সুবর্ণার স্বপ্নের মৃত্যু! সাঁতারু বাছাই নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ
ক্যাম্পে
সাঁতারু বাছাই নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে’
কার্যক্রমে অংশ নিয়ে চূড়ান্ত পর্বে সুযোগ পেয়েছিল সুবর্ণা আক্তার সঙ্গী। ৫০
মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে ব্রোঞ্জ জিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে
পুরস্কারও নিয়েছে সে। তারপরও ঠাঁই হয়নি তার ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে’র তিন
বছরের আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে। হতাশ সুবর্ণা আক্তার সঙ্গী ও তার পরিবার।
ফেডারেশনের চূড়ান্ত তালিকায় কেন নেই সুবর্ণার নাম, তা বলতে পারলেন না
দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ পার্ক তে গুন। এর ফলে ভবিষ্যতের এক তারকা সাঁতারুর
স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটছে!
কিশোরগঞ্জের শহীদ স্মরণিকা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুবর্ণা আক্তার সঙ্গী। বাবা ইদ্রিস আলী কিশোরগঞ্জ টিএনও অফিসের পরিচ্ছন্ন কর্মী। দরিদ্র ইদ্রিস আলীর পরিবার স্বপ্ন দেখা শুরু করে সুবর্ণাকে নিয়ে। সাঁতার ফেডারেশনের ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে’র কার্যক্রমে মেয়েকে পাঠান। সকালে স্কুলে যাওয়া আর বিকেলে সাঁতারে মনোনিবেশ করা, এভাবেই উপজেলা, জেলা পেরিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে ভালো করে সুবর্ণা। ১৬০ জনের দ্বিতীয় চূড়ান্ত প্রশিক্ষণেও ডাক পায়। সুবর্ণার নিজের প্রতি অগাধ আস্থা। তাই তো সেরা ৬০ জনের মধ্যেও জায়গা করে নেয়। সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে জোড়া সোনাজয়ী মাহফুজা খাতুন শিলার মতো বড় সাঁতারু হওয়ার স্বপ্নে বিভোর সুবর্ণা চূড়ান্ত বাছাইয়ের ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে ব্রোঞ্জপদক জেতে। গত ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সে পদক গ্রহণ করে। সেই সুবর্ণাকে ডাকা হয়নি চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে।
৬০ জনকে নিয়ে শুক্রবার মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। তিন বছরব্যাপী এ আবাসিক ক্যাম্পে ডাক পায়নি সুবর্ণা। হতাশায় কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। কিশোরগঞ্জ থেকে এই প্রতিবেদককে সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলে, ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে’ জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছি। সবাইকে নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলাম। ১৬০ জনকে রেখেছিল। চার মাসের ক্যাম্প করিয়েছে। পরে ৬০ জন হয়। প্রধানমন্ত্রীর সামনে তৃতীয় হয়েছি। আমাদের সেরা ২০ জনকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছে সবাই। কিন্তু এখন আমাকেই ডাকা হয়নি।’ সে যোগ করে, ‘৫০ থেকে ৩৫ সেকেন্ড সময়ে নিজের টাইমিং নামিয়ে এনেছি। তৃতীয় হয়েছিলাম বলে কর্মকর্তারা আমাকে বলেছিলেন, ৬০ জনের ক্যাম্প করলে তারা ডাকবেন। অথচ আমাকে না ডেকে আমার চেয়ে বেশি সময় নেয়া কিশোরগঞ্জের ফাতেমা আক্তার আঁখি এবং কুষ্টিয়ার জুলির মতো সুইমারদের ডাকা হয়েছে। এখন আমি কি করব বুঝতে পারছি না।’
এদিকে পার্ক তে গুন বলেন, ‘সুবর্ণা যা বলেছে সবই সত্যি। সে ব্রোঞ্জ পেয়েছিল। সর্বশেষ ২০ জনের মধ্যে আসার মতোই সুইমার সে। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম পাইনি আমি। অবাক হয়েছি। ক্যাম্পে কাদের ডাকা হবে, তা সম্পূর্ণ ফেডারেশনের এখতিয়ার। এখানে আমার কোনো হাত নেই।’
কিশোরগঞ্জের শহীদ স্মরণিকা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুবর্ণা আক্তার সঙ্গী। বাবা ইদ্রিস আলী কিশোরগঞ্জ টিএনও অফিসের পরিচ্ছন্ন কর্মী। দরিদ্র ইদ্রিস আলীর পরিবার স্বপ্ন দেখা শুরু করে সুবর্ণাকে নিয়ে। সাঁতার ফেডারেশনের ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে’র কার্যক্রমে মেয়েকে পাঠান। সকালে স্কুলে যাওয়া আর বিকেলে সাঁতারে মনোনিবেশ করা, এভাবেই উপজেলা, জেলা পেরিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে ভালো করে সুবর্ণা। ১৬০ জনের দ্বিতীয় চূড়ান্ত প্রশিক্ষণেও ডাক পায়। সুবর্ণার নিজের প্রতি অগাধ আস্থা। তাই তো সেরা ৬০ জনের মধ্যেও জায়গা করে নেয়। সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে জোড়া সোনাজয়ী মাহফুজা খাতুন শিলার মতো বড় সাঁতারু হওয়ার স্বপ্নে বিভোর সুবর্ণা চূড়ান্ত বাছাইয়ের ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে ব্রোঞ্জপদক জেতে। গত ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সে পদক গ্রহণ করে। সেই সুবর্ণাকে ডাকা হয়নি চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে।
৬০ জনকে নিয়ে শুক্রবার মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। তিন বছরব্যাপী এ আবাসিক ক্যাম্পে ডাক পায়নি সুবর্ণা। হতাশায় কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। কিশোরগঞ্জ থেকে এই প্রতিবেদককে সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলে, ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে’ জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছি। সবাইকে নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলাম। ১৬০ জনকে রেখেছিল। চার মাসের ক্যাম্প করিয়েছে। পরে ৬০ জন হয়। প্রধানমন্ত্রীর সামনে তৃতীয় হয়েছি। আমাদের সেরা ২০ জনকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছে সবাই। কিন্তু এখন আমাকেই ডাকা হয়নি।’ সে যোগ করে, ‘৫০ থেকে ৩৫ সেকেন্ড সময়ে নিজের টাইমিং নামিয়ে এনেছি। তৃতীয় হয়েছিলাম বলে কর্মকর্তারা আমাকে বলেছিলেন, ৬০ জনের ক্যাম্প করলে তারা ডাকবেন। অথচ আমাকে না ডেকে আমার চেয়ে বেশি সময় নেয়া কিশোরগঞ্জের ফাতেমা আক্তার আঁখি এবং কুষ্টিয়ার জুলির মতো সুইমারদের ডাকা হয়েছে। এখন আমি কি করব বুঝতে পারছি না।’
এদিকে পার্ক তে গুন বলেন, ‘সুবর্ণা যা বলেছে সবই সত্যি। সে ব্রোঞ্জ পেয়েছিল। সর্বশেষ ২০ জনের মধ্যে আসার মতোই সুইমার সে। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম পাইনি আমি। অবাক হয়েছি। ক্যাম্পে কাদের ডাকা হবে, তা সম্পূর্ণ ফেডারেশনের এখতিয়ার। এখানে আমার কোনো হাত নেই।’
No comments