এবং একই জিপিএর ক্ষেত্রে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার আদলে জীববিজ্ঞান, রসায়নের মতো বিষয়গুলোর জিপিএ দেখা হয়, তাহলে এ রকম বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে হবে না। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের ক্ষেত্রে বলা হয়, প্রশ্ন ফাঁস হয় প্রেসে ছাপানোর সময় ও দূরবর্তী কেন্দ্রে পাঠানোর সময়। এটাও এড়ানো সম্ভব, যদি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সবশেষে, কোচিং-বাণিজ্যের বিষয়টি সরকার চাইলেই আইন করে বা এইচএসসির ফলাফলের কয়েক সপ্তাহের ভেতর দ্রুত ভর্তি পরীক্ষার আয়োজনের মাধ্যমে বন্ধ করতে পারে। তা ছাড়া ভর্তির কোচিং বাতিল করলে এসব কোচিং হয়তো ভোল পাল্টে পাবলিক পরীক্ষার প্রস্তুতি কোচিং খুলবে। তাই এই তিনটি সমস্যার কারণে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল কতটা যৌক্তিক, সেটা ভাবার বিষয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে, এগুলো মূল কারণ নয়। তিনি এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শুধু শুধু কেন একটা অতিরিক্ত পরীক্ষার আয়োজন করবেন? তিনি বোঝাতে চান, শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলই যথেষ্ট।
দেশের আটটি শিক্ষা বোর্ডে আট ধরনের প্রশ্নের ভিত্তিতে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। মাদ্রাসা বোর্ড ও ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে তো প্রশ্ন ও পরীক্ষা-পদ্ধতিই আলাদা। তা ছাড়া পরীক্ষায় বিভিন্ন বোর্ডের প্রশ্নের মান ও কাঠিন্য সমান করার যেমন ব্যবস্থা নেই, তেমনিভাবে খাতা দেখার ক্ষেত্রে নম্বর দেওয়ারও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। সে কারণে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষকের কাছে একই খাতা গেলে নম্বর যে ভিন্ন আসবে।
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫১ হাজার ৪৫৯ জন। এঁদের বড় একটা অংশ যেহেতু ভর্তি হতে চাইবে মেডিকেল কলেজগুলোতে, সরাসরি জিপিএর ভিত্তিতে তিন হাজারের মতো আসনের বিপরীতে তাঁদের ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমান নীতিতে তখন দেখা হবে, কাদের চতুর্থ বিষয় বাদে জিপিএ-৫। ফলে কোনো শিক্ষার্থী যদি বিজ্ঞানের কোনো বিষয় (যেমন: জীববিজ্ঞান) চতুর্থ বিষয় হিসেবে নেয়, তবে বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ এসব বিষয় তথা মেডিকেলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর চেয়ে বাংলা, ইংরেজি বা সামাজিক বিজ্ঞানের মতো বিষয়ের স্কোর বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। ফলে একজন শিক্ষার্থী হয়তো বাংলায় আরেকজনের চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন। তা ছাড়া এসএসসি, এইচএসসি মিলিয়ে চতুর্থ বিষয় বাদে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজারের মতো। তাই কেবল জিপিএর ভিত্তিতে কখনোই তাঁদের ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন যে পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নম্বর দেখা হবে (এমনকি বয়সও বিবেচনা করা হতে পারে)। তাই যেখানে মোট নম্বর বিবেচনা করার ফলে হয়তো ১ নম্বরের জন্য শত শত শিক্ষার্থী বাদ পড়বেন, সেখানে এমন পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে কখনোই সঠিকভাবে বাছাই সম্ভব নয়।
আরেকটি সমস্যা হলো, পাবলিক পরীক্ষাগুলো সাজেশন-নির্ভর হয়ে পড়েছে। শর্ট সাজেশন থেকে হাতেগোনা কয়েকটি প্রশ্ন মুখস্থ করে বা গণিতে নির্দিষ্ট কয়েকটি সমস্যা সমাধান করে ও অনেকে পাবলিক পরীক্ষায় ভালো নম্বর পায়। শহরের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন মূল পাঠ্যবইয়ের পরিবর্তে শর্ট সাজেশনের ভিত্তিতে বানানো গাইড পড়ানো হয়। গ্রামের বা মফস্বলের শিক্ষার্থীর পক্ষে এ ধরনের সাজেশন, গাইডলাইন পাওয়া সম্ভব নয়, আর পরীক্ষাকে এভাবে গেমিং করাও সম্ভব নয়। তাই দেখা যাচ্ছে, টেস্ট পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্টের পরও শহরের অনেক শিক্ষার্থী তিন মাস পড়াশোনা করে জিপিএ-৫ পাচ্ছেন। ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ রকম সাজেশন-নির্ভর পড়াশোনা করে ভালো করা সম্ভব নয়। কারণ, ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে একজন শিক্ষার্থীকে বইয়ের শতভাগ অনুশীলন করেই যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। তাই যে পাবলিক পরীক্ষাকে ১২ বছরের লেখাপড়ার ফল বলা হচ্ছে, তা আসলে কতটা মানসম্পন্ন, সেটা ভেবে দেখা দরকার।
আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে স্যাট, টোফেল বা আইইএলটিএসের মতো পরীক্ষা দিতে হয়। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে স্যাটের জন্য নতুন প্রশ্ন-পদ্ধতি চালু হওয়ার পাঁচ বছর আগে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় আমাকে স্যাট পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। আর এই স্যাটের ক্ষেত্রে যে সাবজেক্ট টেস্ট (পদার্থ, গণিত ও রসায়নের জন্য) দিতে হয়েছিল, সেগুলো সবই ছিল এক ঘণ্টাব্যাপী এমসিকিউ পরীক্ষা। পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে আমার কেবল এইচএসসিতে বাংলা বাদে আর সব বিষয়ে জিপিএ-৫ ছিল। বাংলায় একেক শিক্ষক একেক রকম নম্বর দেন বলে বাংলায় জিপিএ-৫ পাওয়া অনেকটাই ভাগ্যের ব্যাপার। তাই হার্ভার্ডের মতো বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্য হলেও প্রস্তাবিত নিয়ম অনুসারে এ দেশের কোনো মেডিকেল কলেজে পড়ার জন্য আমি নিশ্চিতভাবেই অযোগ্য বিবেচিত হতাম।
প্রশ্ন হতে পারে, যদি পাবলিক পরীক্ষা দিয়ে যথাযথ মান যাচাই সম্ভব না হয়, তাহলে পাবলিক পরীক্ষার দরকার কী? দরকার প্রাথমিক ছাঁকনি হিসেবে। কিন্তু প্রশ্ন কাঠামোর কারণে সব ত্রুটিমুক্ত করে ফেলার পরও কিন্তু পাবলিক পরীক্ষা দিয়ে সম্পূর্ণ নিখুঁতভাবে পরীক্ষার্থীর মেধা যাচাই সম্ভব নয়। তাই এখানে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দুই স্তরের ছাঁকনির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, তাঁরা প্রকৃতই যোগ্য।
পাবলিক পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষা একে অপরের পরিপূরক। কোনোটা বাদ না দিয়ে দুই ধরনের পরীক্ষারই মানোন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া দরকার। দেখা দরকার, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের মান যেন উন্নত হয় এবং তাতে যেন শুধু মুখস্থবিদ্যা নয়, মৌলিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরীক্ষাও হয়।
তারিক আদনান: যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। ৫১তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জপদক বিজয়ী।
tmoon@college.harvard.edu
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে, এগুলো মূল কারণ নয়। তিনি এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শুধু শুধু কেন একটা অতিরিক্ত পরীক্ষার আয়োজন করবেন? তিনি বোঝাতে চান, শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলই যথেষ্ট।
দেশের আটটি শিক্ষা বোর্ডে আট ধরনের প্রশ্নের ভিত্তিতে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। মাদ্রাসা বোর্ড ও ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে তো প্রশ্ন ও পরীক্ষা-পদ্ধতিই আলাদা। তা ছাড়া পরীক্ষায় বিভিন্ন বোর্ডের প্রশ্নের মান ও কাঠিন্য সমান করার যেমন ব্যবস্থা নেই, তেমনিভাবে খাতা দেখার ক্ষেত্রে নম্বর দেওয়ারও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। সে কারণে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষকের কাছে একই খাতা গেলে নম্বর যে ভিন্ন আসবে।
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫১ হাজার ৪৫৯ জন। এঁদের বড় একটা অংশ যেহেতু ভর্তি হতে চাইবে মেডিকেল কলেজগুলোতে, সরাসরি জিপিএর ভিত্তিতে তিন হাজারের মতো আসনের বিপরীতে তাঁদের ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমান নীতিতে তখন দেখা হবে, কাদের চতুর্থ বিষয় বাদে জিপিএ-৫। ফলে কোনো শিক্ষার্থী যদি বিজ্ঞানের কোনো বিষয় (যেমন: জীববিজ্ঞান) চতুর্থ বিষয় হিসেবে নেয়, তবে বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ এসব বিষয় তথা মেডিকেলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর চেয়ে বাংলা, ইংরেজি বা সামাজিক বিজ্ঞানের মতো বিষয়ের