হলমার্ক কেলেঙ্কারি- দায়ী কর্মকর্তারা চিহ্নিত, ব্যবস্থা নিচ্ছে সোনালী ব্যাংক
সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ব্যাংকের রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন হোটেল) শাখার ওপর পরিচালিত কার্যক্রম নিরীক্ষা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করা হয়।
পর্ষদ নিরীক্ষাটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে। পর্ষদ চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বলা হয়, যত ধরনের চাপই আসুক না কেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেই।
পর্ষদ সভা সূত্রে জানা গেছে, মহাব্যবস্থাপক এবং এর নিচের পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। জবাব গ্রহণযোগ্য না হলে বরখাস্তসহ সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিগগিরই এ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (ডিএমডি) নিয়োগ দেয় সরকার। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পর্ষদ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে চিঠি দেবে।
জানা গেছে, সরকারের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় সোনালী ব্যাংক হলমার্ক গ্রুপকে অবৈধভাবে নানা ধরনের সুবিধা দিয়েছে। এ বিষয়ে লেখালেখি হলে সোনালী ব্যাংক পর্ষদ দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়। একটি বিশেষ নিরীক্ষার মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়। ঈদের আগে সিদ্ধান্ত হয়, এ বিষয়ে পর্ষদ বৃহস্পতিবার বৈঠক করবে। গতকালের এই বৈঠকে পর্ষদের তিনজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। তাঁরা হলেন, সুভাষ সিংহ রায়, সত্যেন্দ্র চন্দ্র ভক্ত ও সাইমুম সরওয়ার। এই তিনজনই সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সোনালী ব্যাংকের ওই শাখার কার্যক্রম নিরীক্ষা (ফাংশনাল অডিট) করেছে সাইফুল শামসুল আলম অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস কোম্পানি। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে এই বিশেষ নিরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে ব্যাংকের কার কী দায়িত্ব, ব্যাংক কতখানি দায়ী, সেটি চিহ্নিত করতেই এই নিরীক্ষা চালানো হয়।
সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা সব মিলিয়ে ঋণ ও অগ্রিম দিয়েছে তিন হাজার ৬৯৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে তিন হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকাই দেওয়া হয়েছে নিয়মবহির্ভূতভাবে। এই অর্থের মধ্যে দুই হাজার ৬৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা একাই নিয়েছে হলমার্ক গ্রুপ।
পর্ষদ সভা সূত্রে জানা গেছে, মহাব্যবস্থাপক এবং এর নিচের পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। জবাব গ্রহণযোগ্য না হলে বরখাস্তসহ সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিগগিরই এ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (ডিএমডি) নিয়োগ দেয় সরকার। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পর্ষদ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে চিঠি দেবে।
জানা গেছে, সরকারের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় সোনালী ব্যাংক হলমার্ক গ্রুপকে অবৈধভাবে নানা ধরনের সুবিধা দিয়েছে। এ বিষয়ে লেখালেখি হলে সোনালী ব্যাংক পর্ষদ দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়। একটি বিশেষ নিরীক্ষার মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়। ঈদের আগে সিদ্ধান্ত হয়, এ বিষয়ে পর্ষদ বৃহস্পতিবার বৈঠক করবে। গতকালের এই বৈঠকে পর্ষদের তিনজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। তাঁরা হলেন, সুভাষ সিংহ রায়, সত্যেন্দ্র চন্দ্র ভক্ত ও সাইমুম সরওয়ার। এই তিনজনই সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সোনালী ব্যাংকের ওই শাখার কার্যক্রম নিরীক্ষা (ফাংশনাল অডিট) করেছে সাইফুল শামসুল আলম অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস কোম্পানি। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে এই বিশেষ নিরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে ব্যাংকের কার কী দায়িত্ব, ব্যাংক কতখানি দায়ী, সেটি চিহ্নিত করতেই এই নিরীক্ষা চালানো হয়।
সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা সব মিলিয়ে ঋণ ও অগ্রিম দিয়েছে তিন হাজার ৬৯৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে তিন হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকাই দেওয়া হয়েছে নিয়মবহির্ভূতভাবে। এই অর্থের মধ্যে দুই হাজার ৬৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা একাই নিয়েছে হলমার্ক গ্রুপ।
No comments