ঈদ: তারিখ জানতে বিজ্ঞানের দ্বারস্থ হতে সমস্যা কোথায় by আহ্রার হোসেন
বাংলাদেশে মুসলমানদের সবচাইতে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর কবে হবে? প্রতিবছরের মতো এবারও মানুষের মনে একই প্রশ্ন।
উনত্রিশতম রোজার সন্ধ্যেবেলায়, অর্থাৎ আগামী রবিবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরই নিশ্চিতভাবে জানা যাবে ঈদের দিনটি। ঐতিহাসিকভাবেই এমনটা হয়ে আসছে।
কিন্তু জোতির্বিজ্ঞানিরা অনেক আগেই হিসেবে করে বের করে ফেলেছেন, এবার রোজা হবে উনত্রিশটি, ঈদ হবে সোমবার।
এমনকি তারা আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিটা ঈদের দিন তারিখ, প্রতিটি হিজরি মাস শুরু হওয়ার সুর্নির্দিষ্ট দিন জানেন।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের প্রয়াত অধ্যাপক আনোয়ারুর রহমান খান আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত চাঁদের এই গতিবিধির হিসেব করে গেছেন।
ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি ঈদের দিনক্ষণ, প্রতিটি হিজরী মাসের শুরু হবার সময় এখন জোতির্বিজ্ঞানীদের জানা।
সোসাইটির সহ-সভাপতি মুনির হাসান বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়ে বলছেন, "আমরা বলছি, নতুন চাঁদের জন্ম হবে শনিবারে। কিন্তু সে চাঁদটা দেখা যাবে না। কারণ সেটার আলোকিত অংশ এত কম যে সেটা আমাদের চোখে পড়বে না। রোববারে সন্ধে সাতটা একুশ মিনিটে চাঁদের আলোকিত অংশ অনেক বেশি অর্থাৎ ১৪% থাকবে, ফলে সেটা খালি চোখে দেখা যাবে"।
"এটা কিন্তু শুধু চাঁদের বেলায় না, আমরা আপনাকে বলতে পারব এর পরের সূর্যগ্রহণটি কবে হবে, এর পরের চন্দ্রগ্রহণটা কবে হবে। খুবই সহজ হিসেব এটা, ক্যালকুলেশন করেই বের করে ফেলা যায়"।
অথচ প্রতি বছর ঈদ এলেই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে উনত্রিশ রোজা শেষে ঈদ হবে না কি ত্রিশ রোজা শেষ ঈদ হবে। এই প্রশ্নের উত্তর জানা যায় উনত্রিশতম রোজার সন্ধেবেলায়।
কারণ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ওইদিন সন্ধেবেলায় এসে একটি বৈঠক করে ঠিক করে মাসটি উনত্রিশ দিনে হবে নাকি ত্রিশ দিনে হবে।
আর এজন্য তাদের ব্যবহৃত একমাত্র পদ্ধতি হলো খালি চোখে চাঁদ দেখা। অর্থাৎ, বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে এই চাঁদ দেখা কমিটির নির্ভরযোগ্য কোনো ব্যক্তিকে স্বচক্ষে চাঁদ দেখতে হবে।
কিন্তু যেখানে বৈজ্ঞানিক হিসেব নিকেশের মাধ্যমে যেখানে দিনটি সম্পর্কে আগেভাগেই নিশ্চিত জোতির্বিজ্ঞানীরা, সেখানে শেষ দিন পর্যন্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা কেন?
চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব মিজানুর রহমান বলছেন, "যদি তাদের হিসেবে ১% গড়মিল হবারও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, সেক্ষেত্রে কি করবো আমরা? সেক্ষেত্রে আমাদের দেখার উপরেই নির্ভর করতে হবে"।
মি: রহমান বলছেন, ঈদ, রোজা, হিজরী মাস ইত্যাদি যেহেতু ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী চলে, সেহেতু তারা ধর্মীয় নির্দেশনা মেনেই এটা করবেন, এটাই নিয়ম।
অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি যদিও তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার সন্ধেবেলায় চাঁদ উঠবার কথা হিসেব নিকেশ সহকারে বলে দিচ্ছে, কিন্তু এখানে তারা 'নিশ্চিত' শব্দটি ব্যবহার না করে 'সম্ভাবনা' শব্দটি ব্যবহার করছে ওই ইসলামী নিয়মের ব্যাপারটি মাথায় রেখেই।
যদিও সোসাইটির মুনির হাসান বলছেন, তারা হিসেব শুরু করার পর থেকে অদ্যবধি কখনো ভুল প্রমাণিত হননি, আশা করেন ভবিষ্যতে ভুল হবে না।
কিন্তু এটাও ঠিক, আপনি যদি এখনই জেনে যান ২০২৫ সাল বা তারও অনেক বছর পর পর্যন্ত প্রতিটি ঈদুল ফিতরের দিনক্ষণ, তাতে উত্তেজনা কোথায়।
