মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন হিউজ
দুদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে হেরে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ফিলিফ হিউজ। আজ সিডনির একটি হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৬ টেস্ট ও ২৫ ওয়ানডে খেলা এই ক্রিকেটারের বয়স হয়েছিল মাত্র ২৫। ২৫শে নভেম্বর ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলায় প্রতিপক্ষের বোলারের বাউন্সারে সংজ্ঞা হারান হিউজ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। দুদিন ‘কোমা’য় থেকে মৃত্যুর কাছে পরাজয় বরণ করেন তিনি। গত মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা-শেফিল্ড শিল্ডের একটি ম্যাচে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নিউ সাউথওয়েলসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন হিউজ। ৬৩ রানে অপরাজিত থাকার সময় প্রতিপক্ষের বোলার শন অ্যাবোটের একটি বাউন্সারই ওলট-পালট করে দেয় সবকিছু। কানের পাশে আঘাত পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সংজ্ঞা হারান তিনি। হাসপাতালে নিবিড়-পরিচর্যাকেন্দ্রে দু’দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেও ফিরতে পারলেন না তিনি। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম ট্র্যাজিক ঘটনার নায়ক হয়ে মৃত্যুর কাছে হেরে যান তিনি। সিডনির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বড় ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তাঁর মস্তিষ্কে। আঘাতটা এতটাই গুরুতর ছিল যে অস্ত্রোপচারটা কোন কাজেই এল না তার। মৃত্যুর সময় হিউজের সঙ্গে ছিলেন তার মা, বোন ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন। ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবাগের তার টেস্ট অভিষেক হয়। ২৬ টেস্টে ৩২.৬৫ গড়ে ১৫৩৫ রান করা এই ক্রিকেটারের আছে তিনটি সেঞ্চুরি আর সাতটি ফিফটি। অভিষেক সিরিজেই ডারবানে পরপর দুটি সেঞ্চুরি করে দারুণ সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন হিউজ। তবে ফর্মের ধারাবাহিকতা না থাকার কারণে অস্ট্রেলীয় দলের কখনোই নিয়মিত হতে পারেননি। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলা হিউজ ভারতের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে নির্বাচকদের বিবেচনায় ছিলেন। অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের চোট তার দলে ফেরা মোটামুটি নিশ্চিতই করে দিয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ফর্মেই ছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনা শেষ অবধি তাঁকে নিয়ে গেল সব জাগতিক আশা-আকাক্সক্ষা আর প্রত্যাশা-প্রাপ্তির উর্ধ্বেই।
No comments