স্কোর বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। ফলে একজন শিক্ষার্থী হয়তো বাংলায় আরেকজনের চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন। তা ছাড়া এসএসসি, এইচএসসি মিলিয়ে চতুর্থ বিষয় বাদে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজারের মতো। তাই কেবল জিপিএর ভিত্তিতে কখনোই তাঁদের ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন যে পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নম্বর দেখা হবে (এমনকি বয়সও বিবেচনা করা হতে পারে)। তাই যেখানে মোট নম্বর বিবেচনা করার ফলে হয়তো ১ নম্বরের জন্য শত শত শিক্ষার্থী বাদ পড়বেন, সেখানে এমন পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে কখনোই সঠিকভাবে বাছাই সম্ভব নয়।
আরেকটি সমস্যা হলো, পাবলিক পরীক্ষাগুলো সাজেশন-নির্ভর হয়ে পড়েছে। শর্ট সাজেশন থেকে হাতেগোনা কয়েকটি প্রশ্ন মুখস্থ করে বা গণিতে নির্দিষ্ট কয়েকটি সমস্যা সমাধান করে ও অনেকে পাবলিক পরীক্ষায় ভালো নম্বর পায়। শহরের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন মূল পাঠ্যবইয়ের পরিবর্তে শর্ট সাজেশনের ভিত্তিতে বানানো গাইড পড়ানো হয়। গ্রামের বা মফস্বলের শিক্ষার্থীর পক্ষে এ ধরনের সাজেশন, গাইডলাইন পাওয়া সম্ভব নয়, আর পরীক্ষাকে এভাবে গেমিং করাও সম্ভব নয়। তাই দেখা যাচ্ছে, টেস্ট পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্টের পরও শহরের অনেক শিক্ষার্থী তিন মাস পড়াশোনা করে জিপিএ-৫ পাচ্ছেন। ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ রকম সাজেশন-নির্ভর পড়াশোনা করে ভালো করা সম্ভব নয়। কারণ, ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে একজন শিক্ষার্থীকে বইয়ের শতভাগ অনুশীলন করেই যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। তাই যে পাবলিক পরীক্ষাকে ১২ বছরের লেখাপড়ার ফল বলা হচ্ছে, তা আসলে কতটা মানসম্পন্ন, সেটা ভেবে দেখা দরকার।
আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে স্যাট, টোফেল বা আইইএলটিএসের মতো পরীক্ষা দিতে হয়। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে স্যাটের জন্য নতুন প্রশ্ন-পদ্ধতি চালু হওয়ার পাঁচ বছর আগে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় আমাকে স্যাট পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। আর এই স্যাটের ক্ষেত্রে যে সাবজেক্ট টেস্ট (পদার্থ, গণিত ও রসায়নের জন্য) দিতে হয়েছিল, সেগুলো সবই ছিল এক ঘণ্টাব্যাপী এমসিকিউ পরীক্ষা। পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে আমার কেবল এইচএসসিতে বাংলা বাদে আর সব বিষয়ে জিপিএ-৫ ছিল। বাংলায় একেক শিক্ষক একেক রকম নম্বর দেন বলে বাংলায় জিপিএ-৫ পাওয়া অনেকটাই ভাগ্যের ব্যাপার। তাই হার্ভার্ডের মতো বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্য হলেও প্রস্তাবিত নিয়ম অনুসারে এ দেশের কোনো মেডিকেল কলেজে পড়ার জন্য আমি নিশ্চিতভাবেই অযোগ্য বিবেচিত হতাম।
প্রশ্ন হতে পারে, যদি পাবলিক পরীক্ষা দিয়ে যথাযথ মান যাচাই সম্ভব না হয়, তাহলে পাবলিক পরীক্ষার দরকার কী? দরকার প্রাথমিক ছাঁকনি হিসেবে। কিন্তু প্রশ্ন কাঠামোর কারণে সব ত্রুটিমুক্ত করে ফেলার পরও কিন্তু পাবলিক পরীক্ষা দিয়ে সম্পূর্ণ নিখুঁতভাবে পরীক্ষার্থীর মেধা যাচাই সম্ভব নয়। তাই এখানে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দুই স্তরের ছাঁকনির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, তাঁরা প্রকৃতই যোগ্য।
পাবলিক পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষা একে অপরের পরিপূরক। কোনোটা বাদ না দিয়ে দুই ধরনের পরীক্ষারই মানোন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া দরকার। দেখা দরকার, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের মান যেন উন্নত হয় এবং তাতে যেন শুধু মুখস্থবিদ্যা নয়, মৌলিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরীক্ষাও হয়।
তারিক আদনান: যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। ৫১তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জপদক বিজয়ী।
tmoon@college.harvard.edu
No comments