হ্যাপির নয়া জীবন
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgvuzC9HvLu9ZdNM0o1f_BqI0QtvudAqPtS3luvLs7BOvskJ_wk6ghI8mXvuX2fQvtVtW8s84dm16Ej7Sk6fnI-cs4IQUZDZpmFczLIMtHc2LlJYvgDbqevHALrtdHLtjuXeDczIbz4V00M/s400/%25E0%25A6%25B9%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%259C%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25A8.jpg)
নিজেকে
বদলে ফেলেছেন বাংলাদেশের বহুল আলোচিত নায়িকা নাজনিন আক্তার হ্যাপি। শুধু
তাই নয়, নামও পাল্টে ফেলেছেন তিনি। এখন তার নাম আমাতুল্লাহ। বিয়ে করেছেন।
বিদায় জানিয়েছেন সিনেমাকে। তাবলীগ জামায়াতে যোগ দেয়ার সংকল্প করেছেন।
চলাফেরা করেন বোরকা পরে। ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন সব ছবি। অতীতকে জীবন
থেকে মুছে দিতে চান হ্যাপী। ভুলে যেতে চান একদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নামকরা
ফাস্ট বোলার রুবেল হোসেনের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাকে বিয়ের
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রুবেল। হ্যাপি দাবি করেছিলেন, রুবেল তার সঙ্গে
শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। এ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় বাংলাদেশ সহ সারা
বিশ্বে। রুবেলকে আটক করে পুলিশি রিমান্ডে নেয়া হয়। কিন্তু আদালত অভিযোগের
প্রমাণ না পাওয়ায় রুবেল মুক্তি পান। কিন্তু এরপর নতুন জীবন বেছে নিয়েছেন
নায়িকা হ্যাপি। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি’কে উদ্ধৃত করে সচিত্র
প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। তাতে বলা হয়েছে,
কেলেঙ্কারি পাল্টে দিয়েছে হ্যাপির জীবন। তার বিরল ও বিস্তারিত এক
সাক্ষাৎকারে বলেছেন অনেক কথা। এ সাক্ষাৎকারের নাম দেয়া হয়েছে ‘হ্যাপি থেকে
আমাতুল্লাহ’। এই শিরোনামে তার সাক্ষাৎকারের একটি বই বাজারে ছাড়া হয়েছে গত
জুনে। তারপর পাঠকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন বাজারে একটি কপি সংগ্রহ করতে। জুনে
প্রকাশের পর বিক্রি হয়েছে কয়েক হাজার কপি। প্রকাশকের ওপর চাপ পড়ছে
পুনর্মুদ্রণের জন্য। বইটি প্রকাশ করেছে ইসলামী বইয়ের প্রকাশনা সংস্থা
মক্তবাতুল আজহার-এর মালিক মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, সবাই জানতে
চাইছেন কি কারণে এই নায়িকা সেলিব্রেটি জীবন ত্যাগ করে ইসলামী জীবনধারায়
ফিরে গেলেন। উল্লেখ্য, নাজনীন আক্তার হ্যাপি ঢালিউডে ২০১৩ সালে নাম করেন
‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে। কিন্তু বাংলাদেশের স্টার ক্রিকেটার
ফাস্ট বোলার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ২০১৪ সালের
শেষের দিকে। এতে চারপাশের সবাই বিস্মিত, হতবাক হয়ে পড়েন। ফলে ক্রিকেটপাগল
বাংলাদেশজুড়ে পরিচিত হয়ে ওঠেন হ্যাপি। ওই সময় হ্যাপি অভিযোগ করেন, তখনকার
২৫ বছর বয়সী রুবেল হোসেনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িত তিনি। কিন্তু
রুবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগে হ্যাপি বলেন, সে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি থেকে
দূরে সরে যাচ্ছে। জবাবে রুবেল হোসেন বলেছিলেন, তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে।
পরে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের প্রমাণ পায় নি আদালত। এসব নিয়ে প্রতি
