মেক্সিকোতে সোশাল বিজনেস সামিট শুরু
বেকারত্বকে উদ্যোক্তায় পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য। সম্মেলন প্রস্তুতির আগের রাতেই মানবজমিন বিশেষ প্রতিনিধিকে এ কথা বললেন শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গ্লোবাল বিজনেস সামিটে যোগ দেয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজের ফাঁকে কথা বলেন তিনি। বেকারত্ব নিরসনের লক্ষ্যেই দেশে দেশে আয়োজিত হয় সোশাল বিজনেস সামিট। এবার দুই কোটি দশ লাখ মানুষের বৃহত্তম নগরী মেক্সিকোতে বসছে এ সামিটের মূল আসর। ইতিমধ্যেই সামিটের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘শেপিং সোশাল বিজনেস- টু শেপ দ্য ওয়ার্ল্ড অব ২০২০’। সামিটে এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সামাজিক বাণিজ্য বিষয়ক বোদ্ধা, রাজনীতিক, সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ। এতে বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নিচ্ছেন। তিন দিনের এই সামিটের উদ্বোধন করবেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সঙ্গে যৌথভাবে এ সামিট উদ্বোধনের কথা ছিল মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নাইতো’র। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছেন না। দারিদ্র্যবিমোচন, সকলের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন- এমন সাত মূলনীতি নিয়েই শুরু হয়েছিল সামাজিক ব্যবসা। যা সোশাল বিজনেস নামেই দুনিয়াজুড়ে পরিচিত। শান্তিতে নোবেল জয়ী, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যেই সারাবিশ্বে সামাজিক ব্যবসায় বা সোশাল বিজনেস নিয়ে আলোচনায়। বিশ্বে সামাজিক বাণিজ্যে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল সোশাল বিজনেস সামিট। এর মাধ্যমে সামাজিক বাণিজ্য সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ বছর সামিট আয়োজনে সহায়তা করছে গ্রিন স্ট্রিট, মেক্সিকোর দ্য আর্থ ফান্ড। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এ সম্মেলনে বৈশ্বিক সামাজিক বাণিজ্য আন্দোলনে আরেকটি মাইলফলক স্থাপন করতে চলেছে সমর্থনকারী অশোকা, বানামেক্স, সিমেক্স, মনিটারি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ ও তেলেভিসা ফাউন্ডেশন। এ আন্দোলনের উচ্চাকাঙক্ষী লক্ষ্য হলো কোন একটি শহর, রাজ্য অথবা একটি দেশের মোট অর্থনীতির শতকরা ১ ভাগ অর্থ আগামী ৫ বছরের মধ্যে সামাজিক বাণিজ্যে আকৃষ্ট করা। গত বছর গ্লোবাল সোশাল সামিট হয়েছে মালয়েশিয়াতে। বার্ষিক এ অনুষ্ঠানের আয়োজক গ্রামীণ ক্রিয়েটিভ ল্যাব ও ইউনূস সেন্টার।
No comments