দোহার থানায় ওপেন হাউস ডে প্রতিবাদ সভায় রূপান্তর
রাজধানীর অদূরে দোহার থানায় ওপেন হাউস ডে
রূপান্তরিত হয় প্রতিবাদ সভায়। ওসি মাহমুদুল হকের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের
প্রতিবাদে দোহারের কোনো ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার ওসির ডাকা এই ওপেন হাউস
ডেতে যোগ দেননি। আসেননি বীর মুক্তিযোদ্ধা কিংবা স্থানীয় গণ্যমান্য
ব্যক্তিরাও। তবে ওসির খয়েরখাঁ হিসেবে পরিচিত কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার সরব
উপস্থিতি দেখা গেছে এ অনুষ্ঠানে। যে কারণে সভাটি শেষ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে
সরকারি দলের কয়েকজন নেতার চা চক্রে রূপ নেয়। জানা যায়, দোহারের বিতর্কিত
ওসি মাহমুদুল হক নিজের অপকর্ম ঢাকতে বৃহস্পতিবার সকালে থানায় ওপেন হাউস ডে
অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এতে তার নিজস্ব বলয়ের কিছু লোক এবং আওয়ামী লীগ
নেতাদের দাওয়াত করা হয়। এরপরও তাদের কয়েকজনের তোপের মুখে পড়েন ওসি। উপস্থিত
অনেকে এলাকায় মাদকের ভয়াবহ বিস্তার, পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি, বখাটেদের
উৎপাত, থানায় মামলা না নেয়া, ঘুষ-বাণিজ্য এমনকি জিডি এন্ট্রি করতেও ঘুষ
নেয়ার অভিযোগ তোলেন। এক পর্যায়ে ওসি দাবি করে বলেন, দোহারের কোথাও মাদক
নেই। পুলিশ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ভালো আছে।
এটুকু বলেই সবাইকে চা খেতে বলেন ওসি।
এদিকে অনুষ্ঠানে না যাওয়া প্রসঙ্গে মুকসুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম যুগান্তরকে বলেন, ওসি মাহমুদুল হক তার মোবাইল ফোনে এসএমএস (ক্ষুদে বার্তা) পাঠিয়ে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানের কথা জানান। শুধু একটি এসএমএসের ওপর ভিত্তি করে একজন জনপ্রতিনিধি সেখানে যেতে পারেন না। তাছাড়া একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে এটি শোভনীয় আচরণও নয়। এছাড়া এই ওসির কারণে যেখানে দোহারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে তাই তিনি তার এ ধরনের লোক দেখানো সভায় যোগ দিতে চান না।
নয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদও জানান, ওসি এসএমএস পাঠিয়ে ওপেন হাউস ডের কথা জানিয়েছে। তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব সভায় যোগ দিয়ে কোনো লাভ হবে না। ওসি যোগ দেয়ার পর যা শুরু করেছেন তাতে এ ধরনের সভায় যোগ দিলে সাধারণ মানুষের তোপের মুখে পড়তে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি এলাকায় সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে ওপেন হাউস ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার জন্য চিঠি বা আমন্ত্রণপত্র পাঠানো উচিত। সময়-সুযোগের অভাবে সেটা সম্ভব না হলে অন্তত ফোনে বলা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে একটি এসএমএস পাঠিয়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা অশোভনীয় ও অভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে। ফলে তারা ওসির অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হয়রানি ও ঘুষ-বাণিজ্যের বিস্তর যে অভিযোগ রয়েছে তাতে ওসির সভায় যোগ দিলে তাদের ভোট কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে যারা গিয়েছেন তাদের অনেকে ওসির খয়েরখাঁ হিসেবে পরিচিত। কেউ কেউ ওসির ঘুষ-বাণিজ্যেরও সহযোগী। অথচ ওপেন হাউস ডে করা উচিত ভুক্তভোগী মানুষ ও স্থানীয় সব পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে। যাতে তারা অসঙ্কোচে তাদের ক্ষোভ ও আইনি সহযোগিতা না পাওয়ার বিষয় তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু দোহার থানায় ওপেন হাউস ডের ক্ষেত্রে সেটি করা হয়নি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হুদা, ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন ও কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা।
এদিকে অনুষ্ঠানে না যাওয়া প্রসঙ্গে মুকসুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম যুগান্তরকে বলেন, ওসি মাহমুদুল হক তার মোবাইল ফোনে এসএমএস (ক্ষুদে বার্তা) পাঠিয়ে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানের কথা জানান। শুধু একটি এসএমএসের ওপর ভিত্তি করে একজন জনপ্রতিনিধি সেখানে যেতে পারেন না। তাছাড়া একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে এটি শোভনীয় আচরণও নয়। এছাড়া এই ওসির কারণে যেখানে দোহারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে তাই তিনি তার এ ধরনের লোক দেখানো সভায় যোগ দিতে চান না।
নয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদও জানান, ওসি এসএমএস পাঠিয়ে ওপেন হাউস ডের কথা জানিয়েছে। তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব সভায় যোগ দিয়ে কোনো লাভ হবে না। ওসি যোগ দেয়ার পর যা শুরু করেছেন তাতে এ ধরনের সভায় যোগ দিলে সাধারণ মানুষের তোপের মুখে পড়তে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি এলাকায় সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে ওপেন হাউস ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার জন্য চিঠি বা আমন্ত্রণপত্র পাঠানো উচিত। সময়-সুযোগের অভাবে সেটা সম্ভব না হলে অন্তত ফোনে বলা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে একটি এসএমএস পাঠিয়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা অশোভনীয় ও অভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে। ফলে তারা ওসির অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হয়রানি ও ঘুষ-বাণিজ্যের বিস্তর যে অভিযোগ রয়েছে তাতে ওসির সভায় যোগ দিলে তাদের ভোট কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে যারা গিয়েছেন তাদের অনেকে ওসির খয়েরখাঁ হিসেবে পরিচিত। কেউ কেউ ওসির ঘুষ-বাণিজ্যেরও সহযোগী। অথচ ওপেন হাউস ডে করা উচিত ভুক্তভোগী মানুষ ও স্থানীয় সব পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে। যাতে তারা অসঙ্কোচে তাদের ক্ষোভ ও আইনি সহযোগিতা না পাওয়ার বিষয় তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু দোহার থানায় ওপেন হাউস ডের ক্ষেত্রে সেটি করা হয়নি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হুদা, ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন ও কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা।
No comments