মুহূর্তে, ঘটনার প্রতিটি বাঁক নিয়ে বাংলাদেশে রিপোর্ট প্রকাশিত হতে থাকে।
অভিযোগ প্রত্যাহার করেন হ্যাপি। তিনি বলেন, রুবেলকে তিনি ক্ষমা করে
দিয়েছেন। তারপরও এ নিয়ে রিপোর্ট ছাপা হতে থাকে পত্রপত্রিকায়। তারপর অনেক
সময় কেটে গেছে। অকস্মাৎ হ্যাপি কালো বোরকায় শরীর ঢেকে হাজির হয়েছেন।
রাতারাতি তিনি সিদ্ধান্ত নেন তাবলীগ জামায়াতে যোগ দেয়ার। সঙ্গে সঙ্গে
জীবনের অতীতে যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সবকিছুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
‘হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ’ বইটি স্ত্রী সাদেকা সুলতানা সাকী’কে সঙ্গে নিয়ে
লিখেছেন আবদুল্লাহ আল ফারুকি। তারা দুজনেই হ্যাপির সাক্ষাৎকার নেন। ফারুকি
বলেন, ওই রাতেই হ্যাপি তার ফেসবুক একাউন্ট থেকে হাজার হাজার ছবি মুছে ফেলতে
শুরু করেন। তারপর সিনেমা জগতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। নিজের নাম
পাল্টে তিনি এখন আমাতুল্লাহ। তখন থেকেই পূর্ণ শরীর ঢাকা বোরকা পরা শুরু
করেছেন। এমনকি নিজের হাত, পায়ের পাতা পর্যন্ত ঢাকা থাকে। এভাবেই হ্যাপি তার
ভক্তদের কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। সিনেমা জগতের কাছে বিস্ময়
সৃষ্টি করেছেন। মাদরাসার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত
শিখতে। হ্যাপি বলেছেন, কেউই আমার আঙ্গুলের নখ পর্যন্ত দেখতে পাবেন না।
অতীতকে কবর দিতে হ্যাপি অনেক চেষ্টা করেছেন। তিনি শেষ ছবি ‘রিয়েল ম্যান’-এর
মুক্তি ঠেকাতে এক রকম লড়াই করেছেন। কিন্তু সফলতা পান নি এক্ষেত্রে। ওই
বইয়ে বোরকা পরা ও নাম পাল্টে আমাতুল্লাহ নাম ধারণ করা সম্পর্কে হ্যাপি
বলেছেন, এখন সদ্যজাত শিশুর মতো ভালো লাগছে আমার। আমার অতীত জীবনের সঙ্গে আর
কোনো সম্পর্ক নেই। ওই অধ্যায়টি একটি অন্য মানুষের কাহিনী।
এই বইয়ে রুবেল হোসেন সংক্রান্ত অংশ বাদ রাখা হয়েছে। লেখকরা বলেছেন, এতে হ্যাপি বিব্রতবোধ করতে পারেন। বর্তমানে তিনি বিবাহিত। আবদুল্লাহ আল ফারুকি বলেন, হ্যাপি তার জীবনে নতুন অধ্যায়ের পাতা খুলেছেন। তিনি আর অতীতকে হাতড়াতে চান না। আমরা তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম আপনি কি আপনার গ্লামার জগতে ফিরে যেতে চান। জবাবে তিনি বলেছেন, আর আগুনে ঝাঁপ দিতে চান না তিনি।
‘হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ’ হলো বাংলাদেশে ইসলামিক সাহিত্যে সর্বশেষ বিস্ময়কর কাহিনী। এখানে আধুনিক নারী ও পশ্চিমা নারীদের জীবনধারা নিয়ে চমৎকার কাহিনীর বিন্যাস রয়েছে। বাংলাদেশে ইসলামী সাহিত্যে বেস্ট সেলার হিসেবে যারা পরিচিত তার মধ্যে অন্যতম কাসেম বিন আবু বকর।
এই বইয়ে রুবেল হোসেন সংক্রান্ত অংশ বাদ রাখা হয়েছে। লেখকরা বলেছেন, এতে হ্যাপি বিব্রতবোধ করতে পারেন। বর্তমানে তিনি বিবাহিত। আবদুল্লাহ আল ফারুকি বলেন, হ্যাপি তার জীবনে নতুন অধ্যায়ের পাতা খুলেছেন। তিনি আর অতীতকে হাতড়াতে চান না। আমরা তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম আপনি কি আপনার গ্লামার জগতে ফিরে যেতে চান। জবাবে তিনি বলেছেন, আর আগুনে ঝাঁপ দিতে চান না তিনি।
‘হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ’ হলো বাংলাদেশে ইসলামিক সাহিত্যে সর্বশেষ বিস্ময়কর কাহিনী। এখানে আধুনিক নারী ও পশ্চিমা নারীদের জীবনধারা নিয়ে চমৎকার কাহিনীর বিন্যাস রয়েছে। বাংলাদেশে ইসলামী সাহিত্যে বেস্ট সেলার হিসেবে যারা পরিচিত তার মধ্যে অন্যতম কাসেম বিন আবু বকর।
No comments