বাংলাদেশিদের মদদ আছে : মমতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বশিরহাট ও বাদুড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় বাংলাদেশিদের মদদ রয়েছে। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য প্রশাসনিক ভবন ‘নবান্নে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মমতা। ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে এক যুবকের একটি আপত্তিকর পোস্টের কারণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির। মমতা বলেন, ‘ওই এলাকার অশান্তিতে বাংলাদেশ থেকে আসা লোকজনের মদদ রয়েছে বলে আমি খবর পেয়েছি। বাংলাদেশ থেকে আসা এই অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক খুব ভালো।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনো এক সংবাদমাধ্যমে বশিরহাটের ঘটনা হিসেবে বাংলাদেশের কুমিল্লার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ফেসবুকেও ভোজপুরি চলচ্চিত্রের দৃশ্য নিয়ে ভুল প্রচার করা হচ্ছে।’ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বশিরহাট ও বাদুড়িয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। বাংলা একটি স্পর্শকাতর জায়গা। এই পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের সীমান্ত রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া সিকিমের সঙ্গে রয়েছে চীনের সীমান্ত। ফলে, পরিকল্পিতভাবে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি তৈরির চক্রান্ত করা হচ্ছে।’ বশিরহাট-বাদুড়িয়ার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে মমতা বলেন, ‘বশিরহাট ও বাদুড়িয়াতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্ররোচণা দেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও সেখানের মানুষ ওই প্ররোচণায় পা দেননি। এজন্য তাদের ধন্যবাদ।’ বশিরহাটে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাংচুরের ঘটনায় মমতা ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকেও (আরএসএস) কাঠগড়ায় দাঁড় করান। আরএসএসের দুর্গাবাহিনীকে কটাক্ষ করেন। নারীদের বন্দুক চালানো শেখানো নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। পাশাপাশি দার্জিলিং পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এক মাস হয়ে গেল দার্জিলিং শান্ত হয়নি। কেন্দ্রের কাছে সিআরপিএফ বাহিনী চাওয়া সত্ত্বেও তারা তা দেয়নি। পাহাড়ের জনজীবন এখনও শান্ত হয়নি, এখনও স্কুল-কলেজ বন্ধ। কেন্দ্র সরকারের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘পাহাড়ের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করতে দিন। পাহাড়ে খাবার পাঠান।’ এ সময় পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলোকে শান্তির পথে ফিরে আসার বার্তাও দেন তিনি।
No comments