বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনি by ইয়ারব হোসেন
অজানা এক বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার
১১ বছরের মুক্তামনি। তার ডান হাত দেখে মনে হবে কোনো গাছের শিকড়ের মতো। সে
সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে। সাদা রংয়ের
হাজার হাজার পোকা জন্মেছে। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে মুক্তামনি। সরকার ও
সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন অসহায় মুক্তার পরিবার। চিকিৎসকরা
বলছেন এ ব্যাধি তার দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। পরিবার বলছে ভুল চিকিৎসার
জন্য তাদের মেয়ের এই করুণ পরিণতি হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ
কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেনের পরিবারে দুই যমজ মেয়ে
হীরামনি ও মুক্তামনি। জন্মের প্রথম দেড় বছর যাবৎ ভালোই ছিল ফুটফুটে দুই
শিশু হীরা ও মুক্তা। কিছুদিন পর দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মুক্তার ডানহাতে
একটি ছোট ফোড়ার মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে মুক্তামনির ব্যাধির মাত্রা
বেড়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় তার চলাফেরা, স্কুলে যাওয়া, খেলাধুলা। চার বছর ধরে
অসহ্য ব্যথা ও যন্ত্রণা তাকে দিন দিন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মুক্তামনি
এখন বসতে পারে না। খেলতে পারে না। স্কুলে যেতে পারে না। দিনরাত কেবল শুয়ে
কাটাতে হয় তাকে। যতই দিন যাচ্ছে ততই মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে মুক্তামনি।
মুক্তার বাবা ইব্রাহীম হোসেন জানান, আমি নিজেও অসুস্থ এবং একজন সামান্য মুদি দোকানি তারপরও বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার-দেনা করে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি সেখানে ডাক্তারদের মধ্যে কেউ বলেছে হাঁড়ের ইনফেকশন। খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে খুলনার শিশু বিশেষজ্ঞ এক ডাক্তার তিনি বলেছেন, হাঁড়ের ক্যান্সার আবার যশোরের কুইন্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তার গোলাম কিবরিয়া বললেন রক্তে টিউমার এর কথা। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা করে কোনো কাজ হয়নি। সর্বশেষ ঢাকার সিআরপি ও পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে রিফার করে সেখান থেকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কৃষ্ণা পিয়া নামের ডাক্তার চিকিৎসা দেন। তিনি বলেন তার মেয়ের ওই হাতে বোন টিউমার হয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও কোনো ফল হয়নি। বরং তিনি হয়রানির শিকার হয়েছেন। মুক্তার বাবা বিভিন্ন হাসপাতালে এভাবে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। কেউ কোনো সঠিক চিকিৎসা দিতে পারেননি। রোগের মাত্রা শুধু বেড়েই চলেছে। হতাশ বাবা ইব্রাহীম গত ছয় মাস যাবৎ চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় মুক্তাকে বাড়িতে রেখে কেবল ড্রেসিং করছেন। এরই মধ্যে আক্রান্ত হাত ক্রমেই ভারি হয়ে উঠছে। পোকা ধরেছে। মশা ও মাছির উৎপাত বাড়ছে। বাড়িময় বিকট গন্ধ ছুটছে। এ কারণে তাদের বাড়িতে আত্মীয়স্বজনরা আসতে চায় না। গ্রামের লোকজনও শুধু দূর থেকে নজরে দেখে চলে যায়। মেয়ের শোকে তিনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। এখন রোগটি সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে মুক্তার পরিবার তাকে সমাজ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্নভাবে রেখেছেন। মুক্তামনির মা আছমা খাতুন জানান, মেয়ে সারারাত বিছানায় হাতের যন্ত্রণায় ছটফট করে। সারা দেহে পোকার কামড়ের যন্ত্রণা। চোখের সামনে মেয়ের কষ্টের যন্ত্রণা আর সহিতে পারছি না।
মুক্তার বাবা ইব্রাহীম হোসেন জানান, আমি নিজেও অসুস্থ এবং একজন সামান্য মুদি দোকানি তারপরও বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার-দেনা করে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি সেখানে ডাক্তারদের মধ্যে কেউ বলেছে হাঁড়ের ইনফেকশন। খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে খুলনার শিশু বিশেষজ্ঞ এক ডাক্তার তিনি বলেছেন, হাঁড়ের ক্যান্সার আবার যশোরের কুইন্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তার গোলাম কিবরিয়া বললেন রক্তে টিউমার এর কথা। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা করে কোনো কাজ হয়নি। সর্বশেষ ঢাকার সিআরপি ও পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে রিফার করে সেখান থেকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কৃষ্ণা পিয়া নামের ডাক্তার চিকিৎসা দেন। তিনি বলেন তার মেয়ের ওই হাতে বোন টিউমার হয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও কোনো ফল হয়নি। বরং তিনি হয়রানির শিকার হয়েছেন। মুক্তার বাবা বিভিন্ন হাসপাতালে এভাবে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। কেউ কোনো সঠিক চিকিৎসা দিতে পারেননি। রোগের মাত্রা শুধু বেড়েই চলেছে। হতাশ বাবা ইব্রাহীম গত ছয় মাস যাবৎ চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় মুক্তাকে বাড়িতে রেখে কেবল ড্রেসিং করছেন। এরই মধ্যে আক্রান্ত হাত ক্রমেই ভারি হয়ে উঠছে। পোকা ধরেছে। মশা ও মাছির উৎপাত বাড়ছে। বাড়িময় বিকট গন্ধ ছুটছে। এ কারণে তাদের বাড়িতে আত্মীয়স্বজনরা আসতে চায় না। গ্রামের লোকজনও শুধু দূর থেকে নজরে দেখে চলে যায়। মেয়ের শোকে তিনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। এখন রোগটি সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে মুক্তার পরিবার তাকে সমাজ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্নভাবে রেখেছেন। মুক্তামনির মা আছমা খাতুন জানান, মেয়ে সারারাত বিছানায় হাতের যন্ত্রণায় ছটফট করে। সারা দেহে পোকার কামড়ের যন্ত্রণা। চোখের সামনে মেয়ের কষ্টের যন্ত্রণা আর সহিতে পারছি না।
No comments