সিরিয়া সংঘাত-এবার হুমকি দিল ব্রিটেন
সিরিয়া বিষয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে ব্রিটেন। সিরিয়া সরকার বিদ্রোহীদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকি দিলে দামেস্কের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান 'নতুন করে ভাববার' হুমকি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
এর আগে একই যুক্তিতে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের এ হুমকিকে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর অজুহাত হিসেবে অভিহিত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া। সিনহুয়া জানায়, 'আরো একবার পশ্চিমা শক্তিগুলো সামরিক হস্তক্ষেপের অজুহাত খুঁজছে।'
ক্যামেরন গত বুধবার সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। এদিন ওবামার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি। এর পরপরই এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একই দিনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলন্দের সঙ্গেও কথা বলেন ক্যামেরন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র বলেন, ক্যামেরন ওই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গেই সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। টেলিআলাপে ওবামা ও ক্যামেরন একমত হন যে, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকি দেওয়া হলে তাঁরা দুজনই তাঁদের পূর্ববর্তী অবস্থান পুনর্বিবেচনায় বাধ্য হবেন। তাঁরা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধীদের সহায়তা করার পথ এবং আসাদ-পরবর্তী সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। সিরিয়ার শরণার্থীদের দুর্দশাও তাঁদের আলোচনায় প্রাধান্য পায়।
এর আগে চীনের সিনহুয়া সংবাদ সংস্থা ওবামার বিরুদ্ধে সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালানোর অজুহাত খোঁজার অভিযোগ করে। এক মন্তব্য প্রতিবেদনে ওবামার হামলা চালানোর হুমকিকে 'চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলা হয়। এতে আরো বলা হয়, ওবামার মন্তব্য সংঘর্ষে উস্কানি দেবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে সংকট সমাধানের পথ রুদ্ধ করে দেবে।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপের চেষ্টায় দুই দফা ভেটো দিয়েছে চীন ও রাশিয়া।
এদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে গত বুধবার সামরিক হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সিরিয়া সরকার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোতেও বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, মঙ্গলবার সংঘর্ষে ১৯৮ জন নিহত হয়েছে। তবে এর সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সংস্থাটির মতে, গত বছর আসাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের এ হুমকিকে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর অজুহাত হিসেবে অভিহিত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া। সিনহুয়া জানায়, 'আরো একবার পশ্চিমা শক্তিগুলো সামরিক হস্তক্ষেপের অজুহাত খুঁজছে।'
ক্যামেরন গত বুধবার সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। এদিন ওবামার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি। এর পরপরই এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একই দিনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলন্দের সঙ্গেও কথা বলেন ক্যামেরন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র বলেন, ক্যামেরন ওই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গেই সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। টেলিআলাপে ওবামা ও ক্যামেরন একমত হন যে, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকি দেওয়া হলে তাঁরা দুজনই তাঁদের পূর্ববর্তী অবস্থান পুনর্বিবেচনায় বাধ্য হবেন। তাঁরা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধীদের সহায়তা করার পথ এবং আসাদ-পরবর্তী সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। সিরিয়ার শরণার্থীদের দুর্দশাও তাঁদের আলোচনায় প্রাধান্য পায়।
এর আগে চীনের সিনহুয়া সংবাদ সংস্থা ওবামার বিরুদ্ধে সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালানোর অজুহাত খোঁজার অভিযোগ করে। এক মন্তব্য প্রতিবেদনে ওবামার হামলা চালানোর হুমকিকে 'চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলা হয়। এতে আরো বলা হয়, ওবামার মন্তব্য সংঘর্ষে উস্কানি দেবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে সংকট সমাধানের পথ রুদ্ধ করে দেবে।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপের চেষ্টায় দুই দফা ভেটো দিয়েছে চীন ও রাশিয়া।
এদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে গত বুধবার সামরিক হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সিরিয়া সরকার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোতেও বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, মঙ্গলবার সংঘর্ষে ১৯৮ জন নিহত হয়েছে। তবে এর সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সংস্থাটির মতে, গত বছর আসাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments