প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ প্রত্যাশিত- লিমনের ওপর হামলা
র্যাবের গুলিতে পা হারানো ঝালকাঠির লিমন হোসেন ও তার পরিবারের নিরাপত্তা দিতে সরকারের ব্যর্থতা ক্রমেই ভারী হচ্ছে। মনে হচ্ছে, রাষ্ট্রযন্ত্র ও সমাজের প্রভাবশালী অংশ মিলে লিমন নামের এই তরুণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তার বড় অপরাধ, রাষ্ট্রীয় সংস্থার অনাচারের প্রতিকার চেয়েছে।
অবিশ্বাস এখন এতটাই তীব্র যে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, ঈদের দিন তার ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অথচ লিমনের ওপর হামলাকারী ব্যক্তিরা স্থানীয় এবং তাঁদের স্বভাব-চরিত্র এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অজানা নয়। অনেকের মতে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে এলে লিমনদের পরিবারের নিরাপত্তা দেওয়া অসম্ভব নয়। সেই কাজটার তদারক স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ও করতে পারে। তাহলে আমাদের আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লোক দেখানো তদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। রাজাপুর থানার পুলিশ লিমনদের নিরাপত্তা দিতে গত দেড় বছরে কখনো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে—এমন প্রমাণ নেই।
লিমন, তার মা, খালা, ভাইসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা আমাদের আরও উদ্বিগ্ন করে। যে ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এই মামলা, তিনি মারা গেছেন হূদেরাগে। আসলে লিমন উপাখ্যান এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, গরিষ্ঠসংখ্যক মানুষ মনে করছে, লিমন প্রতিহিংসার শিকার। র্যাবের কথিত সোর্সদের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নীরব থাকতে পারে না। তাদের তরফে একটি সনাতন তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা যথেষ্ট প্রশ্নসাপেক্ষ হয়ে পড়তে বাধ্য।
টিআইবি এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) পৃথক বিবৃতিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আরজিও তাদের আছে। তবে বর্তমান সরকারের মেয়াদে সরকারি কোনো সংস্থার আচরণ বা ভাবমূর্তি জনগণের সামনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এবং তারপর বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে তার প্রতিকার নিশ্চিত করা হয়েছে—এমন নজির বিরল। ক্ষমতাসীন দল এখনো আন্তরিক হলে ঈদের দিন লিমনের পরিবারের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিহিত-ব্যবস্থা নিতেই পারে। কিন্তু সেটা কি খুব জোর দিয়ে আশা করা চলে? ‘দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন’ নীতি যেন এই রাষ্ট্রে আজ নির্বাসিত। দুর্বল লিমনের পরিবারের পক্ষে যেহেতু উচ্চপর্যায়ে তদবির করার বলবান কেউ নেই, তাই তাদের জীবনে দুর্ভোগ ও লাঞ্ছনার অবসান হচ্ছে না। কিন্তু গাঁয়ের এই কলেজপড়ুয়া দরিদ্র এবং র্যাবের হাতে এক পা হারানো লিমন ও তার পরিবারের প্রতি কি সরকারের কোনোই দায়িত্ব নেই?
প্রধানমন্ত্রী র্যাবের জবাবদিহির বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ। এ বিষয়ে অধিকতর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে তিনি লিমন উপাখ্যান খতিয়ে দেখতে পারেন।
লিমন, তার মা, খালা, ভাইসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা আমাদের আরও উদ্বিগ্ন করে। যে ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এই মামলা, তিনি মারা গেছেন হূদেরাগে। আসলে লিমন উপাখ্যান এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, গরিষ্ঠসংখ্যক মানুষ মনে করছে, লিমন প্রতিহিংসার শিকার। র্যাবের কথিত সোর্সদের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নীরব থাকতে পারে না। তাদের তরফে একটি সনাতন তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা যথেষ্ট প্রশ্নসাপেক্ষ হয়ে পড়তে বাধ্য।
টিআইবি এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) পৃথক বিবৃতিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আরজিও তাদের আছে। তবে বর্তমান সরকারের মেয়াদে সরকারি কোনো সংস্থার আচরণ বা ভাবমূর্তি জনগণের সামনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এবং তারপর বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে তার প্রতিকার নিশ্চিত করা হয়েছে—এমন নজির বিরল। ক্ষমতাসীন দল এখনো আন্তরিক হলে ঈদের দিন লিমনের পরিবারের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিহিত-ব্যবস্থা নিতেই পারে। কিন্তু সেটা কি খুব জোর দিয়ে আশা করা চলে? ‘দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন’ নীতি যেন এই রাষ্ট্রে আজ নির্বাসিত। দুর্বল লিমনের পরিবারের পক্ষে যেহেতু উচ্চপর্যায়ে তদবির করার বলবান কেউ নেই, তাই তাদের জীবনে দুর্ভোগ ও লাঞ্ছনার অবসান হচ্ছে না। কিন্তু গাঁয়ের এই কলেজপড়ুয়া দরিদ্র এবং র্যাবের হাতে এক পা হারানো লিমন ও তার পরিবারের প্রতি কি সরকারের কোনোই দায়িত্ব নেই?
প্রধানমন্ত্রী র্যাবের জবাবদিহির বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ। এ বিষয়ে অধিকতর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে তিনি লিমন উপাখ্যান খতিয়ে দেখতে পারেন।
No comments