'ডেসটিনির এমডি-চেয়ারম্যান জামিনে গেলে খুঁজে পাওয়া যাবে না'
ডেসটিনির এমডি ও চেয়ারম্যান একবার জামিনে গেলে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে এ সংক্রান্ত শুনানিতে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ। সোমবার এ সংক্রান্ত এক আদেশের সংশোধন চেয়ে ডেসটিনির দুই শীর্ষ কর্মকর্তার জামিন আবেদনের শুনানিকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ কথা বলেন। ডেসটিনির আইনজীবীর উদ্দেশে আপিল বিভাগ বলেন, ‘ডেসটিনির বিরুদ্ধে ৩ হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও এমডি জামিনে একবার কারাগারের বাইরে গেলে তারা এক টাকা জমা দেবে না। এমনকি জামিনে একবার গেলে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ পরে আপিল বিভাগ আদেশে ডেসটিনির ব্যাংক হিসাব দাখিলের নির্দেশ দিয়ে আগামী রোববার এ সংক্রান্ত শুনানির জন্য ফের দিন ধার্য করেন। আদালতে ডেসটিনির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। গত বছরের ১৩ নভেম্বর ডেসটিনি গ্রুপের বৃক্ষ রোপণ প্রকল্পের ৩৫ লাখ গাছ ৬ সপ্তাহের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। ওই দিন আদেশে আদালত বলেন, ৩৫ লাখ গাছ বিক্রির ২৮০০ কোটি টাকা সরকারকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে। টাকা পাওয়া সাপেক্ষে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনকে আপিল বিভাগ জামিন দেবেন বলে আদেশে বলা হয়। তবে গাছ বিক্রি করে যদি ২৮০০ কোটি টাকা না হয় তাহলে কমপক্ষে ২৫০০ কোটি টাকা সরকারকে দিলে মিলবে বলে আপিল বিভাগ আদেশে বলেন। আদালতের ওই শর্ত অনুযায়ী, টাকা জমা না দেয়ায় এখনো জামিন মেলেনি ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনের।
No comments