পুলিশের অভিযানের মধ্যেই চিংড়ি জোনে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধ ৫
পুলিশের অভিযানের মধ্যেই কক্সবাজারের চকরিয়ার চিংড়ি জোন এলাকার ডুলাহাজরার ডুমখালী, কাটাখালী ও চরণদ্বীপ এলাকার পাঁচটি চিংড়ি ঘেরে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দলের গুলিতে ঘেরের পাহাদারসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে চিংড়ি ঘের, ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও চিংড়ি খামারে লুটপাট করে চিংড়িসহ প্রায় ৬ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। সোমবার ভোর রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডুলাহাজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল হোসেন জানান, এখানে জো’র সময় প্রতি রাতে ডাকাতি হয়। রাত আসলেই চিংড়ি ঘেরগুলো সশস্ত্র ডাকাতদের দখলে চলে যায়। চিংড়ি চাষিরা জানান, এদিন ভোর রাতে ২০/২৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল চিংড়ি চাষি ডুমখালীর নুরুল আলম ও জাহেদ, কাটাখালীর বাদশা, শোয়াজানিয়ার মাহবুবের মালিকানায় থাকা পাঁচটি চিংড়ি ঘেরে হামলা করে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা প্রায় ৩০-৪০রাউন্ড গুলি ছুড়ে। গুলিতে কাটাখালীর শফির ছেলে ইঞ্জিন বোট চালক মোঃ হারুন (২৯) ও চিংড়ি চাষি মাহমুদুল করিমসহ পাচজন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিংড়ি চাষি নুরুল আলমের ঘের পাহাদার বেলাল উদ্দিন জানান, ডাকাতদের মধ্যে চিহ্নিত জিয়াবুল বাহিনীর সদস্য পটুকে তিনি ছিনতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ওই বাহিনীর অত্যচারে চকরিয়ার চিংড়ি জোন এলাকায় চিংড়ি চাষ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, চিংড়ি ডাকাতদের ধরতে চকরিয়া থানার পুলিশ রাতে চিংড়ি জোন এলাকায় অভিযানে ছিল। তবে এ চিংড়ি ঘেরগুলোতে ডাকাতির খবর পায়নি পুলিশ। খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান ওসি।
No comments