বরং উনত্রিশতম রোজার সন্ধেবেলায় নিজ চোখে চাঁদ দেখে ঈদের দিনক্ষণ সম্পর্কে জানার মধ্যে একটি আনন্দের ব্যাপার আছে বৈকি।
উনত্রিশতম রোজার সন্ধ্যেবেলায়, অর্থাৎ আগামী রবিবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরই নিশ্চিতভাবে জানা যাবে ঈদের দিনটি। ঐতিহাসিকভাবেই এমনটা হয়ে আসছে।
কিন্তু জোতির্বিজ্ঞানিরা অনেক আগেই হিসেবে করে বের করে ফেলেছেন, এবার রোজা হবে উনত্রিশটি, ঈদ হবে সোমবার।
এমনকি তারা আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিটা ঈদের দিন তারিখ, প্রতিটি হিজরি মাস শুরু হওয়ার সুর্নির্দিষ্ট দিন জানেন।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের প্রয়াত অধ্যাপক আনোয়ারুর রহমান খান আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত চাঁদের এই গতিবিধির হিসেব করে গেছেন।
ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি ঈদের দিনক্ষণ, প্রতিটি হিজরী মাসের শুরু হবার সময় এখন জোতির্বিজ্ঞানীদের জানা।
সোসাইটির সহ-সভাপতি মুনির হাসান বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়ে বলছেন, "আমরা বলছি, নতুন চাঁদের জন্ম হবে শনিবারে। কিন্তু সে চাঁদটা দেখা যাবে না। কারণ সেটার আলোকিত অংশ এত কম যে সেটা আমাদের চোখে পড়বে না। রোববারে সন্ধে সাতটা একুশ মিনিটে চাঁদের আলোকিত অংশ অনেক বেশি অর্থাৎ ১৪% থাকবে, ফলে সেটা খালি চোখে দেখা যাবে"।
"এটা কিন্তু শুধু চাঁদের বেলায় না, আমরা আপনাকে বলতে পারব এর পরের সূর্যগ্রহণটি কবে হবে, এর পরের চন্দ্রগ্রহণটা কবে হবে। খুবই সহজ হিসেব এটা, ক্যালকুলেশন করেই বের করে ফেলা যায়"।
অথচ প্রতি বছর ঈদ এলেই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে উনত্রিশ রোজা শেষে ঈদ হবে না কি ত্রিশ রোজা শেষ ঈদ হবে। এই প্রশ্নের উত্তর জানা যায় উনত্রিশতম রোজার সন্ধেবেলায়।
কারণ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ওইদিন সন্ধেবেলায় এসে একটি বৈঠক করে ঠিক করে মাসটি উনত্রিশ দিনে হবে নাকি ত্রিশ দিনে হবে।
আর এজন্য তাদের ব্যবহৃত একমাত্র পদ্ধতি হলো খালি চোখে চাঁদ দেখা। অর্থাৎ, বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে এই চাঁদ দেখা কমিটির নির্ভরযোগ্য কোনো ব্যক্তিকে স্বচক্ষে চাঁদ দেখতে হবে।
কিন্তু যেখানে বৈজ্ঞানিক হিসেব নিকেশের মাধ্যমে যেখানে দিনটি সম্পর্কে আগেভাগেই নিশ্চিত জোতির্বিজ্ঞানীরা, সেখানে শেষ দিন পর্যন্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা কেন?
চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব মিজানুর রহমান বলছেন, "যদি তাদের হিসেবে ১% গড়মিল হবারও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, সেক্ষেত্রে কি করবো আমরা? সেক্ষেত্রে আমাদের দেখার উপরেই নির্ভর করতে হবে"।
মি: রহমান বলছেন, ঈদ, রোজা, হিজরী মাস ইত্যাদি যেহেতু ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী চলে, সেহেতু তারা ধর্মীয় নির্দেশনা মেনেই এটা করবেন, এটাই নিয়ম।
অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি যদিও তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার সন্ধেবেলায় চাঁদ উঠবার কথা হিসেব নিকেশ সহকারে বলে দিচ্ছে, কিন্তু এখানে তারা 'নিশ্চিত' শব্দটি ব্যবহার না করে 'সম্ভাবনা' শব্দটি ব্যবহার করছে ওই ইসলামী নিয়মের ব্যাপারটি মাথায় রেখেই।
যদিও সোসাইটির মুনির হাসান বলছেন, তারা হিসেব শুরু করার পর থেকে অদ্যবধি কখনো ভুল প্রমাণিত হননি, আশা করেন ভবিষ্যতে ভুল হবে না।
কিন্তু এটাও ঠিক, আপনি যদি এখনই জেনে যান ২০২৫ সাল বা তারও অনেক বছর পর পর্যন্ত প্রতিটি ঈদুল ফিতরের দিনক্ষণ, তাতে উত্তেজনা কোথায়।
বরং উনত্রিশতম রোজার সন্ধেবেলায় নিজ চোখে চাঁদ দেখে ঈদের দিনক্ষণ সম্পর্কে জানার মধ্যে একটি আনন্দের ব্যাপার আছে বৈকি।
No comments