ইরাকে ৫০ লাখ শিশুর জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন
ইরাক
যুদ্ধে ভয়াবহতার শিকার অসংখ্য শিশু। তাদের চোখের সামনে মানুষ হত্যা করা
হচ্ছে। এমনকি তাকে বা তার কোনো খেলার সঙ্গীকে লাশ বানিয়ে ফেলা হচ্ছে
মুহূর্তেই। অথবা অপহরণ করা হচ্ছে। হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে বাধ্য করা হচ্ছে
গুলি করতে। এমন অবস্থায় ইরাক যুদ্ধকে আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস যুদ্ধ
বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে
এসব কথা বলেছে। এতে আরো বলা হয়েছে, ইরাকে ৫০ লাখেরও বেশি শিশুর জরুরি
ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে
বলা হয়েছে, সারা ইরাকে শিশুরা অব্যাহতভাবে ভয়াবহতার শিকার। তাদের সামনে
ঘটছে অকল্পনীয় সব নৃশংসতা। মসুলে ইচ্ছাকৃতভাবে শিশুদের টার্গেট করছে আইএস।
পরিবারের সদস্যদের শাস্তি দিতে তাদেরকে হত্যা করছে। কেউ যাতে তাদের
নিয়ন্ত্রণ থেকে পালাতে না পারে সে জন্য আইএস এসব করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক
সংগঠনগুলোর হিসাব অনুযায় ওল্ড সিটি সেন্টার এলাকায় চরম বিপদজনক অবস্থায়
আটকরা পড়ে আছেন এক লাখেরও বেশি বেসামরিক মানুষ। এর অর্ধেকই শিশু। ২০১৪ সাল
থেকে সেখানে হত্যা করা হয়েছে ১ হাজারেরও বেশি শিশুকে। আহত হয়েছে অথবা
অঙ্গহানী হয়েছে ১১০০ শিশুর। পরিবারের কাছ থেকে ৪৬৫০ জনেরও বেশি শিশুকে
তাদের পরিবারের কাছ থেকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। আইএস ইরাকের যেসব এলাকায়
তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল তার বেশির ভাগই এখন তাদের হাতছাড়া হয়ে
গেছে। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে তাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযানে
দিন দিন পতন হচ্ছে আইএসের। তারা মসুলকে তাদের মূল ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার
করছিল। এখন সেখানকার পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণও তারা হারাতে বসেছে।
No comments