ওয়ানডে সিরিজও বাংলাদেশের by ইশতিয়াক পারভেজ
আবারও আগে ব্যাটিং, আবারও জয়। দান দান তিন দান। চট্টগ্রামের পর ঢাকাতেও বিজয়ের মঞ্চে বাংলাদেশ। টেস্টের পর ওয়ানডেতেও সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। এবার হোয়াইট ওয়াশের অপেক্ষা। তিন টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশ ৩-০ জিম্বাবুয়ে। পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে এখন বাংলাদেশ ৩-০ জিম্বাবুয়ে। গতকাল মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকে ১২৪ রানে হারিয়েছে মাশরাফি বাহিনী। ফলে দুই খেলা বাকি থাকতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। আরাফাত সানির বল কামুনগোজির উইকেট ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। দর্শকদের আনন্দের উত্তাপে উবে যায় অগ্রহায়নের শীতল হাওয়া। বাংলাদেশের ২৯৭ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১৭৩। ৪০ ওভার পুরো হওয়ার আগেই শেষ তাদের ইনিংস। ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশের এটি ১৬তম সিরিজ জয়। গতকাল সফরকারিরা টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল শিশির-সুবিধার আশায়। কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি ঢেলে দেন পেসার মাশরাফি-রুবেল। আর শেষটা ত্বরান্বিত করেন আরাফাত সানি। টানা দুই খেলায় চার উইকেট করে নিলেন এ স্পিনার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি সর্বোচ্চ রানের ব্যাবধানে জয়। এর আগে জিম্বাবুয়েকে বাংলাদেশ ১২১ রানের হারিয়েছিল বুলাওয়েতে। আর যে কোন দলের বিপক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের জয় এটি। বাংলাদেশের বড় সংগ্রেহর ভিত গড়ে দেয়া এনামুল হক বিজয়ই হয়েছেন গতকালের ম্যাচ সেরা। তিনি করেন ৯৫ রান। আগের খেলাতেও তিনি করেছিলেন ৮০ রান।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে প্রথম আঘাতটি করেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলীয় ৯ রানে ৯ রান করা সিবান্দাকে দেখিয়ে দেন সাজঘরে পথ। এরপর মাসাকাদজাকে ১২ রানে এলবিডব্লিউর শিকার বানিয়ে জয়ের পথ সুগম করেন মাশরাফি। যদিও টিভি রিপ্লেতে আউটটি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। তবে মাত্র ২২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে মাথা তুলে আর দাড়াতেই পারেনি দলটি। মাশরাফির পর বল হাতে রুবেল হোসেন হানেন তৃতীয় আঘাত। মারুমাকে ৮ রানের সময় অধিনায়কের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন সাজঘরে। পেসারারদের এমন রণমূর্তি দেখে চুপ করে বসে থাকতে পারেনি স্পিনারও। চতুর্থ উইকেটে টেইলর ও সলেমন মিরে যখন ৪১ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছিলেন তখন আরাফাত সানির আঘাত। এই জুটি ভেঙে ১২ রান করা সলোমন মিরেকে ফিরিয়ে দেন তিনি। মিরের বিদায়ের পর স্কোর বোর্ডে মাত্র ২ রান যোগ হতেও আবারও দলকে হতাশ করেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ব্রেন্ডন টেইলর। ৪০ বলে ২৮ রান করার পথে সাকিবের একমাত্র শিকার হন তিনি। এই শিকারের সঙ্গে সঙ্গে এক মাঠে সর্বোচ্চ উইকেট ও রানের তালিকায় স্বদেশী রাজ্জাককে পিছনে পেলে উঠে আসেন সাকিব। এক প্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক চিগুম্বুরা। তবে অন্য প্রান্তে চলতে থাকে যথারীতি আসা যাওয়ার মিছিল। ৬ষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক ও চাকাভার ৩৭ রানের জুটি আবারও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তবে বল হাতে চাকাভার সেই প্রতিরোধ ভেঙে দেন মাহদুল্লাহ রিয়াদ। ১৪ রানের সময় তাকে বোল্ড করে দেখান সাজঘরের পথ।
