২১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন ক্ষমতা দ্বিগুণ হচ্ছে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, ২০২১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে । বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদকে এ তথ্য জানান। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের বিতরণ লাইনের পরিমাণ ৪ লাখ ১ হাজার কিলোমিটার, সঞ্চালনের লাইনের পরিমাণ ১০ হাজার ৪৩৬ সার্কিট কিলোমিটার এবং গ্রীড উপকেন্দ্রের ক্ষমতা ২৮ হাজার ৫৬৯ এমভিএ। সরকার বিতরণ লাইনের পরিমাণ ৪ লাখ ৭৮ হাজার কিলোমিটার এবং সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২০ হাজার ৫৮১ সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভসহ) দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে প্রায় ৮ হাজার ৫শ’ থেকে ৯ হাজার ৫শ’ মেগাওয়াট। তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে আবাসিক খাতে শতকরা ৫০ দশমিক ৮৯ ভাগ, কৃষি খাতে শতকরা ৩ দশমিক ৬১ ভাগ, শিল্প খাতে শতকরা ৩৪ দশমিক ২৮ ভাগ, বাণিজ্যিক খাতে শতকরা ৯ দশমিক ৩৪ ভাগ এবং অন্যান্য খাতে শতকরা ১ দশমিক ৮৮ ভাগ বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর শতকরা প্রায় ৮ থেকে ১০ ভাগ বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গ্যাসের অবৈধ সংযোগের তথ্য সরকারের জানা নেই
স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসের অবৈধ সংযোগের প্রকৃত কোনো তথ্য সরকারের জানা নেই। তবে আবাসিক খাতে ব্যবহৃত অবৈধ গ্যাস সংযোগের তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে চিহ্নিত অবৈধ গ্যাস সংযোগের ডাবল বার্নারের সংখ্যা এক লাখ ৮ হাজার ৮০০টি। এতে মাসে প্রায় ৯ এমএমসিএম গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিদ্যুতের ৫০.৯৮ শতাংশ ব্যবহার আবাসিক খাতে
সরকারদলীয় সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের মধ্যে কৃষিখাতে মাত্র ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুতের অর্ধেকের বেশি ব্যবহৃত হয় আবাসিক খাতে। এ খাতে ব্যয় হয় ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ বিদ্যুৎ। এছাড়া শিল্প খাতে ৩৪ দশমিক ২৮ শতাংশ, বাণিজ্যিক খাতে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াট। দৈনিক চাহিদা গড়ে সাড়ে ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট। প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ শতাংশ করে চাহিদা বাড়ছে। সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ চুরি অতীতের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যুতের সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। তারপরও কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে অসাধু গ্রাহকরা বিদ্যুৎ চুরি করে থাকে। সরকারদলীয় আরেক সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের হার ৯৮ দশমিক ২০ শতাংশ এবং সিস্টেম লস ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ হতে ১৩ দশমিক ১০ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।
গ্যাসের অবৈধ সংযোগের তথ্য সরকারের জানা নেই
স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসের অবৈধ সংযোগের প্রকৃত কোনো তথ্য সরকারের জানা নেই। তবে আবাসিক খাতে ব্যবহৃত অবৈধ গ্যাস সংযোগের তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে চিহ্নিত অবৈধ গ্যাস সংযোগের ডাবল বার্নারের সংখ্যা এক লাখ ৮ হাজার ৮০০টি। এতে মাসে প্রায় ৯ এমএমসিএম গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিদ্যুতের ৫০.৯৮ শতাংশ ব্যবহার আবাসিক খাতে
সরকারদলীয় সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের মধ্যে কৃষিখাতে মাত্র ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুতের অর্ধেকের বেশি ব্যবহৃত হয় আবাসিক খাতে। এ খাতে ব্যয় হয় ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ বিদ্যুৎ। এছাড়া শিল্প খাতে ৩৪ দশমিক ২৮ শতাংশ, বাণিজ্যিক খাতে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াট। দৈনিক চাহিদা গড়ে সাড়ে ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট। প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ শতাংশ করে চাহিদা বাড়ছে। সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ চুরি অতীতের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যুতের সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। তারপরও কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে অসাধু গ্রাহকরা বিদ্যুৎ চুরি করে থাকে। সরকারদলীয় আরেক সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের হার ৯৮ দশমিক ২০ শতাংশ এবং সিস্টেম লস ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ হতে ১৩ দশমিক ১০ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।
No comments