ঈদের শপিংয়ে গিয়ে বাস চাপায় মেয়েসহ কনস্টেবল নিহত
ইফতারি শেষে ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে যাওয়ার পথে বাসচাপায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বাবা-মেয়ের। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ডেমরার দেল্লা বামৈল বাস স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- পুলিশ কনস্টেবল আরিফুজ্জামান (৪০) ও তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৫)। এ সময় তার স্ত্রী নাসিমা বেগম (৩০) ও ছেলে ফজলে রাব্বি (৮) তার সঙ্গেই ছিলেন। ভাগ্যক্রমে তারা বেঁচে গেলেও চোখের সামনে স্বামী ও মেয়েকে বাসচাপা দেয়ার পর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এদিকে এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে স্থানীয় লোকজন দেল্লা বাস স্ট্যান্ডে জড়ো হয়ে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করেন। খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আরিফুজ্জামানের ভাই অ্যাডভোকেট মামুন মাহমুদ যুগান্তরকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ইফতার শেষে ডেমরার পশ্চিম হাজীনগরের বাসা থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে বের হয়েছিলেন আরিফুজ্জামান। কথা ছিল, আরিফুজ্জামান প্রথমে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় ছোট বোন ফাতেমা তুজ জোহরার বাসায় যাবেন।
সেখান থেকে বোনকে নিয়ে মার্কেটে যাবেন। কিন্তু বোনের বাসায় যাওয়ার আগেই ঘাতক বাস বাবা-মেয়ের প্রাণ কেড়ে নেয়। কনস্টেবল আরিফুজ্জামান ঢাকা জজকোর্টের জিআর সেকশনে কর্মরত ছিলেন। নিহতের ভাই মামুন মাহমুদ জানান, দেল্লা বামৈল বাস স্ট্যান্ডে নেমে রাস্তা পারাপারের সময় রানীমহল পরিবহনের বেপরোয়া একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সুমাইয়া নিহত হয়। কনস্টেবল আরিফুজ্জামানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আরিফুজ্জামানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এদিকে সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করে ডেমরা থানা পুলিশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। সুমাইয়া হাজী মোয়াজ্জেম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। ডেমরা থানার পরিদর্শক অপারেশন স্নেহাশীষ রায় জানান, ঘটনার পরপরই রানীমহল পরিবহনের বাস (ঢাকা মেট্রো জ-১৪-১৬০২) এবং এর চালক সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
No comments