দলীয় ১১৯ রানের সময় চাকাভার বিদায়ের পর অধিনায়কের একক লড়াই ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তবুুও ৮ম উইকেট মাদজিভাকে নিয়ে ২৭ রানের জুটি গড়ে পরাজয়ের ব্যাবধান কমাতে লড়াই করে যান তিনি। এর আগে অবশ্য ২ রানেই অভিষিক্ত মোর রুবেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন। শেষ পর্যন্ত মাদজিভা ১১, পানিয়াংঙ্গারা ০, কামুনগুজিকে ৪ রানে ফিরিয়ে দেন একাই আরাফাত সানি। আর অধিনায়ক ৪৬ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকলেও অসহায়ের মত অবলোকন করেন দলের তৃতীয় হারের সঙ্গে সিরিজ পরাজয়ও। এই পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ৫৬টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। তার মধ্যে গতকালে জয়টি ছিল ১৬ তম। শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে ১৩টি পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। তার মধ্যে ৮ম বার জয়ের মুখ দেখলো বাংলাদেশ দল। প্রথম পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জয়টিও এসেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৫ সালে। আগামীকাল এ মাঠেই হবে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে প্রথম আঘাতটি করেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলীয় ৯ রানে ৯ রান করা সিবান্দাকে দেখিয়ে দেন সাজঘরে পথ। এরপর মাসাকাদজাকে ১২ রানে এলবিডব্লিউর শিকার বানিয়ে জয়ের পথ সুগম করেন মাশরাফি। যদিও টিভি রিপ্লেতে আউটটি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। তবে মাত্র ২২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে মাথা তুলে আর দাড়াতেই পারেনি দলটি। মাশরাফির পর বল হাতে রুবেল হোসেন হানেন তৃতীয় আঘাত। মারুমাকে ৮ রানের সময় অধিনায়কের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন সাজঘরে। পেসারারদের এমন রণমূর্তি দেখে চুপ করে বসে থাকতে পারেনি স্পিনারও। চতুর্থ উইকেটে টেইলর ও সলেমন মিরে যখন ৪১ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছিলেন তখন আরাফাত সানির আঘাত। এই জুটি ভেঙে ১২ রান করা সলোমন মিরেকে ফিরিয়ে দেন তিনি। মিরের বিদায়ের পর স্কোর বোর্ডে মাত্র ২ রান যোগ হতেও আবারও দলকে হতাশ করেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ব্রেন্ডন টেইলর। ৪০ বলে ২৮ রান করার পথে সাকিবের একমাত্র শিকার হন তিনি। এই শিকারের সঙ্গে সঙ্গে এক মাঠে সর্বোচ্চ উইকেট ও রানের তালিকায় স্বদেশী রাজ্জাককে পিছনে পেলে উঠে আসেন সাকিব। এক প্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক চিগুম্বুরা। তবে অন্য প্রান্তে চলতে থাকে যথারীতি আসা যাওয়ার মিছিল। ৬ষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক ও চাকাভার ৩৭ রানের জুটি আবারও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তবে বল হাতে চাকাভার সেই প্রতিরোধ ভেঙে দেন মাহদুল্লাহ রিয়াদ। ১৪ রানের সময় তাকে বোল্ড করে দেখান সাজঘরের পথ।
দলীয় ১১৯ রানের সময় চাকাভার বিদায়ের পর অধিনায়কের একক লড়াই ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তবুুও ৮ম উইকেট মাদজিভাকে নিয়ে ২৭ রানের জুটি গড়ে পরাজয়ের ব্যাবধান কমাতে লড়াই করে যান তিনি। এর আগে অবশ্য ২ রানেই অভিষিক্ত মোর রুবেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন। শেষ পর্যন্ত মাদজিভা ১১, পানিয়াংঙ্গারা ০, কামুনগুজিকে ৪ রানে ফিরিয়ে দেন একাই আরাফাত সানি। আর অধিনায়ক ৪৬ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকলেও অসহায়ের মত অবলোকন করেন দলের তৃতীয় হারের সঙ্গে সিরিজ পরাজয়ও। এই পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ৫৬টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। তার মধ্যে গতকালে জয়টি ছিল ১৬ তম। শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে ১৩টি পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। তার মধ্যে ৮ম বার জয়ের মুখ দেখলো বাংলাদেশ দল। প্রথম পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জয়টিও এসেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৫ সালে। আগামীকাল এ মাঠেই হবে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি।
No comments