শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ
শহীদ ডা. শামস-উল আলম খান মিলন দিবস আজ। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক অগ্নিঝরা উত্তাল সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্বৈরশাসকদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনি নির্মমভাবে নিহত হন। শহীদ ডা. মিলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে সেদিনের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত হয়। নয় বছরব্যাপী হত্যা-নির্যাতন, কুশাসন-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেছিল ছাত্র-জনতা। সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য সামরিক শাসক এরশাদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) তখনকার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামস-উল আলম খান মিলনকে গুলি করে হত্যা করে। এরশাদ জান্তার চক্রান্ত ছিল, আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর মিলন হত্যার দায় চাপিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেয়া। কিন্তু মিলন হত্যার খবর বিদ্যুৎ গতিতে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে, আন্দোলনের ঘূর্ণিঝড়ে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে আজ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে শহীদ ডা. মিলন সংসদ দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, সকাল ৭টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ডা. মিলনের সমাধিতে ও সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে ডা. মিলনের স্মৃতিস্তম্ভে পুষপমাল্য অর্পণ করা হবে। এ উপলক্ষে বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সড়ক দ্বীপে হবে আলোচনা সভা। এতে অংশগ্রহণ করবেন বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ। এদিকে আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় এই দিবসটি পালন করবে। এ উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শহীদ ডা. মিলন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য দলের নেতাকর্মীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
No comments