সিসিমপুর: টুকটুকি, শিকু, ইকরি ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে আরও অনেকে। সবাই মিলে নানা কাণ্ড ঘটায় এখানে, যা জানতে হলেপড়তে হবে। -একসঙ্গে গান
একদিন বটতলায় হালুম নিজের খেয়ালে গান গাইছে। শিকু দোতারা, টুকটুকি বাঁশি আর ইকরি থালার ওপর চামচ দিয়ে ঢোল বাজাচ্ছে। তারা সবাই যে যার মতো আপন খেয়ালে বাজাচ্ছে। কেউ কারোটা শুনছে না। টুকটুকি এগিয়ে এসে বলল, এই তোমরা বাঁশি শুনবে? শোনো...
টুকটুকি তার বাঁশিতে সুন্দর একটা মেঠো সুর বাজাল।
ইকরি বলল, খুব ভালো বাজিয়েছ টুকটুকি। এবার ইকরির বাজনা শোনো। ইকরি থালার ওপর চামচ দিয়ে একটা সুন্দর তাল বাজাল।
শিকু বলল, দারুণ বাজালে ইকরি। তারপর সে দোতারায় টুংটাং টুংটাং করে একটা বাউল গানের সুর বাজিয়ে বলল, বলো, কেমন লাগল?
হালুম বলল, বাহ্! খুব সুন্দর দোতারা বাজালে শিকু। হালুম ‘পুঁটি মাছে বলে মাঝি ভাই হামোক না ছাড়িও...’ ভাওয়াইয়া গানের প্রথম অন্তরাটা গেয়ে বলল, কেমন গাইলাম?
শিকু বলল, ভালোই গাইলে হালুম...!
প্রশংসা শুনে হালুমের উৎসাহ বেড়ে গেল। সে আরও উচ্ছ্বসিত হয়ে গানটা গাওয়া শুরু করল। শিকুও তার দোতারা বাজানো শুরু করল। টুকটুকি বাঁশি আর ইকরি থালার ঢোল বাজানো শুরু করল। কেউ কারোটা শুনছে না। যে যার মতো বাজিয়েই চলেছে।
হঠাৎ হালুম সবাইকে থামিয়ে বলল, শোনো, তোমরা সবাই খুব ভালো বাজাও, আমিও ভালো গান গাই। কিন্তু আমরা যে যার মতো বাজালে শুনতে একটুও ভালো লাগবে না। মনে হবে হই-হট্টগোল হচ্ছে।
ইকরি বলল, ঠিক।
টুকটুকি বলল, আমারও তাই মনে হচ্ছে।
শিকু বলল, কিছু একটা করা দরকার, যাতে সাবারটাই ভালোমতো শোনা যায়, আর শুনতেও ভালো লাগে।
কী করা যায়! ওরা ভাবতে লাগল।
হঠাৎ শিকুর মাথায় বুদ্ধি এল। সে বলল, হালুম গান ধরুক। আর আমরা সেই গানের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে বাজাই।
টুকটুকি বলল, খুব ভালো বুদ্ধি! চলো শুরু করি।
হালুম গান গাওয়া শুরু করল। সবাই মিলিয়ে মিলিয়ে যার যার বাদ্যযন্ত্র বাজানো শুরু করল।
তাল, বাঁশি আর দোতারার সুর মিলে চমৎকার একটা গান তৈরি হলো। সবাই খুশি।
হালুম বলল, সামনের মাছ উৎসবে তারা এই গানটা গাইবেই গাইবে।
ইকরি বলল, খুব ভালো বাজিয়েছ টুকটুকি। এবার ইকরির বাজনা শোনো। ইকরি থালার ওপর চামচ দিয়ে একটা সুন্দর তাল বাজাল।
শিকু বলল, দারুণ বাজালে ইকরি। তারপর সে দোতারায় টুংটাং টুংটাং করে একটা বাউল গানের সুর বাজিয়ে বলল, বলো, কেমন লাগল?
হালুম বলল, বাহ্! খুব সুন্দর দোতারা বাজালে শিকু। হালুম ‘পুঁটি মাছে বলে মাঝি ভাই হামোক না ছাড়িও...’ ভাওয়াইয়া গানের প্রথম অন্তরাটা গেয়ে বলল, কেমন গাইলাম?
শিকু বলল, ভালোই গাইলে হালুম...!
প্রশংসা শুনে হালুমের উৎসাহ বেড়ে গেল। সে আরও উচ্ছ্বসিত হয়ে গানটা গাওয়া শুরু করল। শিকুও তার দোতারা বাজানো শুরু করল। টুকটুকি বাঁশি আর ইকরি থালার ঢোল বাজানো শুরু করল। কেউ কারোটা শুনছে না। যে যার মতো বাজিয়েই চলেছে।
হঠাৎ হালুম সবাইকে থামিয়ে বলল, শোনো, তোমরা সবাই খুব ভালো বাজাও, আমিও ভালো গান গাই। কিন্তু আমরা যে যার মতো বাজালে শুনতে একটুও ভালো লাগবে না। মনে হবে হই-হট্টগোল হচ্ছে।
ইকরি বলল, ঠিক।
টুকটুকি বলল, আমারও তাই মনে হচ্ছে।
শিকু বলল, কিছু একটা করা দরকার, যাতে সাবারটাই ভালোমতো শোনা যায়, আর শুনতেও ভালো লাগে।
কী করা যায়! ওরা ভাবতে লাগল।
হঠাৎ শিকুর মাথায় বুদ্ধি এল। সে বলল, হালুম গান ধরুক। আর আমরা সেই গানের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে বাজাই।
টুকটুকি বলল, খুব ভালো বুদ্ধি! চলো শুরু করি।
হালুম গান গাওয়া শুরু করল। সবাই মিলিয়ে মিলিয়ে যার যার বাদ্যযন্ত্র বাজানো শুরু করল।
তাল, বাঁশি আর দোতারার সুর মিলে চমৎকার একটা গান তৈরি হলো। সবাই খুশি।
হালুম বলল, সামনের মাছ উৎসবে তারা এই গানটা গাইবেই গাইবে।
No comments