বুক অব ফ্যাক্টস আইজ্যাক আজিমভ- পোকামাকড়
গা শিরশিরে কিছু এককোষী প্রাণী আছে, যাদের মধ্যে প্রাণী ও উদ্ভিদ দুটোরই বৈশিষ্ট্য আছে। উদাহরণ হিসেবে প্রথমেই উল্লেখ করা যায় ফ্ল্যাজেলা ইউগ্লেনার কথা, এটি খুব সহজেই পানির মধ্য দিয়ে দ্রুত তরঙ্গায়িতভাবে এগিয়ে যেতে পারে। ফ্ল্যাজেলা ইউগ্লেনার মধ্যে উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য ক্লোরোফিলও আছে।
বোমবিক্স মোরি, একটি সিল্কওয়ার্ম মথ। দীর্ঘকাল ধরে মানুষ এই মথের চাষ করে আসছে, এর ফলে এই মথ মানুষের যত্ন ছাড়া এখন আর বেঁচে থাকতে পারে না। পোষ মানানোর কারণে এটি ওড়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে।
বিশ্বের সব প্রাণিকুলকে একত্র করলেও বিভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড়ের সংখ্যা অনেক বেশি।
কিছু কিছু পোকা আছে, যাদের মাথা আলাদা হয়ে গেলেও এক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, রাসায়নিক দ্রব্য এবং অন্যান্য উত্তেজকের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায়।
এমন পঙ্গপাল আছে, যাদের পূর্ণবয়স্ক জীবনচক্র মাত্র কয়েক সপ্তাহের, অথচ তারা মাটিতে ১৫ বছরের মতো লার্ভা হিসেবে কাটিয়ে এসেছে।
মরুভূমির মধুপিঁপড়ে খাবারের আকাল মোকাবিলা জন্য একটি অদ্ভুত উপায়ে খাদ্যের সংস্থান করে রাখে। নিজেদের দলের কিছু সদস্যকে আগে থেকেই তরল খাদ্য বা পানি খাইয়ে শরীরের পেছনের অংশে মজুদ গড়ে তুলে। মজুদকৃত খাদ্যের কারণে ওই পিঁপড়েদের শরীরের পেছনের অংশ একেকটি মটরশুঁটির মতো আকার পায়। দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে পিঁপড়েরা তাদের শরীরে মজুদ করে রাখা ওই তরল অন্যদের খাওয়ার জন্য উগরে দেয়।
একটি রানি মৌমাছি যখন ডিম পাড়ে, ওই ডিম থেকে বেরোনো মৌমাছিই বড় হয়ে নতুন রানি হয়। আসলে রানি মৌমাছির পাড়া ডিম থেকে যত রানি মৌমাছিই বের হোক না কেন, রানি হওয়ার জন্য বেঁচে থাকে কেবল একজনই। কারণ প্রথম রানি মৌমাছি ডিম থেকে বের হয়েই, প্রকোষ্ঠ থেকে বোরোনো অন্য মৌমাছিদের নিধন করতে শুরু করে।
পুরুষ শিকারি মান্টিস প্রায়ই স্ত্রী মান্টিসের কাছে প্রেম নিবেদন করতে এসে মুণ্ডু হারায়। ঘটনাটা ঘটে স্ত্রী মান্টিসের কাছাকাছি যখন একাধিক পুরুষ মান্টিস এসে জড় হয়, স্ত্রী মান্টিস তখন সবচেয়ে আগ্রহী প্রার্থীর শিরশ্ছেদ করে তা সম্পূর্ণ গিলে ফেলে।
চলাফেরার সময় শামুক এক ধরনের রংহীন আঠালো পদার্থ উৎপন্ন করে, যা তাদের শরীরের নিচে একটি নিরাপত্তামূলক কার্পেট হিসেবে কাজ করে। নিরাপত্তার কাজে নিঃসৃত এ পদার্থটি এতই কার্যকরী যে শামুক একটি ধারালো দাড়ি কামানোর ক্ষুরের ওপর দিয়েও নিরাপদে পেরিয়ে যেতে পারে।
সবুজ প্রকৃতিতে প্রতি একরে গড়ে প্রায় ৫০ হাজার মাকড়সা আছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় মাকড়সা প্রতিবছর তাদের সংখ্যার ১০০ গুণ পোকামাকড় ধ্বংস করে।
তেলাপোকার বেঁচে থাকার ভালো ক্ষমতা অসীম। যদি একটি তেলাপোকার মাথা যত্নের সঙ্গে আলাদা করা হয়, অনেকটা যেন রক্তপাত হবে কিন্তু মৃত্যু হবে না এই প্রক্রিয়ায়, তাহলে তেলাপোকাটি কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকার সম্ভবনা আছে। তেলাপোকাটির মৃত্যু মাথা হারানোর জন্যে নয় অনাহারে।
ট্রিনার ডিটারমেস উইপোকার একটি প্রজাতি, যা আফ্রিকান তৃণভূমিতে ঢিবি তৈরি করে, এই ঢিবির কোনো কোনোটির উচ্চতা ১২ ইঞ্চির ওপরে হয়। এসব উইপোকা পানির জন্য মাটির গভীরে সুড়ঙ্গ তৈরি করে। আর এসব সুরঙ্গ কখনো কখনো ১৩০ ফুট পর্যন্ত গভীর হয়।
