আবুল হোসেনের পদত্যাগপত্র এক মাস পর গৃহীত
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। পদত্যাগের এক মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার তা গ্রহণ করা হয়। এর ফলে আবুল হোসেনের পদত্যাগ নিয়ে নাটকের অবসান হলো।
তাঁর পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব শফিউল আলম।
এ ছাড়া তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ২৩ জুলাই ২০১২ তারিখে পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৮ (১)(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৩ জুলাই ২০১২ তারিখ থেকে সৈয়দ আবুল হোসেনের মন্ত্রী পদ শূন্য হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তথ্য বিবরণীতে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর প্রায় এক বছর টানাপড়েন শেষে গত ২৩ জুলাই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন আবুল হোসেন। পদত্যাগের পর আর অফিস করেননি তিনি। এমনকি দলীয় কোনো কর্মসূচিতেও দেখা যায়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদককে।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর প্রথমে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান সৈয়দ আবুল হোসেন। পরে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ওই মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরকে। এর আগে ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সৈয়দ আবুল হোসেন। তখনো তিনি পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির দায়ে পদত্যাগে বাধ্য হন।
পদ্মা সেতু নিয়ে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে টানাপড়েনের ইতি টানতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত আবুল হোসেনের এই পদত্যাগ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ ছাড়া গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় সারা দেশের সড়ক ও রাস্তাঘাটের বেহাল দশার জন্য দেশবাসীর সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরাও সংসদের ভেতরে-বাইরে তাঁর ব্যাপক সমালোচনা করেন। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ঈদের দিনে সভা-সমাবেশ হয়।
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ব্যাপারে এর নেপথ্যে মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে ঘটনার মূল নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে। এ নিয়ে টানা ১০ মাস চলে টানাপড়েন। দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়ে গত ২৯ জুন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে তাদের ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে। বিশ্বব্যাংকের যুক্তি, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দায়িত্বশীল পদে থাকা যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের তদন্তের পুরো সময় ছুটিতে পাঠাতে বলা হলেও সরকার তা মানেনি। তখন যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন সৈয়দ আবুল হোসেন।
অবশ্য আবুল হোসেন বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন_এমনটি প্রমাণিত হলে তিনি আবার ফিরে আসবেন।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করা কানাডা পুলিশ সে দেশের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়েরে দুহাইমের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ছিল চার কোটি ৭০ লাখ ডলার। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য এসএনসি-লাভালিনের কাছে ১০ শতাংশ অর্থ কমিশন চেয়েছিলেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ তিনজন। তাঁরা হলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া এবং পদ্মা সেতুর সাবেক প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
এ ছাড়া তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ২৩ জুলাই ২০১২ তারিখে পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৮ (১)(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৩ জুলাই ২০১২ তারিখ থেকে সৈয়দ আবুল হোসেনের মন্ত্রী পদ শূন্য হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তথ্য বিবরণীতে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর প্রায় এক বছর টানাপড়েন শেষে গত ২৩ জুলাই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন আবুল হোসেন। পদত্যাগের পর আর অফিস করেননি তিনি। এমনকি দলীয় কোনো কর্মসূচিতেও দেখা যায়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদককে।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর প্রথমে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান সৈয়দ আবুল হোসেন। পরে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ওই মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরকে। এর আগে ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সৈয়দ আবুল হোসেন। তখনো তিনি পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির দায়ে পদত্যাগে বাধ্য হন।
পদ্মা সেতু নিয়ে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে টানাপড়েনের ইতি টানতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত আবুল হোসেনের এই পদত্যাগ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ ছাড়া গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় সারা দেশের সড়ক ও রাস্তাঘাটের বেহাল দশার জন্য দেশবাসীর সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরাও সংসদের ভেতরে-বাইরে তাঁর ব্যাপক সমালোচনা করেন। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ঈদের দিনে সভা-সমাবেশ হয়।
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ব্যাপারে এর নেপথ্যে মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে ঘটনার মূল নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে। এ নিয়ে টানা ১০ মাস চলে টানাপড়েন। দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়ে গত ২৯ জুন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে তাদের ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে। বিশ্বব্যাংকের যুক্তি, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দায়িত্বশীল পদে থাকা যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের তদন্তের পুরো সময় ছুটিতে পাঠাতে বলা হলেও সরকার তা মানেনি। তখন যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন সৈয়দ আবুল হোসেন।
অবশ্য আবুল হোসেন বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন_এমনটি প্রমাণিত হলে তিনি আবার ফিরে আসবেন।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করা কানাডা পুলিশ সে দেশের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়েরে দুহাইমের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ছিল চার কোটি ৭০ লাখ ডলার। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য এসএনসি-লাভালিনের কাছে ১০ শতাংশ অর্থ কমিশন চেয়েছিলেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ তিনজন। তাঁরা হলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া এবং পদ্মা সেতুর সাবেক প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
No comments