বাধাহীন যৌনাচারের উৎসব
লন্ডনের
টর্চার গার্ডেন। একটি ক্লাবের নাম। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্লাব। এখানে রাতের
আলোয় জমে ওঠে উন্মত্ততা। অবাধ যৌনাচার থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই, যা
সেখানে হয় না। আছে টপলেস সুন্দরী রমনীদের উত্তাল নাচ। আছে পোল ড্যান্স।
তাতে বিবস্ত্রপ্রায় যুবতীর অঙ্গভঙ্গি, চাহনি, আকুতি পাগল করে তোলে পুরুষের
হৃদয়। আলো আঁধারিতে তখন মঞ্চের বাইরে অন্য দৃশ্য। কোথাও বা স্বল্পবসনা এক
নারীর গলায় রশির মতো একটা কিছু লাগিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বাঘের মতো
ক্ষিপ্রতায় দু’পুরুষ। আর বলছে আমরা তোমাকে ভালবাসি। তাই না। কোনো একটি কেজ
বা খাঁচার মধ্যে জাপানের ভীষণ এক সুন্দরী। তিনি সামান্য এক টুকরো অন্তর্বাস
পরে আছেন। বাইরে বাজছে উচ্চ শব্দে মিউজিক। বিভিন্ন স্থান থেকে এ ক্লাবে
যোগ দেয়া যুগলরা তখন বেশির ভাগই আনড্রেস বা বিবস্ত্র। আটকে যাচ্ছেন একের
মধ্যে অন্যজন। তাদের মাঝে এমন সময় সৃষ্টি হয় এক অবাধ কামাতুরতা। তাতে বাধা
নেই কোনো। আশপাশেই আছে বিশেষ সব রুম। সেখানে ভালবাসায় মত্ত কোনো
যুবক-যুবতী। ইউরোপে রগরগে এমন পার্টির সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম টর্চার
গার্ডেন। লন্ডনে প্রতি মাসে এ উৎসব আয়োজন করা হয়। আর এডিনবার্গে আয়োজন করা
হয় বছরে তিনবার। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য সান। এ উৎসবে যোগ দেয়া যুবতীর
কাছে পাণি প্রার্থনা করতে পারে যেকোনো যুবক। জুটেও যেতে পারে তা। তারপর
ভিতরে চলতে থাকে তাদের বাধাহীন সম্পর্ক। এ উৎসবে ১৫ বছর ধরে যোগ দেন এমন
একজন দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের। তিনি বলেছেন, টর্চার গার্ডেন ভীষণ ভাল একটি
উদ্যোগ। এখানে আপনি নাচতে পারবেন। গর্জিয়াস মানুষগুলোর সঙ্গে কিছু সময়ের
জন্য নষ্টামিতে ডুবে যেতে পারবেন। আবেশ সৃষ্টিকারী লোকজনের সঙ্গে মিশে যেতে
পারবেন। আরেক যুগল বলেছেন, তারা ২০ বছর যাবত বিবাহিত। তাদের ভাষায়, আমাদের
যৌন জীবন আরো আনন্দময় হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, ১৬ বছর ধরে এমন উৎসব আয়োজন হয়ে
আসছে জাপান, মস্কো, নেপলস, রোম ও বার্লিনে।
No comments