শামুকেরা ঘুমকাতুরে প্রাণী। শীতের কয়েক মাস নিষ্ক্রিয় থাকা ছাড়াও এরা উত্তপ্ত সূর্য, ভারী বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য খোলসের ভেতর ঢুকে থাকে। মরু শামুক এমনকি তিন থেকে চার বছরও তন্দ্রায় থাকে।
ভাষান্তর: হাসান খুরশীদ
বিশ্বের সব প্রাণিকুলকে একত্র করলেও বিভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড়ের সংখ্যা অনেক বেশি।
কিছু কিছু পোকা আছে, যাদের মাথা আলাদা হয়ে গেলেও এক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, রাসায়নিক দ্রব্য এবং অন্যান্য উত্তেজকের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায়।
এমন পঙ্গপাল আছে, যাদের পূর্ণবয়স্ক জীবনচক্র মাত্র কয়েক সপ্তাহের, অথচ তারা মাটিতে ১৫ বছরের মতো লার্ভা হিসেবে কাটিয়ে এসেছে।
মরুভূমির মধুপিঁপড়ে খাবারের আকাল মোকাবিলা জন্য একটি অদ্ভুত উপায়ে খাদ্যের সংস্থান করে রাখে। নিজেদের দলের কিছু সদস্যকে আগে থেকেই তরল খাদ্য বা পানি খাইয়ে শরীরের পেছনের অংশে মজুদ গড়ে তুলে। মজুদকৃত খাদ্যের কারণে ওই পিঁপড়েদের শরীরের পেছনের অংশ একেকটি মটরশুঁটির মতো আকার পায়। দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে পিঁপড়েরা তাদের শরীরে মজুদ করে রাখা ওই তরল অন্যদের খাওয়ার জন্য উগরে দেয়।
একটি রানি মৌমাছি যখন ডিম পাড়ে, ওই ডিম থেকে বেরোনো মৌমাছিই বড় হয়ে নতুন রানি হয়। আসলে রানি মৌমাছির পাড়া ডিম থেকে যত রানি মৌমাছিই বের হোক না কেন, রানি হওয়ার জন্য বেঁচে থাকে কেবল একজনই। কারণ প্রথম রানি মৌমাছি ডিম থেকে বের হয়েই, প্রকোষ্ঠ থেকে বোরোনো অন্য মৌমাছিদের নিধন করতে শুরু করে।
পুরুষ শিকারি মান্টিস প্রায়ই স্ত্রী মান্টিসের কাছে প্রেম নিবেদন করতে এসে মুণ্ডু হারায়। ঘটনাটা ঘটে স্ত্রী মান্টিসের কাছাকাছি যখন একাধিক পুরুষ মান্টিস এসে জড় হয়, স্ত্রী মান্টিস তখন সবচেয়ে আগ্রহী প্রার্থীর শিরশ্ছেদ করে তা সম্পূর্ণ গিলে ফেলে।
চলাফেরার সময় শামুক এক ধরনের রংহীন আঠালো পদার্থ উৎপন্ন করে, যা তাদের শরীরের নিচে একটি নিরাপত্তামূলক কার্পেট হিসেবে কাজ করে। নিরাপত্তার কাজে নিঃসৃত এ পদার্থটি এতই কার্যকরী যে শামুক একটি ধারালো দাড়ি কামানোর ক্ষুরের ওপর দিয়েও নিরাপদে পেরিয়ে যেতে পারে।
সবুজ প্রকৃতিতে প্রতি একরে গড়ে প্রায় ৫০ হাজার মাকড়সা আছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় মাকড়সা প্রতিবছর তাদের সংখ্যার ১০০ গুণ পোকামাকড় ধ্বংস করে।
তেলাপোকার বেঁচে থাকার ভালো ক্ষমতা অসীম। যদি একটি তেলাপোকার মাথা যত্নের সঙ্গে আলাদা করা হয়, অনেকটা যেন রক্তপাত হবে কিন্তু মৃত্যু হবে না এই প্রক্রিয়ায়, তাহলে তেলাপোকাটি কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকার সম্ভবনা আছে। তেলাপোকাটির মৃত্যু মাথা হারানোর জন্যে নয় অনাহারে।
ট্রিনার ডিটারমেস উইপোকার একটি প্রজাতি, যা আফ্রিকান তৃণভূমিতে ঢিবি তৈরি করে, এই ঢিবির কোনো কোনোটির উচ্চতা ১২ ইঞ্চির ওপরে হয়। এসব উইপোকা পানির জন্য মাটির গভীরে সুড়ঙ্গ তৈরি করে। আর এসব সুরঙ্গ কখনো কখনো ১৩০ ফুট পর্যন্ত গভীর হয়।
শামুকেরা ঘুমকাতুরে প্রাণী। শীতের কয়েক মাস নিষ্ক্রিয় থাকা ছাড়াও এরা উত্তপ্ত সূর্য, ভারী বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য খোলসের ভেতর ঢুকে থাকে। মরু শামুক এমনকি তিন থেকে চার বছরও তন্দ্রায় থাকে।
ভাষান্তর: হাসান খুরশীদ
No comments